শুন শুন বন্ধুগণরে,শুন দিয়া মন।
একটি টেস্টের কথা আমি করিব বর্ণন।
এগার মাস পরে একদল মাঠে এসে নামে-
টি-টুয়েন্টি জিতা দল তাদের-ই সামনে।
গেইল আছে,স্যামি আছে,আছে টিনো বেষ্ট-
বাংলার দলে গাজী এবার খেলবে প্রথম টেস্ট।
দেশের মানুষ আশায় থাকে ভাল কিছু দেখার,
কিছু কিছু বেজন্মা কয়,বাংলা টেস্টে বেকার।
তেরো তারিখ দিনের শেষে আঁধারেতে দল,
বাংলার ছেলেরা ভাল করে নাই বল।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হল পরে,
পাঁচশ সাতাশ লেখা ওদের রানের-ই ঘরে।
চাঁটগার তামিমের সাথে নাইমের সাতাশে*,
বাংলার রান একশত চৌষট্টি দিন শেষে।
বেজন্মারা হাসি দিয়া বড় গলায় কয়,
"তিনজন আউট।ফলো-অন হইবে নিশ্চয়।"
ওগো মুখে কালি দিয়া তিন নাম্বার দিন শুরু,
মোট চারশ পঞ্চান্ন আর একশ করল গুরু।
চতুর্থ দিনে রিয়াদ-নাসিরের হাত ধরে,
প্রথমবারের মত আমরা গেলাম পাঁচশর ঘরে।
এবারে উইন্ডিজের দশ উইকেট নিতে গিয়া,
পরিশ্রম হইবে খুব,কারণ ইহা নহে ইন্ডিয়া।
খেল দেখাইল গাজী,রুবেল আর সাকিব ভাই-
দিনের শেষে দেখি ওদের ছয় উইকেট নাই।
শেষের দিনে গাজীভাই মাঠে আসিয়া,
দুইশ তিয়াত্তরে ওদের রান দিলো থামাইয়া।
এইবার বাঙালির সামনে কঠিন সময়,
দুইশত পয়তাল্লিশেই পাওয়া যাবে জয়।
সবাই জানে শেষের দিনে মাঠের কি ভাব-
বল করা সুবিধা কিন্তু ব্যাটিং-টা চাপ।
এই মাঠেও বাঙালি করিল চেষ্টা,
তারপরেও হয়ত রক্ষা হইল না শেষটা।
বেজন্মারা কইল,"এটাই বাংলার চরিত্র,
দেখিতে পারে না এরা বিজয়ের চিত্র।"
ওহে পশু,তোরা কী জানিস বিজয় মানে?
টেস্ট দেখতে এত মানুষ আসে কিসের টানে?
এত ভালবাসা আর সম্মান কোনখানে?
প্রথম ইনিংস ভাসিয়ে দিলাম পাঁচশ রানের বানে।
শেষ টেস্ট আর এটা,১১মাস মাঝখানে।
এতদিন পর-ও ফর্মে থাকতে আর কোনদল জানে?
আজ বাংলা মুখরিত বিজয়ের-ই গানে।
এটাই বিজয়,এটাই চাওয়া,এটাই মোদের বল।
যতদিন শ্বাস ততদিন মোরা বাংলাদেশের দল।
বেজন্মা আর রাজাকাররে করিনা আর ভয়,
জান থাকতে বলে যাব "জয় বাংলার জয়"