somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের পাকি প্রেমীরা

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১৯৭১ এর একটা শহীদ মায়ের গল্প দিয়ে শুরু করি ........................ একজন মা তিনি কখনো জুতা পয়ে দেন নি যখন তাকে প্রশ্ন করা হইছিল মা আপনি জুতা পরেন না কেন তিনি বলেছিলেন এই বাংলার মাটিতে লেগে আছে আমার ছেলের রক্ত আর মেয়ের ইজ্জত এই মাটিতে লাগা রক্তের উপর আমি কিভাবে পা দিয়ে হাঁটবো ।



১৯৭১ এ পাকিস্থান দের নিষ্ঠুরতার কথা বলে লাভ নেই সবাই জানে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা বোনের জীবন দেওয়ার কথা । ১৯৭১ এ যুদ্ধ হইছিল ধর্মের নাম দিয়ে এক গুষ্টি বলতো বাংলাদেশ হলে ইসলাম থাকবে না । কোন দেশের মুসলমানরা সব চেয়ে ভাল আছে বাংলাদেশ না পাকিস্থান ? তখন যে বর্বর অত্যাচার তারা করেছিলো কেউ ভুলিনি ভুলতে পারবো না । সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই । পাকিস্থান এন একটি দেশ যারা জঙ্গি রপ্তানি করে শীর্ষে থাকে । সব সময় এরা সন্ত্রাসকে আশ্রায় দিছে । যার কারণে পাকিস্থান হয়ে পরেছে একটা অসফল রাষ্ট্র । নামাজ পরতে গেলেও ওখানে কেউ নিরাপদে থাকে না । সকালে আপনি বাসা থেকে বের হবেন রাতে বাসায় ফিরবেন কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই । লাদেন থেকে শুরু করে সব বড় বড় সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রায় কেন্দ্র পাকিস্থান । যদিও প্রথমে পাকিস্থান অস্বীকার করে লাদেন তাদের ওখানে থাকে না কিন্তু পরবর্তীতে প্রমাণ হয় ।


পাকিস্থান এমন এক জাতি যাদের কোন সভ্য মানুষ ভাল চোখে দেখে না । কাল দেখলাম এক জন ইমাম বলেছেন সময় এসেছে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পাকিস্থান কে প্রতিহত করার । এক ইমাম এর কথা
কিছু সংখ্যক লোক ধর্মের নাম দিয়ে পাকিদের পক্ষে কথা বলে আমি পাকিদের পক্ষে না কাশ্মীরের পক্ষে কিন্তু এতা সবই জানে যে ওদের সমারথন দেওয়া মানে আমার বাবা - মায়ের খুনিদের সাপোর্ট দেওয়া । শরীরে রক্ত ক্ষরণ হায় যখন দেখি আমার ভাই বোনের মরা দেহ শকুনে খাইছিল এই হায়নাদের জন্য ।


তারপর ও অবাক লাগে যখন দেখি আমাদের দেশের কিছু দালাল পাকিদের হয়ে গুন গান করে । দেশে যদি আবার কখনো যুদ্ধ হয় এইগুলোই রাজাকার হবে । এখন এরা চারা গাছ আছে এক সময় বিষ বৃক্ষে পরিণত হবে ।

আর ভারতেই তো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করে সম্ভাবত ইন্দোনেশিয়ার পর । তাহলে আমরা কি শুধু ধর্মের জন্য পাকিদের সাপোর্ট করবো ? বিবেক মনুষ্যত্ব বলে কি আসলেই কিছু নেই ? বি এন পি জামাতের অনেকে দেখছি সমালোচনা করছে শেখ হাসিনার কেন ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন ? তবে বি এন পি কেন বলে না আমরা কাশ্মীরের সাথে আছি ? মুদি যখন প্রধান মন্ত্রী হল দেখলাম সবার আগে বেগম জিয়া তাকে শুভেচ্ছা জানালো । ভাবছিলেন অনাকে তেল দিয়ে যদি ক্ষমতায় যাওয়া যায় । বি এন পি নিজেদের স্বার্থ ঠিক রেখে সব সময় উপর দিয়ে ভারতের সমালোচনা করে আর নিচ দিয়ে আঁতাত করতে যায় । আওয়ামীলীগ বিশ্বাস ঘাতকের দল না তারা অবশই ১৯৭১ এর বন্ধু দেশের পাশে দাঁড়াবে । আমাদের এই দালালেরা সকালে ঘুম থেকে উঠে ভারতের গান শুনতে শুনতে রাতে ঘুমাতে যায় ইন্ডিয়ান চ্যানেল দেখতে দেখতে । আর কিছু হলে ডাক্তার দেখাতে বা ঘুরতে যায় ইন্ডিয়া তে কিন্তু পাকিস্থানে যাবে না একবার ও । আবার ইন্ডিয়ান খাবার খাইতে খাইতে গালাগালি দিবে ইন্ডিয়া কে ? আজ যদি ইন্ডিয়া বলে তারা বি এন পির সাথে আমি জোর দিয়ে বলতে পারি কাল থেকে এই দলই ইন্দিয়ার গুন কীর্তন করবে ? মাথা নত করে দিবে । আওয়ামীলীগ সবাইকে সম্মান দিতে জানে কিন্তু মাথা নত করে না । আমরা বন্ধু দেশের সাথে কোন বিষয়ে একমত না হলে কিছুর জন্য দর কষাকষি করতে পারি কিন্তু শত্রুর সাথে না । বাংলার মানুষ পাকিস্থান কে ক্ষমা করলেও বাংলার রক্তে ভেজা মাটি কখনো পাকিদের ক্ষমা করবে না
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩০
৩১টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×