
পর্ব : ৪ -- বগুড়া
পর্ব : ৫ -- নাটোরের রাজবাড়ী হয়ে পাবনার পথে
-------------------------------------------------------
বগুড়া ছেড়ে নাটোরের পথ যেতেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। সিংড়া পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা মোটামুটি জঘন্য পর্যায়ে। একে নাকি হাইওয়ে বলে


মেইন গেটে পৌছে আবার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। গেট পেরোনো নিষেধ, এমনকি ডিসি অফিসেও নাকি পারমিশন দেওয়া বন্ধ। গেটের পুলিশের সেইরকম ভাব মনে হয় সে নিজেই ডিসি বা তার উপরের কেউ



এটা খুব সম্ভবত রেষ্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়... মূল ভবনের ছবি দেখুন নিচে..







আরো অনেক অনেক ছবি আছে..... আসে পাশে কাউকে পেলাম না, পেলে ভেতরে ঢোকার ব্যবস্থা করা যেতো

পেছনে চমৎকার একটা বাগান আর লেক কাটা আছে... মূল ভবনের ডানে একটা ছোট গেট দিয়ে ঢোকা যায়... বাগানেরও কয়েকটা ছবি দিয়ে দিলাম...









অবশেষে শেষ হলো রাজবাড়ী দেখা। আরেকটা রাজবাড়ী আছে, সেটা অবশ্য আগে দেখা ছিলো। তার উপরে সাইটের কাজ, রোদ আর ঘুরাঘুরি মিলিয়ে সবাই ক্লান্ত -- রওনা দিলাম ইশ্বরদী হয়ে পাবনার পথে...
পাবনায় অনেক কাজ ছিলো, ঘোরা কিংবা ছবি তোলার সময় পাইনি। কলিগের বাড়ি পাবনা তাই ইফতারের পরে পাবনার বিখ্যাত মিষ্টি খাওয়াতে নিয়ে গেলো। গন্তব্য প্যারাডাইস সুইটস। মিষ্টির নাম মালাইশা.. সেইরকম মজার মিষ্টি... একটা শেষ তো আরেকটা... শেষ মেষ কলিগরে বইলা আসলাম পাবনা দিয়া আসার টাইমে এই মিষ্টি ঢাকায় যেনো নিয়ে আসে, নাইলে খবর আছে


মালাইশা

পেড়া

কাটাভোগ

মিষ্টির ছড়াছড়ি

সবার শেষে ঘি কেনার জন্য গেলাম শীতল দই ভান্ডারে... ঢাকায় তো সবসময় কৌটাতে ঘি দেখে অভ্যস্ত, এইখানে পাতিলে ঘি দেখে মজা পাইলাম। ঘি এখনও বাসায় আছে, ভালোই তবে টাঙ্গাইলের মতো না


সারাদিনে কাজ আর ঘুরাঘুরি করে বেজায় ক্লান্ত, তার উপরে কলিগের বাসায় সেরকম ভালো খাওয়াদাওয়া -- ঘুম আসা ঠেকায় কে

পরদিন সকালে আবার রাজপথ.... এবার গন্তব্য পুঠিয়া হয়ে রাজশাহী... সেই গল্প আবার আরেকদিন

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০