সামুতে দেবদূতের বিবাহনামা পইড়া পইড়া নিজেরটাও লিখবার মন চায় আমার কি দোষ, বিবাহ নামা পইড়া, মাইনসের পেরেম পিরিতির কাহিনী শুইনা পুরান দিনের কত কতা মনে পইড়া গেলো। ভাইবা ভাইবা নিজেরেই বলি আহারে কি দিন আছিলো কি দিন আইলো
আমি কিনছিলাম ছিটিছেল। হেই ছিটিছেল কিইন্না আনবার পরের দিনেই রিকশার পিছে গাড়ির ধাক্কা, আমি হাত পায়ে বেন্ডেজ বুন্ডেজ বাইন্ধা বিছনায়। আহারে হারা রাইত কত কান্না কাটি আম্মায় খাইতে ডাকলে কই পায়ে ব্যাথা যাইতে পারুম না, আর ফোনে চার্জ গেলে গা রাইত বিরাইত উইঠা চার্জার খুইজা চার্জ দিতে দৌড়াই, ব্যাথা বুথা তখন যায়গা। ছিটিছেল আছিলো ওস্তাদ কুম্পানি, হেগো ফোনের দাম কম, হারা রাইতে একবারও লাইন কাটে না আবার পরথম মিনিটেও দুই টেকা কাটে না। ওগো কুনো কাডাকাডি নাই পুরাই ফিরি সেই ফিরির ধাক্কায় হারা রাইত কতা কইয়া দিনের বেলায় কেলাসে ঝিমাই, লেকচার মুকচার কান দিয়া ঢুকে না, বিকালে যাইয়া খাইয়া না খাইয়া ঘুম, রাইতে ছিটিছেল আবার পরদিন ঝিমানি.... কিয়ের পড়া কিয়ের কি, পরীক্ষা আইলে চোখে মুখে খালি আন্ধার আর আন্ধার, রেজাল্ট খারাপ করলেও ঝাড়ি খাই আবার কতা না কইলেও ঝাড়ি খাই... আহারে কি দুস্ক
ভালোবাসার এই দুষ্টু চক্রে ঘুরপাক খাইতে খাইতে ভালাই দিন যাইতাছিলো, মাঝখান দিয়া ভার্সিটি লাইফ শেষ হয়া গেলো আহারে সেই কি দুস্ক। বাপের হোটেলে খাইতে কেমুন কেমুন লাগে, ঐদিকে হবু বউএর লাইগা প্রস্তাব ট্রস্তাব আওনের শুরু - ছিটিছেল মিটিছেল তখন মাথায় উঠছে, সারাদিন বইসা বইসা চাকরির চিন্তা করি। এর মইদ্ধে বউ এর চাকরি হইয়া গেলো কি অপমান কি অপমান কাম কইরা টেকা নিমু তাও কেউ ডাকে না, আমি মাইনসের দুয়ারে দুয়ারে নিজের বৃত্তান্ত লিখি দুনিয়ার ফাউলতম এই কাম করতে করতে হঠাৎ কপালের দরজা খুল্লাম খুল্লা হইয়া গেলো এরেই কয় কপাল, খুলছে তো খুলছে দেখি একলগে দুই তিনটা দরজা খুইলা গেছে গা, কারে ছাইড়া কার কাছে যাই এমন অবস্থা আরকি তহন তো আর বুঝি নাই দরজা খুললো না কপাল ফাটলো, লাফাইতে লাফাইতে এক দরজা দিয়া ঢুইকা পড়লাম
ভালোবাসার দুষ্টু চক্করই ভালো আছিলো, অহন তো আর অফিসে ঝিমানো যায় না তারপরে কামে ঢুকনের সাত দিনও যায় নাই কয় বগুড়া যাও, রাজশাহী যাও, খুলনা যাও। নতুন পাইয়া আমারে দিন দুনিয়া ঘুরাইতে লাগলো আর আমিও কামের ফালতু চক্করে পইড়া দেশের এই মাথা থাইকা আরেক মাথায় ঘুরপাক দিতে লাগলাম। আগে তো তাও চউক্ষের দেখা পাইতাম অহন সেইটাও কপাল থেকে খইসা পড়লো। আবার ছিটিছেল তয় অহন মামুরা চালাক হইয়া গেছে, ফিরির দিন শেষ। তার উপরে সারাদিন মাইনসের বাড়ির ছাদে মাদে উইঠা রাইতে কতা কওনের এনার্জি শেষ। তয় কপালের নাম রাজ কপাল, মাস দুয়েক পরেই দেখি আর বাইরে পাঠায় না, ঢাকাতেই কত্ত কাম খুশিতে যখন ফাল দিতাছি আবার গেন্জাম
এইবার বাপ মায়ের ডাইরেক্ট হস্তক্ষেপ। সুখের দিনরে আল-বিদা, দুখের দিনের শুরু গেইম ওভার যারে কয়... তো সেই পরকাল জীবন থুক্কু বিবাহ জীবন নিয়া আরেকদিন পোষ্টাইবো, আইজকা যাই।
বিবাহনামার সেকেন্ড পার্ট : অর্ধমৃত সময়ের গল্প গুলো
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০০৯ বিকাল ৪:২১