১।কোন বিশেষ দিবস আসিলেই প্রকাশক অনর্গল লেখা পাইবার জন্যে চাপ দিতে আরম্ভ করিবে ,সেই মোক্ষম সময়ে লেখা ছাপা হইবার পর সৌজন্য কপি যাওবা চাইয়া পাওয়া যায় ,সম্মানী আর পাওয়াই যায় না।লেখক হইয়া নিজেই অনর্গল ফোনের পর ফোন করিয়া প্রকাশকের ব্যস্ততা দেখিতে হয়।
শারীরিক ক্রিয়া সাধনের পর ভদ্র লোকেরা কখনোই টাকা পয়সা লইয়া দর কষাকষি করে না,সুবোধ বালকের মতোন দালালের হাতে পুরো সন্মানী দিতে বাধ্য থাকে।সুতরাং ক্লায়েন্টের সাথে দেনা পাওনা লইয়া বাগ বিদন্ডা হওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
২।আগের লেখার মূল্য পরিশোধ হইবার আগেই পরের লেখার জন্য অনর্গল অনুরোধ আসিতে থাকে।লেখা যার নেশা এবং পেশা -তাকে পুনরায় রাত জাগিয়া একটা আর্টিকেল দাঁড় করাইতে সময়ের পর সময় খরচ করিতে হয়।
প্রশ্ন যখন শরীর তন্ত্রের তখন তেমন কোন প্রাথমিক প্রস্তুতি না থাকিলেও চলে,কারো সাথে পূর্ব পরিচয় থাকিবার কোন প্রয়োজন এখানে মূখ্য নয় ; কেবল ভূমধ্য লোহিত সাগর হইতে গলন্ত লাভার আবির্ভাব -কয়েক সেকেন্ডের ব্যপার মাত্র।
৩।বছরে যাও বা দু’এক খানা বই প্রকাশের ইচ্ছা জাগ্রত হয় মনে তাও আবার বিফলে যায় কিছু প্রকাশকের উচ্চতর চাহিদার কারণে ,খাস জমির মূল্যের মতোন কাগজের দাম আচমকাই বাড়িয়া যায় তখন।
সময় যতো গড়াইবে, অভিজ্ঞতাও ততো বাড়িবে যতো দিন দেহে বয়সের টান না ধরিয়াছে এই চামরা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা সম্ভব।কেবল কিছু বিজ্ঞাপনী সতর্কীকরনের দিকে খেয়াল রাখিলেই চলিবে।
কেবল মাত্র লেখক হইবার স্বপ্ন যেইদিন হইতে আমার কুলাঙ্গার দুই চোখে আসিয়া আসন পাতিয়াছে সেই দিন হইতে টের পাইতেছি-এ পথে হাঁটা এতো সহজ নারে ময়না।কাগজে বড় বড় অক্ষরে নিজের নাম দেখিয়া কি আর এই পেটের জ্বালা মিটে??
লেখক মানেই এই দেশে রাষ্ট্র-দ্রোহী,লেখক মানেই ভবঘুরে ,লেখক মানেই যার আসলেই আর কোন কাজ কাম নাই।