একদা ছিল এক সুচ আর এক চালন। কথা প্রসঙ্গে একবার চালন সুচকে বলল, "ভাই তোমার প্রস্তদেশে তো ছিদ্র।" চালন মহাশয়ের কথা শুনে বেচারি সুচ প্রকাশ করার মত কোন বাক্য খুঁজে পেল না। তবে মনে মনে তুমুল হাসির ঝড় প্রবাহিত হল সুচের।
আমি কাল রাতের কথা বলছি। রাত তখন প্রায় ২.৩০ মিনিটের কাছাকাছি। সুদূর চীন দেশ থেকে আমার কাছের বড়ভাই ফোন দিয়েছে। একটা জরুরী বিষয় নিয়ে কথা বলছি।
এর মদ্ধে আমার অতি মাত্রায় রসিক বন্ধু রাজন রহমান আর আমাদের অতি প্রিয় পণ্ডিত বন্ধু (কাল্লু কাদের) আব্দুল কাদের বলল যে পলাশী তে যেতে হবে চা সিগারেট খাওয়ার জন্য (যদিও আমি ছাড়া বাকি দুজন অধূমপায়ী)।
পলাশীতে গিয়ে তিনজন রাস্তার মাঝবরাবর বসে চা গিলছি। আমাদের পাসেই একটি সুন্দরী বালিকা তার কয়েকজন বন্ধু মহাদয়কে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। আমরা অবাক হইনি কারণ কিছুকিছু নেশাগ্রস্থ ছেলেমেয়েকে মাঝে মাঝে সারারাত ব্যাপি পলাশীতে আড্ডা-উড্ডু দিতে দেখা যায়। জানিনা এদের বাড়িঘর কিংবা পরিবার আছে কি না!
রাত তখন তিনটার কাছাকাছি হবে। রিকশাতে করে ২ টি মেয়ে ও একটি ছেলে আমাদের পাশ দিয়ে গমন করছে। এমতাবস্থায় রিকশার গমনরত একটি মেয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী মেয়েটির দিকে তাকিয়ে উচ্চস্বরে বলে উঠল ছিঃহ!
"ছিঃ" এর সাথে "হ" মিলিয়ে "ছিঃহ"। আপনি নিজেই উচ্চারণ টা করে দেখুন বেশ মজার শোনায় কিন্তু।
যাইহোক কাল হয়তো আমাদের কাছাকাছি যে মেয়েটি বসে তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল সে রিকশা গমনরত মেয়েটির "ছিঃহ" বলাটা শুনতে পায়নি। আর শুনতে পেলেও সুচ-এর মত মনে মনে হেঁসে উঠেছিল কি না তাও জানিনা।
মেয়েটি পতিতা ছিল কি না সে প্রশ্ন আসছে না, বা রিকশাতে করে যে মেয়েরা গমন করছিল তারা পতিতা কি না সেটাও আলোচ্য বিষয় নয়। তবে তারা সবাই যে এক শ্রেণীর মেয়ে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কথাটি ভাবতেই আমার মনের কোণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও হাঁসি চলে আসছে। কিন্তু উচ্চস্বরে হেঁসে ওঠার সাধ্য আমার নেই পাছে মানুষ আমাকে না পাগল ভেবে বসে।