ব্রিটেনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ আসার মাত্র দুইদিনের মধ্যে মুক্তি পেল আটক পাঁচ ব্রিটিশ নাবিক৷ বুধবার ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী এই মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ব্রিটিশ সরকার এটিকে তাদের কূটনৈতিক দক্ষতা বলে মনে করছে৷
তথ্যসূত্রঃ ডয়চে ভেলে
এর আগেও ২০০৭ সালের মার্চ মাসে ইরানের হাতে ব্রিটিশ নাগরিক আটক হওয়ার ঘটনা ঘটে৷ সেবারও কূটনৈতিক উদ্যোগের কয়েকদিন পরে আটক ব্রিটিশ নাগরিকদের মুক্তি দেয় ইরান৷ সে বছর আটককৃতদের সংখ্যা ছিল ১৫৷ এবার আটক করা হয় ৫ জন ব্রিটিশ নাবিককে৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা অবৈধভাবে ইরানের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করেছিল৷ এজন্য ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী বাহরাইন থেকে দুবাই যাওয়ার পথে তাদের আটক করে৷ ঘটনাটি ২৫ নভেম্বর ঘটলেও ব্রিটিশ সরকার এটি প্রায় এক সপ্তাহ গোপন রাখে৷ অবশেষে সোমবার তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘটনার কথা প্রকাশ করে৷
এরপর থেকে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড কথা বলেন ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রী মানুশের মোত্তাকির সঙ্গে৷ এছাড়া লন্ডনে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতকেও ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে৷ এক্ষেত্রে ব্রিটেনের সুর ছিল অনেকটাই নরম এবং আপোশমুলক৷ তবে এরপরও আশংকা ছিল৷ কারণ ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটক নাবিকরা কোন খারাপ উদ্দেশ্যে ইরানের সমুদ্র সীমায় ঢুকে পড়েছে এমন কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তবে শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বয়ং ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী৷ এরপরই তাদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
ইরানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে৷ গর্ডন ব্রাউনের এক মুখপাত্র জানান, পুরো ব্যপারটি স্থির এবং কূটনৈতিক উপায়ে সুরাহা করা হয়েছে৷
মুক্তি পাওয়া পাঁচ ব্রিটিশ হলেন, লুক পোর্টার, অলিভার স্মিথ, অলিভার ইয়ুং, স্যাম আশার এবং ডেভিড ব্লুমার৷ এদের মধ্যে সর্বশেষ জন পেশায় রেডিও সাংবাদিক৷
Click This Link