ভারতের বিতর্কিত টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প নিয়ে ভারতীয় নেতৃত্বের সংগে কথা বলে এবং বাঁধ নির্মাণস্থল পরিদর্শন করে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদল ৬-দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার ফিরে গেলেন ঢাকায়৷
তথ্যসূত্র ডয়চে ভেলে
Click This Link
দলনেতা আবদুর রাজ্জাক ডয়চে ভেলেকে জানান, ভারতের মনোভাব ইতিবাচক ও বন্ধুসুলভ৷
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরে বরাক নদীর ওপর প্রস্তাবিত টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প নিয়ে নতুনদিল্লিতে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিদ্যুতমন্ত্রী ও জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সংগে আলোচনায়, তাঁরা বাংলাদেশ সংসদীয় দলকে আশ্বাস দেন, বাঁধ প্রকল্প রূপায়িত হবে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ বজায় রেখে, বাংলাদেশের প্রধান তিনটি আপত্তির কথা মাথায় রেখে৷ যেমন, এটি সেচ বাঁধ প্রকল্প হবেনা৷ হবে জলবিদ্যুত প্রকল্প৷ কাজেই, নদীর জল সেচের কাজে অন্যদিকে প্রবাহিত করা হবে বলে বাংলাদেশের আশংকা অমূলক৷ দ্বিতীয়ত, পরিবেশ দূষণ রোধে থাকবে অতিরিক্ত সতর্কতা৷ কারণ, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে তার প্রথম শিকার হবে ভারত নিজেই৷ তৃতীয়ত, শুখা মরশুমে বাংলাদেশের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর জলপ্রবাহ যাতে অব্যাহত থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে৷ বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের নেতা জলসম্পদ বিষয়ক স্হায়ী কমিটির প্রধান আবদুর রাজ্জাক মঙ্গলবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই সফর ফলপ্রসূ৷ ভারতের মনোভাব ইতিবাচক ও বন্ধুসুলভ৷
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর আশ্বাসের পুনরুল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণা বলেন, ভারত এমন কিছু করবেনা যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়৷ এই প্রকল্প দুদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে৷ অতিরিক্ত জল ধরে রেখে শুখা মরশুমে ধীরে ধীরে ছাড়া হবে৷
সংসদীয় দল টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পের স্হান পরিদর্শন করেন আকাশ পথে৷ কারণ, দুদিন ধরে প্রবল বর্ষণ ও খারাপ আবহাওয়ার দরুণ গুয়াহাটি থেকে স্থলপথে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে হেলিকপ্টারে ওপর থেকে যতটুকু দেখা গেছে, তাতে কোনো নির্মাণ বা স্থাপনার কাজ চোখে পড়েনি৷ যেসব তথ্যপরিসংখ্যান বাংলাদেশের দরকার তাও ভারত দেবে বলে জানিয়েছে৷ মোটকথা, পুরো ব্যাপারটা এখন দাঁড়িয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর - ডয়চে ভেলেকে একথা জানান, দলনেতা আবদুর রাজ্জাক৷ বিরোধী বিএনপি জোটের আপত্তি সম্পর্কে উনি বলেন, ২০০৩ সালে চারদলীয় বিএনপি জোট নদী কমিশনের বৈঠকে জলবিদ্যুত প্রকল্প নিয়ে কোনো আপত্তি তোলোনি৷ কাজেই এখন আপত্তি তোলার কোনো কারণ নেই৷