“দৃষ্টি ভঙ্গি” কথাটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। দৃষ্টি ভঙ্গি ও ব্যাক্তিত্ব একে অন্যর পরিপূরক। আমাদের সমাজে একজন মানুষকে সম্মান করে তার দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে ব্যাক্তিত্ব দিয়ে না। কারন মানুষের ব্যাক্তিত্ব ফুটে উঠে তার দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে। একজন ধনী লোক হলে যে শুধু তার কাছে ব্যক্তিত্ব আছে কথাটা ঠিক না। একজন গরিব, অসহায় মানুষের মধ্যেও ব্যাক্তিত্ব বোধ আছে। আজ সমাজে এই দৃষ্টি ভঙ্গির কারণে অনেক অশান্তি। ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন আপনার কাছের কোন প্রিয় মানুষের সাথে। যদি সেই মানুষটি অন্য কোন ব্যাক্তি দ্বারা টিজিং হয় তাহলে আপনার কেমন লাগবে ? উত্তরে হবে নিশ্চয় "খারাপ।" যদি আমরা এই ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গিটাকে একটু অন্যদিকে নিতাম, অন্য কোন চিন্তা করতাম। যদি আজ যেই মানুষটিকে অমি টিজিং করলাম সেই যদি আমার কাছের কেউ হত তাহলে আমার ক্ষেত্রে কি হত ? আমি কি করতাম তাকে ? যদি এই নেতি বাচক চিন্তা গুলো আমরা ইতি বাচক চিন্তায় রূপান্তর করি তাহলে আমাদের সমাজ কি পরিবর্তন হয় না। আমার ব্যাক্তিত্ব কি আজ ধূলোয় মিশে যেত ? ব্যাক্তিত্বতো এমন একটা জিনিস যে জিনিস বাজারে কিনে পাওয়া যায় না। যেটি নিজের থেকে দীর্ঘ দিন ধরে গড়ে তুলতে হয়। তাহলে কেন আমি নিজ থেকে আমার জমানো জিনিসটা সামান্য কিছু জিনিসের কাছে ছেড়ে দিব ? আপনি কি কখন চাইবেন যদি আপনার কাছে ১ কোটি টাকা জমানো থাকে আপনি সে টাকা গুলো কাউকে দিয়ে দিতে ? বা রাস্তায় ফেলে দিতে ? ব্যাক্তিতো তো এমন কিছু জিনিস বা বস্তু না যা দেখা যায়। তাহলে কেন আপনি আপনার মহামূল্যবান জিনিসটিকে অন্যর কাছে লেলিয়ে দিবেন ?
আপনি কি কখন এই প্রশ্ন গুলো নিজেকে করেছেন ?
আমি কে ?
আমার কাজ কি ??
কেন এই পৃথিবীতে আমার আর্ভিবাব ???
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২