ধুয়ে যাক সব রাগ, উত্তাপ, পাপ...
নিষ্পাপ করো মৃত্তিকা, বরষা।
জন্ম নিক একটা নতুন বৃক্ষ
তার ছায়ায় সাজবে প্রেম, সাজবে মনুষ্যত্ব;
পাতায় পাতায় থাকবে জীবন।
শিকড় গেঁথে থাকবে গভীরে,
সেই শিকড়ে থাকবে সত্য!
৪২ টি বছর, আমি এখনো শিকড় জালে বন্দী
সত্য-মিথ্যা, সততাহীন অনেক যুক্তি!!
বদলায় কাল, বদলায় রাজ, ইতিহাসও নেপথ্যে বদলায়
আমি সাধারণ, অতি সাধারণ; রাজ্য খেলায় নিরুপায়!
বরষা, তুমি শুনছো না কেন আমার আর্তনাদ?
আশ্রিত নয়, এক মুঠো মাটি নিজের বলিতে সাধ।
নুড়ির দামে জীবন মেলে, কড়ি মেলেনা শ্রমেও
ঘামের বেশে রক্ত যে ছিল, জানবে না কেউ-
ইতিহাসের শেষ দিনেও!
ঘাম ধুয়ে দাও, রক্ত থেকে যাক
দেখি, কতটা অবহেলা।
বরষা, তুমি ছুঁয়েছোতো অশ্রুস্নাত চোখ?
যেখানে স্বজন শোকের জ্বালা!!
ভেজাও আমায়, ভেজাও ওদের; শান্ত কর ক্ষোভ।
ভেজাও তাদেরও, যাদের চোখে অট্টালিকার লোভ।
নির্মল কর বাতাস, মোরা বুক ভরে নেই শ্বাস...
আবার এই মৃত্তিকায় হোক নিঃস্বার্থের আবাস।
------------------------------------------
"নিঃস্বার্থের আবাস"
রায়ান ঋদ্ধ
দুপুর ১:৩৩
শনিবার, ৬ জুলাই ২০১৩