Who Is Tonu? তনু কে? তনুকে তো আমি কখনো দেখি নাই। তনু কোথায় থাকে?
যতই অবুঝ ভঙ্গি করি, তবুও অবুঝ থাকতে পারি না। প্রতিবার ই এই বেদনার কথা মনে করিয়ে দেয়। ভুলার চেষ্টা করলেও ভুলে থাকা যায় না। এরকম আর কত তনুদের হারাবো? এরকম এক একটা তনু হারাবে আর উচ্চপদস্থ দালালগগুলো চুপ করে বসে থাকবে। আর আইনি কর্মকর্তারা তার প্রাপ্ত চেয়ারে বসে ছোটখাটো বলদমার্কা কথা বলবে, এটাই তাদের স্বভাব। আর দুএকবার বলবে, এটা এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তাছাড়া তাদের আর কিছু বলার থাকে না। কারন, আমি বুঝি, এসব কার্যক্রম তাহলে রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত হয়। তা যদি না ই হবে, তাহলে এখনও চুপ কেন? আর আমরা এই বাজে রাজনীতির ভয়ে ঘরে বসে থাকি। আমাদের এই ঘরে বসে থাকা সবচেয়ে বড় ক্ষতি। আমরা পরিবারে সতর্ক করিয়ে দিয়ে বলি, মেয়েকে একা বাহিরে যেতে দিও না। মেয়েকে স্কুল-কলেজ এ সাথে করে নিয়ে যাও। যতই সতর্ক সচেতন হউন বাবা, স্বাধীন হতে পারবে না। কারন, এখনও তুমি যুদ্ধ কি সেটা বুঝতে শিখো নাই।
শুধু শিক্ষিত হলে পায়ের উপর পা রেখে খাওয়া যায় না। একটু হলেও ঘাম ঝড়াতে হয় রে পাগলা। তেমন শুধু সচেতন হলে হয় না, সচেতন হওয়ার পাশাপাশি পূর্বে-পরে কি করতে হয়, সেটা সম্পর্কে পূর্ণ শিক্ষা নেওয়া দরকার।
তনু হত্যার পর দুইটা মাস কেটে যাচ্ছে। তনু তনু করে একটা মাস রাজপথ গরম হলেও, কোন বিচারের মুখ দেখা গেল না। তনু হত্যার প্রথম দিন থেকে যেমন উপর পর্যায়ে, সংবাদমাধ্যম এ কোন সাড়া ছিল না, তেমন এখনও নেই। তারা তনু কে সেটা ভুলেই গেছে। তারা হয়তো এখনও জানে না তনু নামে কেউ মারা গিয়েছিল। যদি সানি লিওন মারা যেত — তাহলে গণমাধ্যমগুলো তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনমাস না খেয়ে থাকবে। তনু তো সাধারণ, তনুকে নিয়ে মিডিয়ার কথা বলে কোন ফায়দা নেই। তনুর বাবা তো বিত্তবান না, যে গণমাধ্যমকে টাকা দিয়ে এই ঘটনা সারাবিশ্বকে জানাবে।
আর বিচার কক্ষে বিচারক কর্মকর্তারা তাদের আসনে বসে শুধু বিনোদন ই দেখে, বাংলার কোন প্রান্তে কি হচ্ছে, তা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা বাদ দিলাম। কারন, তারা শুধু জনসাধারণের উপর তাদের হিংস্র হস্ত ফেলে অর্থ লুফে নেওয়ায় ব্যস্ত। তনুকে তো ভাল্লুকে খেয়েছিল। তাহলে তনুর ভাইয়ের বন্ধুকে কেন কিডন্যাপ করেছিল দুর্বৃত্তরা? তনুর ভাইকে কেন বাহিরর যেতে দেওয়া হচ্ছিল না?
শেষকথার একটা কথা, এখানে উচ্চপদস্থ মাফিয়া জড়িত।
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর ৭১ এর রাজাকারদের ফাঁসি হয়। কিন্তু চাক্ষুষ প্রমাণ থাকা স্বত্তেও ধর্ষণ, হত্যা, গুম মামলা বিচার হয় না। আমার মনে হয়, চাক্ষুষ প্রমাণসহ ধর্ষণ, হত্যা, গুম মামলার বিচার সংবিধানে নেই। আমাদের কি সাগর-রুনির কথা মনে নেই? আমাদের কি বিশ্বজিৎ এর কথা মনে নেই? আমাদের কি টিএসসির চত্বরের জঘন্য কাহিনী মনে নেই? সব ই মনে আছে, কিন্তু আমরা চুপ করে আছি কেন?
একবার রাস্তায় এসে হুংকার দাও, দেখবে তোমার পাশে হাজারো লোক জড়ো হবে। আসুন অন্যায় দেখে বসে না থেকে প্রতিবাদ করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৫