গোটা জাতি তাকিয়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় শোনার জন্য। বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য-বর্বরতম এই গণহত্যাকান্ড শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কের বিরুদ্ধে ছিল না। বরং একটি পুরো জাতিসত্ত্বাকে ধ্বংস করাই ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ এর লক্ষ্য ছিল। ১৫ আগষ্টের কালরাতে খুনিরা বঙ্গবন্ধুর শিশপুত্র রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নারীরা পর্যন্ত কেউই রেহাই পাননি। শুধু প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, উনারা তখন জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকে পরিবারে হত্যার পর খুনিরা এই হত্যাকান্ডের বিচার করা যাবে না বলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ঘটনায় জেনারেল জিয়াও জড়িত ছিলেন এটা আত্মস্বীকৃত খুনিদের বক্তব্যেই প্রমাণিত।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় আর কয়েক ঘন্টা পরই জানা যাবে। আমরা চাই জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ডের পুন:বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বিডিআর সদর দফতরের ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিচার। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতামূলক পরিকল্পিত কোন ঘটনা ঘটানো হতে পারে এই ভেবে দেশময় নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে যাতে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে ষড়যন্ত্রকারির দল তার দিতে সরকারকে বিশেষ নজর দেয়া দরকার।
বঙ্গ´বন্ধু হত্যা মামলার রায় হচ্ছে, খুনিরা শাস্তি পাবে। জাতি কলংকমুক্ত হবে। এখন আর কাল বিলম্ব না করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করবে সরকার- এটা আমাদের প্রত্যাশা। বুদ্ধিজীবী হত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ এর সাথে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ৩০ লাখ শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না। একথাটি সরকারকে মনে রাখতে হবে।