আমাদের দেশের #আইন ব্যবস্থাই মুলত দেশের সকল #কুকর্মের জন্য দায়ী।
এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে সবার আগে একটি প্রশ্নই উত্তর হিসেবে আমার মাথায় আসে। “কীভাবে আর কত ভাবে আমাদের দেশের আইন ব্যবস্থা সকল কুকর্মের জন্য দায়ী না? আমাদের দেশে আদৌ কী কোন আইন আছে!!”
প্রশ্নটা আমার কোন দল এর সমর্থক হয়ে না বরং একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে। আমার মতো আরো লক্ষ লক্ষ মানুষের এই একই প্রশ্ন।
একটি বিষয় নিয়ে আজ আমি লিখতে চাচ্ছি। পত্রিকা খুললেই রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের চোখে খুব বেশি দিনের নয়। কিন্তু পত্রিকা খুললেই বছরের পর বছর ধরে দেখে আসছি ধর্ষণের খবর এবং শুধু ধর্ষণ করেই ধর্ষকেরা বসে থাকে না, ধর্ষণের পর তাকে (মেয়ে) দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দেন। একটা জীবনের কতটুকু দাম!!
তবে সবচেয়ে বড় দুঃখের কথা হলো এই ধর্ষকেরা তাদের অপরাধের কথা অবলিলায় স্বীকার করে নেয় আদালতে।
ছোটবেলায় ক্লাসে দেখেছি কেউ কোন বড় দুষ্টামি করলে (যখন কে দুষ্টামি করেছে স্যার বুঝতে পারেন না) স্যার বলেছেন, ”কে কাজ টা করেছে তাড়াতাড়ি স্বীকার করো, তাহলে সাজা অনেক কম করা হবে, এমনকি মাফ ও করে দেয়া হতে পারে “। কিন্তু এই নিয়ম টা, এই আইন টা যে আমাদের দেশে বড় বড় অপরাধের ক্ষেত্রেও কার্যকর করা হবে পরবর্তীতে তা কখনো বুঝে ওঠার অবকাশ পাইনি। এই আইন টাই আমাদের দেশে চলে বলে ধর্ষ কেরা ধর্ষণ করে যাকে তাদের পছন্দ হয়, কারণ টা একটাই হয়তো। পুলিশ ধরে সর্বোচ্চ আদালতে নিয়ে যাবে, কয়েকদিন রিমান্ডে রাখবে, হয়তো কখনো কখনো সামান্য মারধর করবে, তারপর আদালতে সব অপরাধের কথা বুক ফুলিয়ে স্বীকার করবে।কারণ তারা জানে দোষ স্বীকার করলেই সাজা হবে কম। হয়তো কয়েক বছর জেল সাথে কিছু অর্থদন্ড।
কিন্তু একটা কচি জীবনের মূল্য কী শুধু এই?
কেন তাদের দৃষ্টান্তমুলক ভাবে শাস্তি দেয়া হয় না এটাই আমার মাথায় আসে না। অপরাধি তার অপরাধ স্বীকার করার পরও তার শাস্তি দিতে এতদিন লাগে কেন?? অপরাধ স্বীকার করার পর আর কীসের চিন্তা ভাবনা!!! হত্যার বদলে তো হত্যাই আইন হওয়া উচিৎ। তাই না কী??
কিন্তু আশ্চর্য লাগে আমার ঠিক এই প্রশ্নটা করার পরেই। এই প্রশ্নের জবাবে পৃথিবীর সকল মানুষই বলবে হ্যা হ্যা তাই। সবাই ধর্ষণের বিরুদ্ধে , কেউ ধর্ষণকে সাপোর্ট করে না অথচ তবুও ধর্ষণ হয়, হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎেও হবে। কারণ মানুষ মুখোশ পড়ে।
এবং একারণেই আইনকে প্রশ্ন করতে হয় আমাদের। প্রশ্ন ছাড়া আমার আর কী ই বা করতে পারি! আইন শুনেছিলাম অন্ধ, কিন্তু না, আইন বোবা ও। আইনের হজম করার এত ক্ষমতা যে লক্ষ লক্ষ মানুষের কোটি কোটি প্রশ্ন হজম করে নেয়।
চলো পাল্টাই মুভি দেখে তখনই বলে ফেলি, “দোস্ত চল পাল্টাই”। কিন্তু এটাও এক অপরাধ। মুখে বলি চলো পাল্টাই, কিন্তু কাজকর্মে গেলে কত সহজে বলি “বাস্তবতা অনেক কঠিন রে দোস্ত, পাল্টানো যায় না”।কিন্তু আপনি হয়তো জানেন বা জানেন না, ধর্ষকেরাও মুখে মুখে ধর্ষণের বিরুদ্ধেই থাকে।
আপনার বাস্তবতা হয়তো কঠিন হতে পারে, কিন্তু সেটা অবশ্যই একটা শিশু জীবন চলে যাওয়ার মতো কঠিন না।
তাই সত্যিই চলো পাল্টাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭