১.
বাইরে শন শন করে বাতাস বইছে।
সাৎ করে রুমের জানালা টা খুলে গেল। বই এর পাতা গুলো উরতে শুরু করে দিয়েছে রিতীমতো। রুমের লাইটা টাও দেওয়া নাই। একটা গ্লাস ভাঙ্গার আওয়াজ পেলাম। ঝড়ের কারণে সব কিছু তোলপাড় অবস্থা। কিন্তু এখন রোমান্সের ঝড় উঠেছে যে, বাইরের ঝড় এর কোন খেয়াল নাই কারো।
উফ! কারেন্ট চলে গেল।
ওহ শিট, এসব টানিং পয়েন্টে এসে এরকম হলে কার না গা জ্বলবে। মুভি টাও অসাম ছিল।
দেখি নাই বাট শুনেছি। আমি হরর মুভি, তারপর ভ্যাম্পায়ার, ড্রাকুলা এসব মুভির অনেক বড় ফ্যান । অনেক কষ্ট করে ফ্রেন্ড এর কাছে থেকে ভ্যাম্পায়ার এর এই মুভিটা কালেকশন করেছি। নাম টাও ঠিক মতো দেখি নাই। আমার কাছে ভ্যাম্পায়ের একটা মুভি হইলেই হইলো। কয়েকদিন আগেই মুভিটা কালেকশন করে রেখেছিলাম। শুধুমাত্র আম্মুর গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু যেই সেই অপেক্ষার ঘোর কাটলো, লোডশেডিং এর যন্ত্রনায় সব মাটি। খুব এক্সাইটেড ছিলাম, তাই রাগে সারা শরীর এই শীতেও ঘেমে যাচ্ছে।
আজ সারা বাড়ি তে আমি ছাড়া আর কেউ নাই। এক্সাইটমেন্ট এর ঠেলায় সব গুলায় খাইছিলাম। কিন্তু এখন তো আস্তে আস্তে ইমোশন টা কাজ করতে লাগছে দেখছি।
এখন একটু একটু ভয় ও লাগতেছে। নিজেই না আজ ভ্যাম্পায়ার হয়ে যাই!
যাক বাবা, বাঁচা গেল। ঘন্টা খানিক না যেতেই কারেন্ট চলে এসেছে। এতোক্ষণ তো কানে হেডফোন দিয়ে ফুল ভলিউমে গান শুনছিলাম, তাই ভয় তা তেমন কাজ করে নাই। কিন্তু এখন আর দেরী কিসের! পিসি ছেড়ে দিয়ে আবার মুভিটা দেখতে বসে গেলাম। মুভিটা তখন ৩৩ মিনিট পর্যন্ত দেখেছিলাম, কিন্তু এবার দেখার সময় আর টানতে ইচ্ছে হলো না। আবার প্রথম থেকেই দেখতে আরম্ভ করলাম মুভিটা। কারণ মুভিটার প্রথম টাতে একটু রোমান্টিক কিছু আছে। মজা করে দেখতেছি। ২৯ মিনিটে সেই রোমান্টিক কাহিনীটা। কাহিনী তা একটু ১৮+ টাইপের বাট তেমন কিছু না।
ইংলিশ মুভির এই একটা সমস্যা, হুটহাট কিসমিস খেয়ে সাবার করে দেয়। এইতো এখন ঝড় শুরু হয়েছে, আর রোমান্সের পালা শুরু। আবার সেই বই বই এর পাতা উরাউরি। আবার সেই. . . .
লোডশেডিং!
রাগের চোটে এক গ্লাস পানি খাইলাম ঢকঢক করে। মাথা টা ঝিম ধরে গেছে রাগে। এখন প্রায় ১০ টা বেজে গেছে কিন্তু কোন ক্ষুধা লাগেনি। তার উপর বাসায় কেউ নাই, খাওয়া দাওয়া সব বাদ। আবার হেডফোন লাগিয়ে ফুল সাউন্ড দিয়ে গান শুনতেছি।
এখন ১১ টা ৯ বাজে।
এই টাইমে কারেন্ট এসেই আর কি হবে! মুড টাই অফ।
চিন্তা করলাম আজ রাতে আর মুভি টুভি দেখবো নাহ। কিন্তু আর ভালো লাগলো না। কেবল তো ১১ টা ২৭ বাজে, মুভি টা দেখাই যায়। পিসি টা অন করে আবার মুভি দেখা শুরু করলাম।
রিয়ার ফোন। কেবল তো ৩ মিনিট হইছে মুভিটার। খুব মনযোগ দিয়ে মুভিটা দেখতে হবে তাই এখন কথা বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু প্রথম একটু তো দেখাই আছে। ফোন টা রিসিভ করে মুভিটা নিয়েই গল্পো করলাম রিয়ার সাথে। আধা ঘন্টা কথা বলার পর ফোন রাখলাম। ঝড় শুরু হচ্ছে। কিন্তু এবার আর মেজাজ খারাপ হলো না। ওটার জন্য যে মুড টা লাগে সেটাও আর নাই।
মুভিটা কি দেখতে দিবেনা নাকি এই
কারেন্ট? ?
এখন ১২ টা বাজে। কিন্তু এবার ৩ মিনিট পরেই চলে আসলো কারেন্ট। মুড আর নেই, পিসি অফ করে শুয়ে পরলাম।
এবার আর ফুল ভলিউমে গান শুনতেছি না। বিষয় টা নিয়ে অনেক কনফিউজড।
৩ বার মুভিটা দেখতে গিয়ে কারেন্ট চলে গেল, তাও আবার ৩ বার ই ৩৩ মিনিটে। লাস্ট বার ৩ মিনিট মুভি দেখার পর রিয়া ফোন দিল, আবার ১২ টার দিকে কারেন্ট গিয়ে ৩ মিনিট পরেই আসলো।
আদৌ ৩৩ মিনিটের পর মুভিটা আছে কি??
এর পিছনে তো অবশ্যই কোন রহস্য আছেই।
তাইলে কি সেই রহস্যটা? ?
এসব প্রশ্নে আজ আর ঘুম ই হবে নাহ।
২.
বেলা ১১। এতো সকাল পর্যন্ত ঘুমাই না। কিন্তু আজ সুযোগ টা কাজে লাগাইছি, বাড়িতে তো কেউ নাই। জানালা খুলে দিতেই বাইরে থেকে রোদ হুরমুর করে ঘরে প্রবেশ করলো। আজ শীতের দাপট ও তেমন নাই। দড়জার নিচ দিয়ে পেপার টা দিয়ে গেছে। পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে পেপার পড়ায় মন দিলাম।
ধুর! পেপারে আজকাল কোন খবর ই দেয় না। সব কিছুতেই ভেজাল, পেপার ও এখন রাজনৈতিক মাথা দের কেনা।
ক্ষুধা লেগেছে, ফ্রেশ হয়ে নিই। আম্মু ফ্রিজে রান্না করে রেখেছে আমার জন্যে, তাই এক দিক থেকে এই রান্না করা থেকে অন্তত বেচে গেছি। খাবার টা গরম করে ঝটপট খাওয়া দাওয়া সেরে আবার পিসি তে বসে পরলাম। কিছু একটা আমার চাইই।
কিন্তু কিভাবে? কোথায় থেকে কি খুজবো ভেবে পাচ্ছি না।
উফ,,মাথা টা গরম হয়ে যাচ্ছে। কিভাবে কি করি! একের পর এক কাহিনী পড়েই যাচ্ছি।
কিন্তু একটা কাহিনী পড়ে খুব মজা পেলাম।
কাহিনী টা দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে। ১৬০০ সালের এপ্রিল মাসে ক্যাপ্টেন হেনড্রিক ভ্যান ডার ডেকেন তার জাহাজ নিয়ে বের হন। তার ইচ্ছা ছিল তিনি সমগ্রবিশ্ব ভ্রমণ করে আবারও তার প্রিয় দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। কিন্তু তার ইচ্ছা টাকে সফল করতে পারেন নি। তার জাহাজ আর কোনদিন ফেরেনি, ভয়াল সমুদ্র তা গ্রাস করেছে। আজও গভীর সমুদ্রে একটি নাবিকশূন্য ভূতুড়ে জাহাজের দেখা মেলে।
জাহাজ টির নাম ছিল “দ্য ফ্লাইং ডাচম্যান”। কেপ টাউনের অধিকাংশ ভবনগুলো ১৬৬৬ থেকে ১৬৭৯-এর মধ্যে নির্মিত। এদের মধ্যে অন্যতম হল ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানী দ্বারা নির্মিত গুড হোপ ক্যাসল। মূলত এটি নির্মিত হয়েছিল বন্দীশালা হিসেবে ব্যবহারের জন্য। ১৯৩৩ সালের এপ্রিল মাসেই গভর্নর পিটার গিসবার্থ ভ্যান নু্যড ৩ জন সৈনিককে কারাদণ্ড দেন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড এ ক্যাসেলেই কার্যকর হয়। সেই সৈনিকেরা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাদের নির্দোষ বলে দাবী করেছিল এবং বারবার গিসবার্থকে বলেছিল যে ঈশ্বর একদিন তাদের অবিচারের শাস্তি গভর্নর গিসবার্থকে দিয়েই ছাড়বে। কিন্তু তার ঠিক ৩ দিন পরেই অজানা কারণেই গিসবার্থও মারা যায়। এর কারণ টা সবার অজানা।
তবে অনেক ঘাটাঘাটি করে এর কারণ টা খুজে বের করতে সক্ষম হয়েছি।
এর মধ্যে এখনো অনেক অনেক রহস্য লুকায়িত আছে। পরোটা এখনো বের করতে পারিনি, তবে পারবো ইনশাআল্লাহ।
মাথায় খটকা লাগলো সেনাদের ফাসি হওয়ার ৩ দিন পরেই গিসবার্থ
মারা গেল কিভাবে??
কিন্তু হেনড্রিক ভ্যান ডার ডেকেন এর জাহাজ টার সাথে গিসবার্থ এর মৃত্যুর কোন কাহিনী আছে কি?
কেননা হেনড্রিক এর মৃত্যুর ঠিক ৩৩৩ বছর পরে এপ্রিল মাসেই গিসবার্থ এর মৃত্যু হয়।
ঘটনার রহস্য নিয়ে ভাবতে ভাবতে তো নিজেই আর কিছুক্ষণ পর একটা ঘটনা ঘটে ফেলবো মনে হচ্ছে।
এখন বাজে ৩ টা, ক্ষুধায় পেট চো চো। আগে খেয়ে নিই, রহস্যের
বাকিটা পরে ভাবা যাবে।
৩.
পুরো একটা দিন এভাবে বসে বসে কাটালাম। চিন্তা করা টা যদি কোন কাজ হয়, তাইলে বসে কাটালাম বলা ভূল ই হবে। কেননা এর রহস্য উদঘাটন দু'চোখের পাতা এক করতে দিলে তো! তবে কাজ টা বিফলে যায় নাই।
বিষয় টা আরো ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এখানে আরো অনেক কিছু লুকায়িত আছে যা বাহ্যিক দৃষ্টিতে অগোচর।
তখন আগে আমি ৩ সেনা দের নিয়ে চিন্তা করি। এরা আসলে কে কি ছিল, আর কেনোই বা এদের ফাঁসিতে দেওয়া হয়েছে!
সেনা ৩ জন ছিল কেপ টাউনের ঈ বাসিন্দা।
তাদের ফাসির কিছুদিন আগে থেকে কেপ টাউনে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। যে ৩ সেনার ফাসি দেওয়া হয় আশ্চর্যজনক ভাবে তাদের চেহারার অনেক মিল ছিল। অথচ তাদের আগে থেকে কোন পরিচয় ই ছিল না। কিন্তু তন্মধ্যে এক জন ছিল গিসবার্থ এর প্রধান সেনা।
এক রাতে গিসবার্থ তার পরিবার নিয়ে বাইরে বের হন। সঙ্গে তাদের এক মেয়েও ছিল। মেয়েটার নাম হেলেন গিসবার্থ ভ্যান নুযড। হেলেনকে সেই সময়ের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে সবাই চিনতো। সেই রাতে এক জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গাড়ি টার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে পড়ে।
সব কিছু চেক করেই তারা বের হয় কিন্তু হঠাৎ গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছিল না।
তারা তাদের পাশেই একটা পুরোনো বাড়ি দেখতে পেল।
যা হোক, তারা সে বাড়িতে রাত টা থাকার জন্য ডিসিশন নিল। বাড়িটার ভিতরে থাকার সব সরঞ্জাম ঈ ছিল। তাই তাদের থাকতে কোন
প্রবলেম হলো না।
কিন্তু হঠাৎ রাত ১২ টায় একটা অদ্ভুত টাইপের এক জন কে দেখতে পেলো হেলেন। আবার তৎক্ষণাৎ হারিয়ে গেলো লোকটি। ভালো ভাবেই সকাল হলো। সবাই তাদের গন্তব্যে চলে গেলো কিন্তু তার পর থেকেই মেয়ে কে অন্য রকম লাগছে গিসবার্থ এর কাছে।
হেলেন আর আগের মতো হাসে না, ব্যাপার টি অন্য রকম মনে হলো গিসবার্থ এর কাছে। ঘটনার শুরু সেই রাত থেকেই।
অনাবশ্যক কারণে সেই রাতে হেলেন মারা গেল। মারা যাওয়ার আগে হেলেন গিসবার্থ কে সেই রাতের লোকটির কথা খুলে বলেছিল।
কিন্তু স্কট ওখানে কিভাবে গেল? স্কট তাহলে আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে!??
এতোদিন ও তাহলে আমাদের কাছে এক ছদ্দবেশে ছিল মাত্র! ও
তাহলে একটা ভ্যাম্পায়ার?
নিজে নিজে এসব ভাবতেছিল গিসবার্থ। স্কট কে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
হেলেন মারা যাওয়ার পর তার গলায় রক্ত চোষার দাগ পাওয়া গেছে। ভ্যাম্পায়ার এর স্বীকার হয়েছে হেলেন এটা তো শিওর। কিন্তু
আদৌ কি সে স্কট ছিল?
গিসবার্থ এর প্রধান সেনা স্কট, কিন্তু স্কট তো তারা সেই রাতে বাইরে বের হওয়ার আগের দিন তার দায়িত্বচ্যুত হয়েছে।
মিথ্যা অভিযোগে স্কটকে তার রাজ্য থেকে বের করে দেয়া হয়। আর এই কারণেই গিসবার্থ তার মেয়ের কথার সত্যতা যাচাই না করে স্কটের ফাসির হুকুম জারি করেন।
স্কট কে ধরে আনার জন্য সেনা পাঠানো হয়েছে।
পুরো কেপ টাউনে অসংখ্য সেনা পাঠানো হয় স্কট কে ধরার জন্যে। রাতের মধ্যেই সেনারা স্কট কে নিয়ে রাজ্যে ফিরে আসে। কিন্তু যখন তারা স্কট কে কারাগারে পাঠায় তখন সেখানে ৩ জন স্কট কে পাওয়া যায়। ৩ জনের চেহারা এক রকম হওয়ায় সেনাদের ৩ দল ৩ জনকেই ধরে নিয়ে আসে।
গিসবার্থ এর মতে এরা ৩ জন ই ভ্যাম্পায়ার, তাই তিনি ৩ জনের ই ফাসির হুকুম দেন।
তারা নিজেদের নির্দোষ বলে কাকুতি মিনতি করে কিন্তু তাদের ফাসির রায় কার্যকর করা হয়।
কেপ টাউনে ফাসি কার্যকর করা হয় রাত ৩ টায়। কিন্তু ৩ টা ৩৩ মিনিটে স্কটদের ফাসি দেওয়া হয়। ফাসি হওয়ার আগে তারা ৩ জন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে যে, তাদের যে অভিযোগে ফাসি দেওয়া হচ্ছে গিসবার্থ এর মৃত্যু যেন সেই ভাবেই হয়। অত:পর তাদের ফাসির ৩ দিন পরেই গিসবার্থ এর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু ও সেই রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারের হাতেই হয়।
কারাগারে স্কট ছিল সত্তি সত্তিই একটা রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার। ফাসির কয়েক মিনিট আগে স্কট তার বাকি দু'জন এর রক্ত খেয়ে ভ্যাম্পায়ার বানিয়ে দেয়। তাদের মিথ্যা ভ্যাম্পায়ার হওয়ার দোষে ফাসি দেওয়ায় তার ৩ দিন পর তারা গিসবার্থ এর রক্ত চুষে মেরে ফেলে।
তবে এই মৃত্যুর সাথে হেনড্রিক এর কোন হাত নেই। সে শুধু স্কটের রক্ত চুষে স্কটকে ভ্যাম্পায়ার বানিয়েছে। বাকিটা স্কট ই
করেছে।
আসলে এটা হলো বাহ্যিক দৃষ্টিতে। প্রকৃতপক্ষে পুরো প্লান টাই হেনড্রিক এর।
গিসবার্থ কে মারাই হেনড্রিক এর উদ্দেশ্য ছিল।
১৬০০ সালের দিকে জ্যুন গিসবার্থ ভ্যান নুযড ছিলেনহেনড্রিক এর খুব ভালো বন্ধু। জ্যুন ভ্যাম্পায়ার বিশ্বাসী ছিলেন এবং রিতীমতো ভ্যাম্পায়ার এর উপাসনা করতেন। জ্যুন একটা সময় থেকে চিন্তা করতে লাগলেন সে একটা ভ্যাম্পায়ার। সে রাত করে বের হতো লাগলো প্রতিদিন রক্তের খোজে এবং প্রতিদিন ৩ জনের রক্ত পাণ করতো।
এভাবে সে নিজেকে ভ্যাম্পায়ার রুপে তৈরি করলো।
যেদিন হেনড্রিক জাহাজে ভ্রমণে বের হয়েছিল, সেদিন জ্যুন ও আরো কয়েকজন ছিল সাথে। মাঝপথে সমুদ্রে প্রচুর ঝড় ওঠে হঠাৎ করেই। ঝড় টা ছিল জ্যুন এর ই সৃষ্টি। জাহাজ যখন ডুবতে শুরু করেছিল তখন জ্যুন হেনড্রিক এর রক্ত চুষে মেরে ফেলে। তাই হেনড্রিক এর মৃত্যু পানিতে হয়নি বলে জানা যায়।
কিন্তু মৃত্যুর পরে হেনড্রিক ভ্যাম্পায়ার হয়ে যায়, এবং জ্যুন গিসবার্থ এর বংশ ভ্যাম্পায়ার বানানোর সংকল্প করেন।
এবং সফল হন।
হেলেন গিসবার্থ ভ্যান নুযড সেই সময়ে একটা মুভির শুটিং শুরু করেছিলেন। কিন্তু মুভিটা শেষ করার আগেই হেলেন ভ্যাম্পায়ার এর স্বীকার হয়ে যান। তিনি যখন মারা যান তখন মুভিটার ২৯ মিনিট পর্যন্ত কম্প্লিট ছিল। কিন্তু মুভির ৩৩ মিনিটেও হেলেন কে একরোমান্টিক
দৃশ্যে দেখা যায়।
কিন্তু ২৯ মিনিটের পর মুভিতে হেলেনের জায়গায় ছিলো তার মৃত দেহ।
শুটিং টি করার সময় সেখানে অনেক ঝড় হয় কিন্তু ঝড় টা শুধুমাত্র ওই জায়গাতেই হইছিল। ব্যাপার হলো এই ঝড় মুভির ডাইরেক্টর কতৃক সৃষ্ট নয়, ভ্যাম্পায়ার হেলেনের সৃষ্ট।
৩৩ মিনিট পর্যন্তই মুভিটা করা সম্ভব হয়েছিল। কারণ, সেই ঝড়ে অভিনেতা টি ও মারা যায়। হেলেন এর কাছে সে ও রক্ষা পায়নি।
এবার আর কিছু বুঝতে বাকি রইলো না। অবশেষে মুভিটার রহস্য উদঘাটন করলাম।
পরের দিন মুভিটা যার থেকে পেয়েছিলাম তার কাছে গেলাম। সে মুভির সিডি টা কোথায় পেয়েছে নিজেও জানেনা। তার ক্ষেত্রেও নাকি একই ঘটনা ঘটে।
কিন্তু সব রহস্য পেলাম কিন্তু ৩৩ মিনিটে কারেন্ট চলে যাওয়ার রহস্য
টা এখনো রহস্য ৩৩. .
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:২২