সকাল এখনো হয়নি। একটু একটু আলোর দেখা
দিচ্ছে মাত্র। এর মধ্যেই ঘুম টা ভেঙে গেছে।
ধুর! না,, এই মেয়েটা আমাকে ঘুমাতে দিবে
না। নিজেই ঝগড়া করি, আর নিজেই থাকতে
পারিনা। কাল রাতে ঝগড়ার মাত্রা টা
হয়তো বেড়েই গিয়েছিল। অবশ্য রুপন্তির
কোন দোষ ছিলো না। না বুঝে, না শুনে কি
না কি বলে দিলাম! স্যরি বলতে হবে ওকে,
আর যতোক্ষণ না স্যরি বলবো ততোক্ষণ শুধু
ছটফট করতে হবে।
বেলকুনি তে এসে একটা সিগারেট লাগিয়ে
বসলাম। সিগারেট শেষ হতেই আযান দিয়ে
দিলো। চোখের সামনে অন্ধকার আস্তে
আস্তে আলোতে পরিণত হলো। অনেকদিন
এরকম দৃশ্য দেখা হয় না। ঝগড়া না করলে তো
ঘুম থেকে উঠতে মিনিমাম ১০ টা বাজাইতাম।
সেদিক থেকে প্রত্যেহ ঝগড়া স্বাস্থের
ব্যাপক কাজে লাগবে,, আর এরকম সকাল
হওয়ার দৃশ্য দেখা মিস করতে হবে না তাইলে।
এখন থেকে রুটিন করে ঝগড়া করবো রুপন্তির
সাথে। রাতে ঝগড়া করে দু'জন ঈ এদিক
সেদিক করতে করতে ঘুমিয়ে পড়বো। কিন্তু
কারোই ঘুম হবে না। মাঝরাতে হঠাৎ করে
জেগে উঠবো। তারপর একসাথে সকাল হওয়া
দেখবো। সকাল হয়ে গেলে ঝগড়া শেষ। এটাই
হবে আমাদের ঝগড়ার রুটিন।
সকাল টা আজ খুব সুন্দর। মন টা একদম ফ্রেশ
হয়ে গেল। ঝগড়ার কথা ভূলে গিয়ে রুপন্তিকে
ফোন দিলাম। স্যরি বলতে হবে কাল রাতের
জন্য।
ক্রিং ক্রিং ,,, ক্রিং ক্রিং, ,,,,,,,
ফোনটা ১বার বাজতেই ওপাশ থেকে আমার
হুর-পরী টার কন্ঠ শুনতে পেলাম। এই কন্ঠটা
শুনলেই যেন মনে আর কোন কষ্ট থাকে না।
আমি: হুম (ফোন রিসিভ করার পর)
রুপন্তি: হুম।
আমি: কি ব্যাপার ! তুমি ঘুমাওনি?? ফোন
দেয়া মাত্রই,,,,,
রুপন্তি: উঁহু! হঠাৎ ঘুম টা ভেঙে গেছে।
আমি: আচ্ছা শোনো ,, স্যরি
রুপন্তি : হুম।
আমি: হুম।
রুপন্তি: আচ্ছা শোনো, ,, আমরা এখন থেকে
রোজ ঝগড়া করবো, কেমন? ?
আমি: মানে কি!
রুপন্তি : হ্যা। আমরা এখন থেকে রুটিন করে
ঝগড়া করবো । রাতে ঝগড়া করে অনেক
চেষ্টার পর ঘুম ধরবে আমাদের। তারপর
মাঝরাতে হঠাৎ দু'জনের ঘুম ভাঙবে। তারপর
কারোই আর ঘুম হবে না। আমি তোমার চিন্তা
করবো, আর তুমি আমার। তারপর দু'জন
একসাথে সকাল হওয়া দেখবো। সকাল হলেই
আমাদের ঝগড়া শেষ হবে। আচ্ছা রেহান??
আমি: শুধু চুপ করে থাকলাম। কিছু বলার নেই
ওকে। ওর আর আমার মনের এত্তো মিল! আমি
তো ওকে এই কথাগুলা বলার জন্যই ফোন
দিসিলাম। খুব ভালো লাগছিলো কথাগুলো
ভেবে।
রুপন্তি : কি হলো! ঝগড়া করবো কিন্তু রোজ।
তাও আবার রুটিন করে। হুম??
আমি: আচ্ছা। ঝগড়ি কোথাকার!
তারপর, ,,,,,
কথা Continue ......... প্রেম ঘন .......