এটা মন-মানষিকতার বিষয়। সবাই একরকম নয়। লোভ সবাই সামলাতে পারেনা। ১০ টাকার চাল নিয়ে বিভিন্ন রকম যালিয়াতির পর এবার ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচিতেও একই কাণ্ড ঘটছে। ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার একটি গ্রামে আওয়ামী লীগের সচ্ছল নেতাকর্মীরা ভিক্ষুকের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ফলে বাদ পড়েছে প্রকৃত ভিক্ষুকরা। আজকের কালের কন্ঠ অনলাইনে এসেছে ঘটনাটি।
সম্প্রতি মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসন এই তালিকা ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা, সচ্ছল ব্যক্তি এবং একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে ভিক্ষুক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জামালপুর গ্রামের একই পরিবারের তিন সদস্য হানিফ গাজী, কামরুল গাজী ও ইসাহাক গাজীর স্ত্রী রাবেয়া গাজী ভিক্ষুকের তালিকায় আছেন। এর মধ্যে হানিফ গাজী স্থানীয় খেদাপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তাঁর দুই ছেলে রেজাউল ও আমিনুর বিদেশে থাকেন। রাবেয়ার স্বামী ইসাহাক গাজী ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। কামরুল গাজী যুবলীগকর্মী। জামালপুর বাজারে কামরুল গাজীর একটি দোকান রয়েছে। এই তিনজন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কর্মীরা সরেজমিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভিক্ষুকদের তালিকা করেছে। এই তালিকায় ভুল হওয়ার কথা নয়। ভিক্ষুকের বাইরে তালিকায় কারো নাম আসার প্রমাণ পেলে সেই নাম বাদ দেওয়া হবে।’
এই হলো অবস্থা। প্রশাসন সরেজমিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভিক্ষুকদের তালিকা করেছে নাকি দলীয় পরিচয় জেনে ভিক্ষুক এর তালিকা তৈরী করেছে তা সহজেই বোঝা যায়।
এই শ্রেণীর মানুষগুলোর মানষিকতা পরিবর্তন জরুরী। তা নাহলে বাংলাদেশের সাধারন মানুষের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। চারিদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি, সন্ত্রাস আর দুর্নীতি আমাদের দেশটাকে শেষ করে ফেলে দিচ্ছে।
তাই সবাই একবার দেশের কথা ভাবুন। দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন। দেশকে ভালবাসুন