আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। আজ অনেক কিছুই হবে। র্যালী,সমাবেশ, সেমিনার,সিম্পোজিয়ামসহ আরো কতশত অনুষ্ঠান। এগুলো করেই কি সব শেষ। তাহলে তামাক মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। তামাক মুক্ত করতে হলে বছরের সবকয়টি দিনই চেষ্টা করতে হবে। যে ব্যক্তি তামাকজাত দ্রব্য গ্রহন করে সেই আজ অনেক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হবে। তিনি বড় বড় বক্তব্য দিবেন তামাক দ্রব্য যেন কেউ যেন গ্রহন না করে। এতে দেখা যাবে তিনি জনগণের সাথে প্রতারনা করছেন। একদিকে নিজে তামাক ছাড়ছেননা। আবার অন্যকে তামাক ছাড়তে বলছেন।
আজকাল অনেক ছাত্র ছাত্রী মনে করে ধূমপান না করলে স্মার্ট হওয়া যায়না। আমার মনে হয় এগুলোর মাথায় সমস্যা আছে। যারা এ ধরনের মানসিকতা পোষন করে তারা কখনও ভাল মানুষ হতে পারেনা। তাদের দ্বারা সমাজের কোন উপকার সম্ভব নয়। তাদের মাথা থেকে শুধু বিকৃত চিন্তাই বের হয়।
দেশের তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রন যে মন্ত্রনালয়ের অধীনে সেই মন্ত্রীই অনুষ্ঠানে কোমলমতী ছাত্র ছাত্রীদের সামনে প্রকাশ্যে ধূমপান করে। তাহলে সবাই বুঝুন কিভাবে এসকল মানুষ দ্বারা সমাজ পরিবর্তন হবে। নিজে পরিবর্তন না হলে কখনও সমাজ পরিবর্তন হয়না।সরকার তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন বা তামাক চাষ বন্ধ করলেই তো পারে। তাহলে এমনিতেই তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রন হয়ে যাবে। আপনি সেটা করবেননা অথচ তামাক জাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রন হবে কিভাবে?
তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রনে আমার কিছু প্রস্তাবনাঃ
১। তামাক চাষ বন্ধ করে কৃষকদের অন্য কিছু চাষে উদ্বুদ্ধ করা।
২। তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো স্বচক্ষে বুঝিয়ে দেয়া।
৩। যে সকল ছাত্র/ছাত্রী ধূমপান করবে তাদের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি না করা।
৪। যে সকল শিক্ষিত যুবক যুবতীরা ধূমপান করবে তাদের কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি না দেয়া।
৫। ধূমপায়ীর সাথে বিয়ে না দেয়া।
৬। সামাজিক ভাবে সকল ধূমপায়ীকে বয়কট করা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩