ঢাকার চার দেয়ালের বন্দী জীবন যাপন করে হাপিয়ে উঠার অবস্থা সকলের। তাই অনেকেই এই বন্দী জীবন থেকে একটু স্বস্থির জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে কাটাতে ভালবাসে। তাই এক ছোট ভাইয়ের আবদার রাখতে শিক্ষা সফরে গেলাম গত কাল ১৭।০৫।২০১৪ গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এখানে মাইলের পর মাইল শুধু গাছ আর গাছ, বন আর বন। কোন হিংস্র প্রাণী সেখানে চোঁখে পড়েনা। নাই কোন বন্যা জলোচ্ছাসের ভয়। সুন্দর একটি পরিবেশ মনে হয়। ঘুরে বেড়ানো যায় মনের মত করে। প্রাকৃতিক পরিবেশ আর সবুজে ঘেরা গাছ গাছালি সত্যিই মন ভরিয়ে দেয়। আমি বহুবার গেছি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে কিন্তু মনের মত করে ঘুরতে পারিনাই। কারন চারপাশে নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে গেলেই বিপদ................
এ উদ্যানে আছে প্রজাপতি গবেষনা পার্ক, হরেক রকম গাছ,আছে ছোট চিড়িয়াখানা,ওয়াচ টাওয়ার, ঘোড়ার গাড়ী ইত্যাদি। ওয়াচ টাওয়ারে উঠলে আসলেই এক মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়। যতদূর চোঁখ যায় শুধু সবুজ গাছপালা, সত্যিই চোঁখ জুড়িয়ে যায়। আছে খেলার মাঠ,পিকনিকের কটেজ ইত্যাদি। যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ ভুলতে সত্যিই এক মনোরম জায়গা।
অনেক আশা নিয়ে ঘুরতে বের হলাম উদ্যানে। কিছুদুর যাওয়ার পর দেখলাম সাইনবোর্ড বিপদজনক এলাকা। ঘটনা কি? হিংস্র জন্তু জানোয়ার নেই তাহলে কিসের বিপদজনক এলাকা? পরে জানলাম এক শ্রেণীর মানুষ নামের জানোয়ার আছে এই উদ্যানে যারা আপনার সকল কিছু ছিনতাই করে নিয়ে যেতে পারে। আবার ভদ্র মানুষের চোঁখ যা বিশ্বাস করতে পারেনা এমন এক ধরনের দৃশ্য দেখা যায়। এজন্য উদ্যানের অনেক জায়গা ঘুরে দেখা যায়না। এখানে অনেকে পরিবার নিয়ে আসেন একটু স্বস্থির আশায়,কিন্তু ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে অস্বস্থিতে পড়তে হয়। যেসব জানোয়ার মার্কা মানুষ এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা থেকে মানুষকে বিরত হতে বাধ্য করছেন তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। এখানে পতিতাদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। অথচ প্রশাসন কিছুই করেনা। কোন প্রকার প্রতিবাদ জানালেই বিপদে পড়তে হয়।
আমরা চাই ঢাকার পাশে এই উদ্যানটাকে মানুষের প্রশান্তির অন্যতম আশ্রয়স্থল হোক। প্রশাসনের কাছে আমাদের আহবান এখান থেকে মানুষ নামের কুকুরের থেকে নিকৃষ্ট চরিত্রের নারী,পুরুষদের উচ্ছেদ করে সাধারন মানুষের সকলের জন্য উম্মুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫০