somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রমিক দিবসে আমরা কী পেলাম............

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ৯:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ২৯।০৪।২০১৪ তারিখে একটি লেখা লিখেছিলাম “শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আমরা কী করছি.............”। আমি লেখায় যে আশংকা করেছিলাম ১লা মে শ্রমিক দিবসে তাই দেখতে পেলাম। তথাকথিত শ্রমিক সংগঠনগুলো তাদের চিরাচরিত নিয়মে এদিবস উপলক্ষে চাঁদাবাজী করে র‌্যালী,সমাবেশ, বক্তব্য ইত্যাদি ঠিকই দিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্য বদলানোর মত কোন কর্মসূচী ছিলনা। বড় বড় নেতা নেতৃদের শুধু ভাষন আমরা এটা করেছি,ওটা করেছি, ওমক কিছুই করেনি। একে অন্যকে শুধু দোষারোপ ছাড়া আর কোন কিছু দেখতে পেলাম না।
আপনারা যারা নেতৃত্ব পর্যায় আছেন আপনাদের অনেক লোক শ্রদ্ধা করে সম্মান করে। অথচ আপনার যে ভাষায় কথা বলেন সেখান থেকে সাধারন জনগণ শুধু হিংসা,বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছুই শেখেনি। আপনারা যদি শ্রমিকদের জন্য এত কিছু করেন তাহলে এদিনটিতে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন গুলি পরিশোধ করার ব্যবস্থা করতেন, গার্মেন্টস্ দূর্ঘটনায় যারা আহত,পঙ্গু হয়েছে এদিন উপলক্ষে তাদের চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করতেন। তা না করে শুধু কাঁদা ছোড়াছড়ি আর বায়বীয় কথা ছাড়া আর কিছুই করলেন না। একটি দূর্ঘটনা ঘটলে সাধারন মানুষ যে যেমন পারে আপনাদের তহবিলে টাকা জমা দেয় ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতা করতে। কিন্তু আপনারা সে টাকা সামান্য কিছু ‍দিয়ে টিভি ক্যামেরা আর পত্রিকায় কাভারেজ দেন। বাকী টাকা ঠিকই আপনাদের পকেটে যায়। আমরা চাইনা এরকম অধিকার। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা বুঝে পেতে চাই। আমরা কারও করুনা চাইনা। আমরা চাই না আমাদের নিয়ে আপনারা শুধু রাজনীতি করেন।
আমাদের দেশের যারা শ্রমিক তারা সারাবছর পরিশ্রম করে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দেয়। অথচ একজন শ্রমিক আহত হলে তার চিকিৎসা ব্যয় পর্যন্ত পায়না। হাসপাতালে তাদের ভর্তি করেনা টাকার অভাবে। কিছুদিন পর শ্রমিকটি বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। অথচ প্রতি মাসে যে টাকা সে জমা দিয়েছিল শ্রমিক সংগঠন নামে সন্ত্রাসীদের সে টাকা হলে সে ভাল চিকিৎসা পেত।
আমাদের প্রত্যাশা বেশী নয়। আমরা চাই আমাদের ন্যায্য অধিকারা আমাদের ফিরিয়ে দিন। আমাদের দৈনন্দিন কাজের টাকা নিয়মিত পরিশোধ করুন,আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×