গত ২৯।০৪।২০১৪ তারিখে একটি লেখা লিখেছিলাম “শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আমরা কী করছি.............”। আমি লেখায় যে আশংকা করেছিলাম ১লা মে শ্রমিক দিবসে তাই দেখতে পেলাম। তথাকথিত শ্রমিক সংগঠনগুলো তাদের চিরাচরিত নিয়মে এদিবস উপলক্ষে চাঁদাবাজী করে র্যালী,সমাবেশ, বক্তব্য ইত্যাদি ঠিকই দিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্য বদলানোর মত কোন কর্মসূচী ছিলনা। বড় বড় নেতা নেতৃদের শুধু ভাষন আমরা এটা করেছি,ওটা করেছি, ওমক কিছুই করেনি। একে অন্যকে শুধু দোষারোপ ছাড়া আর কোন কিছু দেখতে পেলাম না।
আপনারা যারা নেতৃত্ব পর্যায় আছেন আপনাদের অনেক লোক শ্রদ্ধা করে সম্মান করে। অথচ আপনার যে ভাষায় কথা বলেন সেখান থেকে সাধারন জনগণ শুধু হিংসা,বিদ্বেষ ছাড়া আর কিছুই শেখেনি। আপনারা যদি শ্রমিকদের জন্য এত কিছু করেন তাহলে এদিনটিতে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন গুলি পরিশোধ করার ব্যবস্থা করতেন, গার্মেন্টস্ দূর্ঘটনায় যারা আহত,পঙ্গু হয়েছে এদিন উপলক্ষে তাদের চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করতেন। তা না করে শুধু কাঁদা ছোড়াছড়ি আর বায়বীয় কথা ছাড়া আর কিছুই করলেন না। একটি দূর্ঘটনা ঘটলে সাধারন মানুষ যে যেমন পারে আপনাদের তহবিলে টাকা জমা দেয় ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগীতা করতে। কিন্তু আপনারা সে টাকা সামান্য কিছু দিয়ে টিভি ক্যামেরা আর পত্রিকায় কাভারেজ দেন। বাকী টাকা ঠিকই আপনাদের পকেটে যায়। আমরা চাইনা এরকম অধিকার। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা বুঝে পেতে চাই। আমরা কারও করুনা চাইনা। আমরা চাই না আমাদের নিয়ে আপনারা শুধু রাজনীতি করেন।
আমাদের দেশের যারা শ্রমিক তারা সারাবছর পরিশ্রম করে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দেয়। অথচ একজন শ্রমিক আহত হলে তার চিকিৎসা ব্যয় পর্যন্ত পায়না। হাসপাতালে তাদের ভর্তি করেনা টাকার অভাবে। কিছুদিন পর শ্রমিকটি বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। অথচ প্রতি মাসে যে টাকা সে জমা দিয়েছিল শ্রমিক সংগঠন নামে সন্ত্রাসীদের সে টাকা হলে সে ভাল চিকিৎসা পেত।
আমাদের প্রত্যাশা বেশী নয়। আমরা চাই আমাদের ন্যায্য অধিকারা আমাদের ফিরিয়ে দিন। আমাদের দৈনন্দিন কাজের টাকা নিয়মিত পরিশোধ করুন,আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন এটিই আমাদের প্রত্যাশা।