কুমিল্লার মধুমতি সিনেমা হলে আমি সহ আমরা ৬ বন্ধু একসঙ্গে দেখে এলাম মুসাফির সিনেমাটি। জীবনে এই প্রথম ব্ল্যাকে ১০ টাকা বেশী দিয়ে টিকেট কিনে সিনেমা দেখলাম। হলে নিয়মিত দর্শকদের পাশাপাশি হলে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষিত ছাত্রদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
আজ অনেকেই সিনেমাটা দেখেছেন। আশা করি এই সাপ্তাহের মধ্যেই সবাই দেখে নিবেন সিনেমাটা।
যেকোন সিনেমা দেখে এলে সবাই কিছু প্রশ্ন করে কেমন লাগলো সিনেমাটা? কি আছে সিনেমাটায়?
সেসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি এই লেখায়।
---
যা আছে সিনেমায়:-
---
উত্তেজনা বা থ্রিলার: শুরু থেকেই ছবিটি টান টান উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। কাহিনী অবশ্যই গতিময়। প্রথম দশ মিনিটের পর থেকে শেষ দশ মিনিট পর্যন্ত বেশ কয়েক বার বেশ কিছু টুইস্ট এসে গল্পের মোড় বারবার ঘুরিয়ে দিয়েছে। ফলে টেনশন আর উত্তেজনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বহাল ছিল।
কমেডি: আমার কাছে কমেডি পার্টটা এ্যাকশনের থেকেও ভালো লাগছে। বিশেষ করে বান্টি নামের ক্যারেক্টারটা তো জাস্ট গ্রেট। শুধু আমি না পুরা হল পছন্দ করছে এই চরিত্রটাকে। বিরতির পর বান্টির রি:এন্ট্রিতে যতটা চিল্লাচিল্লি হয়েছে নায়কের এন্ট্রিতেও ততটা হয় নাই।
এ্যাকশন: এ্যাকশন কেমন হইছে আশা করি সেটা আলাদা করে বলতে হবে না, ট্রেইলারেই সব দেখছেন। ঢালিউড সিনেমায় এ ধরনের এ্যাকশন এবারই প্রথম।
ডায়লগ : চরম কিছু সংলাপ ছিল।
রোমান্স: নায়ক নায়িকার খুনশুটি গুলো উপভোগ করছি। নায়িকার ডায়লগ ডেলিভারি ভালো হলে আরো উপভোগ্য হতো।
সিনেমাটোগ্রাফি লোকেশন মেকিং অভিনয়: আশিকুর রহমানের ফিল্মের আর কিছু প্রশংসিত হউক বা না হউক এই চারটা ব্যাপার বেশ প্রশংসিত হয়। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
___
আমার কাছে ভালো লাগছে।
তবে ভালোটা শুধু ভালো। অসাধারন টাইপ কিছু নয়।
সব ছিল মুভিতে তবুও কিছু একটা মিসং ছিল। কি মিসিং ছিল সেটা ধরতে পরি নাই। ধরতে হলে মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে সিনেমাটা। তাই এই সাপ্তাহের মধ্যে আবারো দেখবো ভাবতেছি। তারপর বিস্তারিত লিখবো।