somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কান্না

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেমন আছ? ভালো? বিয়ে করেছ? না এখনও করনি? আমি জানি তুমি ভালো নেই? আমায় তুমি ভালোবাস, আমি এত খারাপ যেনেও, আমি তোমাকে এত কষ্ট দিয়েছি তার পরেও। তুমি আমার সাথে কথা বল না। দেখা করতে চেয়েছি, আসও নি। ভালবেসেছি কষ্ট এর খনি দিয়েছ। বিয়ে করতে চেয়েছি, বড় আর ছোট প্রশ্ন তুলে পালিয়ে গেছ। ভালবেসেছি ধোঁকা দিয়েছ। অনেক টেক্সট করি উত্তর দাও না। তুমি আমার সাথে এত কিছু করলে তোমার প্রতি ত আমার ঘৃণা হওয়া উচিৎ তাই না। তবে তোমার জন্য আমার মন কাঁদে কেন? কেন আমি রাতে ঘুমাতে পারি না? কেন আমি কিছু খেতে পারি না? কেন আমার বাঁচতে ইচ্ছে করে না? কেন কেন বলতে পারো? আমি কি তোমার অনেক বড় ক্ষতি করেছি? আমি তো তোমার সাথে অনেক রাগ করতাম। কথা বলতাম না, ফোন দিতাম না। তোমায় অপমান করতাম লোকের কাছে তোমায় খারাপ বলতাম। আমি কি কখন ফোন বন্ধ করেছি? এমন কোন দিন গেছে যে তুমি আমায় ফোন দিয়ে পাওনি। কত কিছু বলতাম তবুও কি তোমার সাথে কথা বলা বন্ধ করেছি। করেছি বল? আমি ফোন দিলে তুমি ফোন বন্ধ করে রাখ। কেন বলতে পার? কি কারনে তোমার ফ্যামিলির সবার ফোন নামবার চেঞ্জ হয়েছে। শিল্পী দুনিয়ায় কি আর কোন লোক পাউনি যে বেঁছে বেঁছে আমায় কষ্ট দিতে ইচ্ছে করল তোমার। আমার জীবন নষ্ট করে কি খুব লাভ বান হলে। কেউ কি তোমায় ওয়ার্ল্ড প্রাইজ দেবে। কেন আমার জিবন টা নষ্ট করলে?
আজ আমি ফাঁসিতে বুলব। গামছাটা পেঁচিয়ে হাতে নিয়ে টেবিলের উপর দাঁড়িয়েছি। ঝুলবোই ঝুলব।
প্রথম যেদিন বলেছিলে আমাদের হবে না? খুব আঘাত পেয়েছিলাম! তোমায় জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কেঁদেছিলাম। ভাবছিলাম কেন হবে না? তুমি আমাকে ভালোবাসো, আমাকে ছাড়া থাকতে পারণা, তার পরও এ কথা কেন বলছ? এই প্রশ্নের উত্তর সেদিন খুজে পাই নি। আজ আমি সেই সত্যিটা বুঝতে পেরেছি?
টেবিলের উপরে দাড়িয়েছি, গামছাটা ঠিক করে নিয়ে, টেবিল থেকে লাফ দিব, মোবাইলটা টেবিল থেকে পড়ে লাইট জলে উঠল, আমি ভেবেছি তুমি ফোন দিয়েছ। তারা তারি করে নেমে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি কেউ না? এমনি লাইট জ্বলেছে। খুব কান্না পাচ্ছিল তখন। খুব খারাপ লাগছিল।
আমাদের পরিচয়ের প্রথম ছয় মাস আমরা শুধু ফোনে কথায় বলেছি কেউ কাউকে দেখি নি? তখন কিন্তু তুমি একবার বলনি আমার কাছে আসবে না। আমরা বিয়ে করব না। বরঞ্চ আমরা দুজনেই স্বপ্ন দেখতাম ঘর সাজাবার।
তোমার প্রতি আমি যন্তবান ছিলাম তুমি খেয়েছ কিনা? কলেজে গেলে ছাতা নিয়ে বেরিয়েছ কিনা? সারা খন তোমায় ফোন দিয়ে বিজি রাখতাম, তুমিও তাই করতে। আমরা কত ভালছিলাম।
অনেকের সাথে রুম শেয়ার করে থাকতাম। কথা বলতে পারতাম না। তুমি সারা রাত ফোন দিতেই থাকতে, যতখন তোমার সাথে কথা না বলতাম। ঘুমাতে না। আমরা কত ভালছিলাম। তার পর সব কেমন বদলে যেতে লাগলো স্রেফ এক আর একজনে কাছে প্রয়োজনের বস্ত হয়ে গেলাম। তার পর দু-তিন বার আমাদের দেখা হল একদিন তুমি বলে দিলে, “রাতুল আমাদের বিয়ে হবে না কোন দিনও না” তোমায় জড়িয়ে ধরে কান্না করেছিলাম,” বলেছিলাম শিল্পী আমায় ছেড়ে কোনদিন যেও না”

প্রথম দু-বছর কেটে গেল। তুমি আমার ভিতর কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করলে না। তুমি বুঝে গেলে আমাদের বিয়ে কোনদিনই সম্ভব নয়। আমার ওই চাই। না তোমার প্রতি আমার কোন দায়িত্ব বোধ আছে না আমার নিজের প্রতি। আমি শুধু মুখেই বলি, কারও দায়িত্ব নেবার ক্ষমতা আমার নেই।
তুমি প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছিলে বলনি? হয়ত নিজের মত গড়তে চেয়েছ না পেরে হাল ছেড়ে দিয়েছ? আমার কাছ থেকে কখন দূরে যেতে চাউ নি। আমি যা বলেছি তাই করে গেছ কারন আমাকে ভালবাস। হ্যা তুমিই একমাত্র মানুষ যে আমাকে ভালবেসেছে। আমার শত অপমানেও পাশে থেকেছে। আর থেকেই আমার মনে অন্ধ বিশ্বাস জন্মে গেছে আমরা কখন আলাদা হব না। আমি কখনই তোমাকে বুঝতে চাইনি।
আমি হাত কাটি, পা কাটি, ঘুমের ওষুধ খাই, ফাঁসি নিতে যায়ই। এ সবি তোমাকে ভুল বুঝে। আল্লাহতায়ালার দয়ায় আজ সত্যটা জানতে পারলাম।
তোমার মন খারাপের কারন, আমাকে অবহেলার কারন আজ বুঝতে পারছি, ছি! ছি! আমি এত নিকৃষ্ট। তবে তোমারও দোষ আছে আমাকে শুধরাতে পারো নি?
একটা অনুরধ তোমার অনেক কষ্ট হবে তার পরও বলছি আমার পাশে থেকো যাতে নিজেকে শুধরে নিতে পারি। একজন ভালো মানুষ হতে পারি।
ফজরের আযান হচ্ছে মিথ্যে বলব না তুমি যা করেছ তাই ঠিক আমি তোমাকে মিথ্যে ভুল বুঝে এসছি এত দিন। আমায় ক্ষমা কর দিও।

নামাজ পড়ে আসলাম। কাল রাত থেকেই খুব অস্থির ছিলাম। এখন একটু ভালো লাগছে। জানো মসজিদে বসে অনেক কান্না করেছি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি, হে আল্লাহ আমার শিল্পী ভালো রেখ। আমার শিল্পী কে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও। আমার খুব কষ্ট হয় জান, খুব কষ্ট হয়। আমি অন্ধ ছিলাম তোমার ভালোবাসা কে বুঝতে পারি নি। আমি তোমাকে প্রতিটা মুহূর্তে মিস করি । প্রতিটা মুহূর্তে তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকি........
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:২১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×