মাইশার ছবিটা তোলা হয়েছে তার বাবার মোবাইল ফোনে। মাইশা জানে না—ওর এই ছবি ডিজিটাল বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ দেখছেন তাঁদের কম্পিউটার, ট্যাবলেট, স্মার্টফোনে। ব্লগ, ফেসবুক, অনলাইন পোর্টালে এই ছবি দেওয়া হয়েছে জানলে ভীষণ লজ্জা পাবে মাইশার বাবা। তিনি একটি মসজিদের ইমাম।
ওর বাবার নাম যুবায়ের। টঙ্গীর একটা মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি তাঁর একটা ছোট্ট কম্পিউটারের দোকান আছে। দোকানের একমাত্র কম্পিউটারটি দিয়ে তিনি কম্পোজের কাজ করে সংসার চালান। ইমামতির টাকায় তাঁর সংসার চলে না।
জন্মের সময় মাইশার ফুসফুসে একটা ছোট্ট ছিদ্র ছিল। ডাক্তার বলেছিলেন, বয়স বাড়তে থাকলে ওর সঙ্গে সঙ্গে ছিদ্রটিও বড় হবে।
ওর বয়স এখন চার, ফুসফুসের ছিদ্রটির বয়সও তাই। ল্যাব এইডের কার্ডিওলজিস্ট বিগ্রেডিয়ার জেনারেল প্রফেসর নুরুন্নাহার ফাতেমা তাকে দেখেছেন। তিনি বলেছেন, দুই মাসের মধ্যে একটি এএসডি অপারেশন করতে হবে। অপারেশন হবে ২৭ ও ২৯ মে। অনেক টাকা দরকার?
ওর বাবা যুবায়েরকে জিজ্ঞেস করলাম, কত টাকা জোগাড় করেছেন?
যুবায়ের কিছুক্ষণ কাঁদলেন। টাকার অঙ্ক শোনার আগে ফোনের ওপারে তাঁর কান্না শুনতে হলো। টাকার অঙ্ক শোনার পর আমারও কান্না পেলো।
অপারেশনের এই প্যাকেজের ব্যয় মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। ওষুধপত্র, পথ্যসহ মোট ব্যয় মোটামুটি আড়াই লাখ টাকা। ঢাকা শহরে যেসব ছোট ছোট ইভেন্ট হয়, সেগুলোর ছোট্ট একটা অংশের খরচ এই অঙ্কের থেকেও বেশি।
যুবায়েরদের বাড়ি ফরিদপুর। থাকেন টঙ্গী চেরাগ আলীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিংয়ের আলাউদ্দিন সরকারের বাড়িতে।
টাকা যাঁদের হাতের ময়লা, সেসব মানুষের দরকার নেই। যুবায়েরের কন্যাকে বাঁচাতে দরকার ছোট ছোট মানুষের বাড়িয়ে দেওয়া সাহায্যের হাত। মাত্র ৩৪৫ টাকায় এক জিবি ইন্টারনেট কিনে ব্যবহার করেন যাঁরা, তারাইতো পারেন ওঁকে সাহায্য করতে।
যে যাঁর সাধ্যমতো চেষ্টা করলে মেয়েটাকে সুস্থ্য করতে ওর বাবার খুব একটা কষ্ট হয় না।
বিকাশ এজেন্ট নম্বর ০১৭৮৭৬৫৭৬২৯
ব্যাংকে দিতে চাইলে —
যমুনা ব্যাংক, টঙ্গী, গাজীপুর
Zubaer. AC No. 065-0310015081
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭