হেরে যেতে কে চায়! ছেড়ে দিতেই বা কে চায়। অথচ ছাড় দেয়ার মানসিকতা কারও না কারও থাকতে হয়। কিন্তু আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রজারা দেখছি, আমাদের রাণীদ্বয় ‘ছাড়’ তো দূরের কথা মার দেয়ার কোন বিকল্প জানেন না। আমরা কিন্তু প্রচ- মার খাচ্ছি। ভাতে মরছি, পানিতে মরছি, দালানের তলে, আগুনে পুড়ে। কামলা দিয়েও বাঁচছি না, হামলা ঠেকিয়েও না। ডাল-চালের দাম, পেঁয়াজ-মরিচ-তেলের উচ্চমূল্যে না খেয়েই থাকতে হচ্ছে। দুবেলা দুমুঠো ভাতের বিনিময়ে যারা প্রথম বিশ্বের লজ্জা নিবারণের পোষাক তৈরি করে দিচ্ছে, বেহায়ার মতো তাদের পুড়িয়ে পারছি আমরা। এ দায় কিন্তু মাতৃদ্বয় আপনারা এড়াতে পারেন না। আপনাদের আশপাশের চাটুকররা আপনাদের হীরক রাজার রাজসভার মতোই তৈল লেপে যাচ্ছে, আপনারা বুঝেও বুঝছেন না। আপনাদের রাজসভা জুড়ে লুটেরা, লম্পট, খুনীপোষা কালোবাজারি, দখলদারের ছড়াছড়ি। অথচ আমরা কি এই রাজসভা চেয়েছিলাম!
একটা বছর গেল আমরা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে মরেছি। আমাদের মৃত্যু নিশ্চয়ই আপনাদেরও শান্তি দেয়নি। আপনারাও নিশ্চয়ই কষ্ট পেয়েছেন। আপনারা ভালো থাকেন না বোলেই আমাদের এ বেহাল দশা। তাই বোধকরি আপনাদের ভালো থাকা আমাদের একান্ত কাম্য। আপনাদের ভালো থাকা নির্ভর করে আপনাদের রাজসভা ও আশপাশের চাটুকারদের ভালো রাখা। তারা ভালো থাকলে আপনারা ভালো থাকেন, আপনারা ভালো থাকলে আমরা। আপনাদের দুজনেরই সন্তান আছে, আপনারা জানেন সন্তানের জন্য মায়ের মমতা কতটা, সন্তানের জন্য হৃদয় কতটা পোড়ে! দয়া করে এ বছরটা আপনারা ভালো থাকুন। ভালো থাকার জন্য কি করা দরকার আপনারা ভালোই জানেন। তবে এ অধম প্রজা একটা উপায় জানে মাতৃদ্বয়। সেটা হচ্ছে ছাড় দেয়া। ছাড় দিলে কেউ হারে না। চিনে নিন আপনাদের শত্রু ও সন্তানদের। শত্রুদের খুশি রাখতে গিয়ে সন্তানদের কোরবানি করবেন না মাতৃদ্বয়। এতে সৃষ্টিকর্তা খুশি হন না। আর যদি কোরবান করে শান্তি পান তাহলে অন্তত একটা পশুর মতো মস্তক ছিন্ন করুন, পুড়িয়ে মারবেন না।আপনাদের নতুন বছর শুভ হোক। আপনারা শান্তি অর্জণ করুন।