এখন আর লিখতে পারি না,
একেবারেই না। একটি শব্দ, এমন কি একটি অক্ষরও না।
নষ্ট সমাজের নষ্টামি দেখে
থমকে যায় আমার কলম।
বাস্তবতার বিষ্ঠার মাঝে দাঁড়িয়ে
সুন্দরের স্বপ্ন দেখাতে,
তার আপত্তি চরম।
তাও যদি লিখি দুয়েক লাইন;
অশ্লীলতার দায়ে তা নিষিদ্ধ করে
‘সুশীল’ এই সমাজ।
এ সমাজ পাক্কা অভিনেতা!
ছদ্মবেশী-মুখোশধারী!
এখানে টেলি-সঙ্গমে ক্লান্ত হয়ে
ছদ্মবেশীদের নসিহতকারী!
চুরি এখানে প্রশংসনীয় শিল্প!
কিছুই বাদ যায় না এই শিল্পের কবল থেকে...।
ভিখারির থালার পয়সা থেকে
তেজী-তারুণ্যের আবেগী বিপ্লব!
এখানে মীর জাফররা
বরাবরই সেনাপতি থাকে,
এখানে রাষ্ট্র ‘সমযোতা’ করে
‘দুষ্ট’ চোরের সাথে!
দুদিনের অভুক্ত পথশিশু
লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে
দামি কাছে ঘেরা-
সুশোভিত ফাস্টফুডের দিকে।
চার হাজার কোটি টাকা যখন
মূল্যহীন রাষ্ট্রের কাছে,
সর্বস্ব হারানো একজন
ঝুলে থাকে তখন- পুঁজিবাদী ছাদ থেকে।
এত কিছু দেখার পরও
আমাকে নাকি স্বপ্ন দেখাতে হবে!
আমার কবিতায় নাকি
ইন্দ্রজাল বুনতে হবে!
কারণ কবির কাজ নাকি
স্বপ্ন দেখানো...!
তাই আমি লিখতে পারি না।
আমার কলম লিখতে চায় না।
কারণ সে আজও নিষ্পাপ-
আমাদের মত নষ্ট হতে পারে নি।