হ্যাঁ, আমি স্বীকার করি আমি হতাশ। আর এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে বৈকি! আমার হতাশা ঐ দিন থেকে উঁকি দিতে থাকে যেদিন আমরা প্রজন্ম চত্বর থেকে বেলুন উড়িয়েছিলাম। এবং এটাও স্বীকার করি যে, ঐ দিনই প্রথম শাহবাগের কোন কর্মসূচী থেকে আমি নিজেকে সড়িয়ে রেখেছিলাম। তারপরও আশা ছাড়ি নি। দিনের পর দিন আমাদের উপর অনেক আঘাত এসেছে। জবাই করা হয়েছে। পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। শহীদ মিনার ভাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারি নি। কিংবা করতে চাই নি। তারপরও আশা বুক বেঁধেছি। মানুষ যে বড় আশাবাদী! কিন্তু এখন আমি পরোপুরি হতাশ। কারণ, প্রজন্ম চত্বরের জন্ম হয়েছিল রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে। আমাদের স্লোগান ছিল "এক দফা এক দাবি, ফাঁসি ফাঁসি।" "ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই।" "এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এই লড়াই জিততে হবে।" কিন্তু আজ? আজ আমরা আমদের মূল দাবি, ফাঁসির দাবি আমাদের কাছে গৌণ হয়ে গেছে! আজকে যদি আমাদের কাজ গুলোকে মূল্যায়ন করি তাহলে আমরা দেখতে পারব যে, আমাদের মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে কে আস্তিক কে নাস্তিক তা প্রমাণ করা! আরে ভাই, ফাঁসির দাবির সাথে আস্তিক নাস্তিকের প্রশ্ন আসছে কেন? কেউ যদি নাস্তিক হয় তাহলে কি সে বিচার চাইতে পারবে না?! এই দেশে নাস্তিকরা কি যুদ্ধ করে নি? এই দেশ স্বাধীনের পিছনে কি এক জন নাস্তকেরও অবদান নেই? কিন্তু কাকে কি বলব.। যেই সব মিথ্যাবাদীরা এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে চাঁদের বুকে সাঈদীর ছবি দেখা গেছে এমন গুজব ছড়ায়, সেই সব অসুস্থ মস্তিকের মানুষরা আমাদেরকে নাস্তিক বলল আর ওমনি আমরা আমাদের আস্তিকতা প্রমানের জন্য সবাই দলে দলে হজ্বে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম (প্রতীকী অর্থে)! আমাদের সব চাইতে বড় ভুল ছিল এইসব অপপ্রচারে কান দেয়াটা.।
পরিশেষে আর কি বলব, একটা কথাই বলতে চাই। আর তা হল, প্রজন্ম চত্বর ফিরে পাক তাঁর শুরুর ক'টা দিন। মানুষ আসলেই অনেক বড় আশাবাদী প্রাণ। :/
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৬