তুমি চাইলেও তোমায়
মুক্ত আকাশ, দিতে পারবো না।
কারণ আকাশের নীল চিড়ে
সাদা ধোঁয়া উড়িয়ে
শব্দের চেয়ে দ্রুত
ছুটে চলেছে কোন মিগ।
সেখানে তার দখলদারিত্ব
আমার কথা খাটবে না।
তুমি চাইলেও তোমায়
পাখির গান, দিতে পারবো না।
কারণ পাখিরা আজ গান গায় না,
আজ তাদের কন্ঠ
সুরহীন-বড্ড বেতাল;
মাতালের মত ছুটে চলে
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।
গান গাওয়ার বিলাসিতা
ওরা দেখাবে না।
তুমি চাইলেও তোমায়
আলোকিত সকাল, দিতে পারবো না।
কারণ পাথর-চাপা এই নগরীতে
মাল্টি-লেভেল বিল্ডিং আর
বিলবোর্ডের ফাঁক গলে,
মাল সূ্র্যটা কখন উঠে
আর কখন যে হেলে পড়ে,
তা সে নিজেই জানে না।
তুমি চাইলেও তোমায়
স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা
আর নিরাপদ শয়ন কক্ষ;
আমি দিতে পারবো না।
কারণ আমার কোন ব্যক্তিগত
গার্ড রেগিমেন্ট নেই,
যারা তোমায় পাহাড়া দেবে
হয়ে অস্ত্র-শোভিত;
সেখানে তুমি হতেই পার
অনায়েসে হন্তারিত!
কেউ শোক-বাণী দিবে না।
তুমি চাইলেও তোমায়
মার্সিডিস বা ফেরারির স্বপ্ন
আমি দিতে পারবো না।
কারণ আমার মানিব্যাগে
শূণ্যতার কান্না শুনতে পাই,
আমার ব্যাংক এ্যাকাউন্টের
ফাঁকা ব্যালেন্সগুলো,
আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
এক সময় হয়তো
ওগুলো ভরাট ছিল
আজ ফাঁকা,
ট্রান্সফার হয়ে গেছে
পুঁজিপতিদের পকেটে।
কিন্তু ও নিয়ে কথা বলা যাবে না!
আমি দিতে পারি শুধু
কিছু কবিতাগুচ্ছ,
যার প্রতিটি শব্দ
আমার হৃৎপিন্ডের একেকটা টুক্রো।
তুমি নিবে?