বই ডাউনলোড করার পূর্বে উপলদ্ধি করা প্রয়োজন কেন আমরা ইসলামী জ্ঞান অর্জন করব। হয়ত সকলেই অবহিত যে, ইসলামী জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর উপর ফরজ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামী জ্ঞান অর্জন মুসলিম জাতীর জন্য কতটুকো ফরজ ? অধিকাংশ লোকের ধারণা সুরা কেরাত এবং নামাজ আদায় করার জন্য কিছু মাসয়ালা মাসায়েল শিক্ষা লাভ করাই যথেষ্ট ! বস্তুত এই ধারণা কুরআন হাদিসের সঙ্গে সম্পূর্নই সাংঘর্ষিক। হয়ত বিষয়টি অনেকের নিকট সন্দেহের পর্যায়ভুক্ত মনে হতে পারে তাই এর স্বপক্ষে কিছু প্রমান পেশ না করলেই নয়। পবিত্র কুরআনে বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহপাক এরশাদ করেন ”যারা জানে না আর যারা জানে তাদের উভয়ের মর্যাদা কি কখনো সমান হতে পারে” সমস্ত মুফাসসিরগন একমত এখানে পূনর্াঙ্গভাবে এলেম শিক্ষা অর্জনের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। অনত্র এরশাদ হয়েছে ”যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে এলেম দান করা হয়েছে তাদেরকেই আল্লাহ উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্টিত করবেন” উক্ত আয়াতে শুধুমাত্র এলমে দ্বীন শিক্ষা অর্জন কারীদের মযর্াদাই স্রষ্টার নিকট সংরক্ষিত, ইহারা ব্যতিত অন্য কেহ নন ! অনত্র আবার এরশাদ হয়েছে ”তোমরা কি কুরআনের শিক্ষামালার উপর দৃষ্টিপাত করবে না, নাকি তোমাদের অন্তর তালাবদ্ধ” কুরআনের শিক্ষামালার প্রতি যারা দৃষ্টি দেয়না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ অভিহিত করা হয়েছে এর চেয়ে ভয়ংকর বিষয় আর কি হতে পারে। আল্লাহ যদি সত্যি সত্যি হৃদয় মোহর মেরে দেন তাহলে কে আছে তাকে মুক্তির সন্ধান দিতে পারে ? উক্ত তিনটি আয়াত ছাড়াও পবিত্র কুরআনে আরও কিছু আয়াত আছে যেখানে ইসলামী জ্ঞান অর্জনের উপর জোর তাগিদ করা হয়েছে। হয়ত শুনে অবাক হবেন বুখারী শরীফের এলেম অধ্যায়ে সত্তরটিরও অধিক হাদিস রয়েছে যেখানে এলমে দ্বীন সংক্রান্ত আলোচনা এবং এর গুরত্বের প্রতি জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মুসলিম শরিফের বিদ্যা অধ্যায়ে প্রায় ১০ টিরও অধিক হাদিসে বলা হয়েছে ”কেয়ামতের নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম হল মানুষের ধর্মিয় জ্ঞান কমে যাওয়া” (নাউযুবিল্লাহ) সমস্ত সাহাবী, তাবেয়ী এবং মাযহাবের চার ইমাম সহ সকলেই একমত যে, এলমে দ্বীন পূর্নাঙ্গভাবে শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর উপর ফরজ। ইসলামী জ্ঞান অর্জনের এই গুরত্বকে সামনে রেখে আজ এমন একটি ইসলামী লাইব্রেরী নিয়ে উপস্থিত হয়েছি যেখানে কুরআনের নির্ভরযোগ্য তিনটি তাফসীর, ছয়টি সহী হাদিস গ্রন্থ, ইসলামের ইতিহাস গ্রন্থ, সাহাবীদের ইতিহাস গ্রন্থ, এবং পৃথিবীর সেরা সেরা ইসলামী চিন্তাবিদদের লেখা প্রায় দুই শতাধিক নির্ভরযোগ্য ইসলামী সাহিত্য রয়েছে ! কোথায় পেতেন এই অমুল্য রতন ? হিসাব করে দেখেছি প্রায় ৪১০০০ হাজার টাকার ইসলামী বই রয়েছে এই সাইটটিতে ! বৃহত্তম এই জ্ঞানের ভান্ডার সংগ্রহ করতে হলে সময় কুরবানী করে ৪১০০০ টাকা যোগার করে বিভিন্ন মার্কেটে আপনাকে দিনের পর দিন ঘুরতে হত বইগুলো ক্রয় করার জন্য তবুও কি সমস্ত বই খুজে বের করা সম্ভব ছিল ? আমার অনেক মুসলিম ভাই হয়ত ভাবতে পারেন কৌশল অবলম্বন করে আমি লিংক প্রচার করছি বস্তুত লিংক প্রচারের সঙ্গে এই পোষ্টের কোনই সম্পর্ক নেই। যে মহান রবের কুদরতি হাতে আমার প্রান আমি সেই মহান সত্বার শপথ করে বলছি এই পোষ্ট শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। সুতরাং নৈতিবাচক ধারণা করা অনুচিত। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে ”তোমরা অপর ভাইয়ের প্রতি ধারণা করা হইতে বিরত থাক কারন তোমাদের অনেক ধারনাই মিথ্যা হয়ে থাকে” সকলের নিকট প্রত্যাসা এই আয়াতের প্রতি ঈমানী শ্রদ্ধা রেখে ধারণা অনুমানের ভিত্তিতে কথা বলা হইতে বিরত থাকবেন তাহলেই আমাদের মধ্যে সোহার্দ সমপ্রিতি বজায় থাকবে এবং ঈমান নিরাপদ থাকবে। আর যারা মানব সমাজে ইসলামের বানী প্রচার করে তাদের ক্ষেত্রে কি নীতি অবলম্বন করতে হবে সেই কথাও আল্লাহপাক বলে দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে ”যারা দ্বীন প্রচার প্রসারের কাজে সম্পৃক্ত থাকার ফলে কোন কাজ করার সময় পায়না তাদেরকে তোমরা সাহায্য কর” উক্ত আয়াতের শিক্ষা হল যারা দ্বীন প্রচারের কাজ করে তাদের বিরোধিতা করাত যাবেই না বরং তাদেরকে অর্থ দিয়ে সেটা না পারলে অন্ততপক্ষে প্রেরণা বা পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করা ঈমানী দায়িত্ব।আপনি যদি সাড়া জীবন আনলিমিটেড নেকী বাসায় বসে ফ্রি পেতে চান তাহলে এই প্রবন্ধটি আপনার পরিচিতি মহলে শেয়ার করুন তারা আপনার প্রচার থেকে যত বই ডাউনলোড করে পড়বে এবং নেক আমল করবে এবং কেয়ামত পর্যন্ত তাদের ভবিষ্যত বংশধর তাদের প্রেরনায় যত নেক আমল করবে তার একটি অংশ আপনার আমলনামায় অটো আসতে থাকবে ! এই বিষয়টি কুরআন হাদিস দ্ধারা অত্যান্ত সুষ্পষ্টভাবে প্রমানিত সত্য। অসম্ভব নয় যে, কেয়ামতের ময়দানে এটাই আপনার এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্য নাজাতের উসিলা হয়ে যেতে পারে।
ইসলামী জ্ঞানের রাজ্যে পরিভ্রমন করুন প্রশান্তচিত্রেView this link