কাজল নামে সাঁওতালীদের মেয়ে
যেন,পাথর কেটে নিখুঁত ক'রে গড়া।
চলতো পথে সাঁওতালী গান গেয়ে,
দরদে তার দীলটি ছিল ভরা॥
পাহাড়পুরে সে কোন মায়ার টানে
খেলতো কত ফুলপাখিদের সাথে।
সারি সারি শাল-মহুয়ার বনে,
খুশির নেশায় সকাল-বিকাল-রাতে॥
সামনে এলো বন-ফাগুনের মেলা
দোল দিয়ে যায় মাতাল সমীরণ।
বসন্তে কোন্ মন-পবনের ভেলা,
কাজল-মনে স্বপ্ন অনুক্ষণ॥
সজল নামে লালপাহাড়ের ছেলে
কাজলপানে ক্ষণিক ফিরে চায়।
পাতার বাঁশি,বেলুন-বেচা ফেলে,
কাজলকে সে ডাকলো ইশারায়॥
'ডাকছো ক্যানে?তুমি কে গা কও!
মুরে তুমি চিনো বুঝি তাই?
কুথায় বা ঘর আমারে সুনাও-
হিথা তো মোর আপন কেহ নাই'॥
সজল শুধু সজল-চোখে বলে:
'তুমি যেন ছিলে আমার মিতা!
হারিয়েছিলাম তোমায় কোনো কালে,
তুমি যেন সাবিত্রী,মোর সীতা'॥
'কাজল বিটি!'দাঁড়িয়ে দূরে মা
'আয় মা বুকে,কোথায় ছিলি তুই?
তোরই তরে দিন যে কাটেনা,
ঘর ছাড়া তুই কেমন ক'রে রই'॥
মায়ের আঁচল ধ'রে কাজল চলে
মনেই থাকে শুধু মনের কথা।
সজল শুধু নীরব ভাষায় বলে,
'ফাগুন দিলো আগুন জ্বালা ব্যথা!!