ভাল খাবার আনব ব’লে—
জাফর সেই যে বেরিয়ে গেল,
আর ফিরল না ।
একবার একটা শাড়ি কিনে, আদুরে গলায়
মিনু—মিনু— ব’লে ডাকতে ডাকতে
কাছে এসে বসল।
বলল—‘বৌ, এত সবজি এনেছিস,
আমার জন্যে বুঝি?
এই দ্যাখ্ বৌ, ক’টা টাকা পেতেই
বাজার থেকে তোর জন্যে এনেছি এই শাড়ি’!
জাফরের কাজ ভুল পথের,
হয়তো সঙ্গ দোষেই ।
তাই মিনু চেয়েছিল অন্য কোথাও,
দুটি মনের ছোট্ট এক, দুঃখ-সুখের বাসা ।
একদিন, তাদের মাটির ভাঙা ঘরে ,
অতিথি আসার খবর পেয়ে—
নতুন আনন্দে বেরিয়েছিল সে ,
ভাল খাবার নিয়ে, ফিরব ব’লে ।
কিন্তু আর ফেরা হ’ল না ।
শোনা গেল—গুলিবিদ্ধ জাফর ।
অন্ধকার নেমে এল মিনুর জীবনে । ....
মানহা-রাশেদের ঘরে তখন আনন্দ-মেলা
সুখের আবেশে দুটি পাখি ।
রাশেদের কাজ কী ছিল—
নাই বা থাকল কবিতায়,
বুঝে নিতে হয়, কখনও ।
কালের নিয়তি—
রাশেদের ঘরে ফেরা হ’ল না ।
কা’রা যেন নিয়ে গেল—
কোন্ আঁধারের ঠিকানায় !
মিনু-মানহা আজও করুণ নয়নে
পথ চেয়ে থাকে—
এক অজানা প্রতীক্ষায় !