গুরুচন্ডা৯ টইপত্তর
Name: কালপুরুষ
IP Address : 59.136.2.245 (*) Date:13 Jul 2013 -- 11:06 PM
গুজরাত,২০০২
অনেককিছুর মত,গুজরাট গণহত্যা’কেও দাঙ্গা বলে চালানোর চেষ্টা বিজেপি নেতারা করে থাকেন,এটাকে গোধরা কান্ডের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হিসেবে দেখানো হয়।কিন্তু,গোধরা কান্ডের অনেক আগে থেকেই সঙ্ঘ নেতারা গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।হিন্দুত্বের মেরুকরণে নরেন্দ্র মোদী’র অভিষেক করা দরকার ছিল,আর তার জন্য বেজন্মা সংখ্যালঘুদের রক্তপান একটি অতি আবশ্যিক প্রক্রিয়া।সম্প্রতি ৫৪১ পাতার একটি রিপোর্ট গুজরাত দাঙ্গার তদন্তকারী দল সিট এর কাছে জমা পড়েছে,যেখানে সংগৃহীত আছে বিভিন্ন পুলিস কন্ট্রোল রুমে আসা ফিল্ড অফিসারেদের সতর্কবার্তা।সেসব সতর্কবার্তায় স্পষ্টভাবে গণহত্যা পূর্ববর্তী সময়ে গৈরিক নেতাদের গতিবিধি এবং গণহত্যাচলাকালীন বিভিন্ন জায়গার ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিস কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করে যাওয়া হয়েছে।এটা পরিষ্কার যে খবর পাওয়া সত্বেও উপরমহলের নির্দেশে পুলিশ চুপ করে বসেছিল।এই রিপোর্ট সর্বভারতীয় মিডিয়ার কাছে পৌঁছেছে এবং তাদের সৌজন্যে তার কিছু অংশ এখানে তুলে দেবো।
প্রথমেই বলে রাখি,গোধরা ট্র্যাজেডি না ঘটলেও গুজরাত গণহত্যা হত।গোধরা কান্ড দেশলাই কাঠির কাজ করেছিল।বারুদ কিন্তু আগে থেকেই যোগাড় করা হচ্ছিল।
আমেদাবাদে দুটি কেন্দ্রীয় পুলিস কন্ট্রোলরুম ছিল ২০০২ সালে।তার একটি ছিল শহরের প্রাণকেন্দ্রে শাহীবাগে।নারোদা আর গুলবার্গ সোসাইটি,যেখানে ২৮শে ফেব্রুয়ারী ১৫০ জন মুসলিম আবাল-বৃদ্ধ বনিতা কে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়,তা সেই পুলিস কন্ট্রোলরুম থেকে ৬ কিমি ব্যসার্ধের মধ্যে অবস্থিত।
দ্বিতীয়টি,মানে,রাজ্য পুলিস কন্ট্রোলরুম,গান্ধীনগরে পুলিস ভবনে অবস্থিত।নারোদা-গুলবার্গের ঘটনা ঘটার আগে রাজ্য পুলিস কন্ট্রোলরুমে আমেদাবাদে গৈরিক বাহিনীর সশস্ত্র জমায়েতের খবর ছিল।কিন্তু কোনো অদৃশ্য অঙ্গুলিহেলনে তারা চুপ থেকে রাজধর্ম পালন করছিলেন।
আরেকটি তৃতীয় কন্ট্রোলরুম ছিল,যেটি আদতে স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো’র হেড কোয়ার্টার,এবং তা অবস্থিত ছিল ওই পুলিস ভবনেই।২৭ তারিখ থেকেই গোটা রাজ্যের ফিল্ড পুলিস দের কাছ থেকে ভিএইচপি,বজরং দল,প্রমুখ উগ্র দক্ষিণ পন্থী দলের সশস্ত্র জমায়েত এবং গতিবিধি সংক্রান্ত অসংখ্য বার্তা আসতে থাকে।কিন্তু,কোনো অজ্ঞাত কারণে রাজ্য পুলিসের কর্তারা সতর্কবার্তা পাওয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ন্যুনতম চেষ্টা করেন নি।সন্দেহ এখান থেকেই শুরু হয়।
গোধরা ট্র্যাজেডি’র কয়েকঘন্টা পরেই গুজরাতে ভিএইচপি’র ইউনিটের তিন বর্ষীয়ান নেতা,জয়দীপ প্যাটেল,দিলীপ ত্রিবেদী আর কৌশিক প্যাটেল মিলে একটি স্টেটমেন্ট ইস্যু করেন,যাতে রাজ্যওয়াড়ি বন্ধের ডাক দেওয়া হয় এবং কিছু উত্তেজনাকর বাক্য বলা হয় যা সহজেই ‘মব’ কে ‘ভায়োলেন্ট’ করে তুলতে পারে।২৭ শে ফেব্রুয়ারি,রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে একজন স্টেট লেভেল অফিসার এই স্টেটমেন্ট সংক্রান্ত সতর্কবার্তা স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কাছে পাঠান(February 27, 2002.Time: 8:38 pm.State Intelligence Bureau Message No: Page No. 188 (Annexure III, File XVIII,D-160).
এবং তা যথারীতি অগ্রাহ্য করা হয়।২৭ তারিখ বার্তা পেয়ে সতর্ক হলে নারোদা-গুলবার্গের নারকীয় হত্যাকান্ড নাও ঘটতে পারতো।আমার কাছে প্রত্যেকটি মেসেজের দিন তারিখ,সময়,প্রেরক ও প্রাপক,পেজ নাম্বার ,অ্যানেক্সচার,ফাইল আর ডকুমেন্ট নাম্বার আছে।সবকটি এখানে দিলে অতি দীর্ঘ হয়ে যাবে।মেসেজগুলি থেকে এটা পরিষ্কার যে গুজরাত প্রশাসনের কাছে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের আগাম সতর্কবার্তা ছিল,তা সত্বেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।অসহায় মানুষগুলোকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে।যারা মেসেজ গুলো দেখতে চান,আমাকে ইনবক্সে মেসেজ করুন,আমি সোর্স লিঙ্ক দিয়ে দেবো।
২৭ এবং ২৮ তারিখে মুসলিমদের উপর অসংখ্য প্রানঘাতী হামলার পুলিসি বার্তা পেয়েও আমেদাবাদের পুলিস কমিশনার সিটের তদন্তকারী দলের জেরায় বলেন যে তিনি পরিস্থিতি কার্ফিউ জারি করার মত মনে করেন নি।
মেসেজগুলি তুলে ধরছি,
February 27, 2002
Time: Not Known
State Intelligence Bureau Message No: Page No. 345, Order No. 24 (Annexure III File XIX)
Sender: D.O, Ahmedabad
Recipient: Intelligence Office, Virangam (Ahmedabad)
৭৫ জন ভিএইচপি আর বজরংদল সমর্থক গোলওয়াড়া আর বীরাঙ্গাম চাল্লি’তে জমায়েত হয়েছে।পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত।
February 27, 2002
Time: 6:10 pm
State Intelligence Bureau Message: No. 531 Page No. 19 (Annexure III, File XVIII (D-160)
গোধরা থেকে বিকেল ৪.৩০ নাগাদ সবরমতী এক্সপ্রেস আমেদাবাদে এসে পৌঁছেছে।সশস্ত্র করসেবকরা খুনের বদলা খুন বলে শ্লোগান দিচ্ছে।
February 27, 2002
Time: 10:12 pm
State Intelligence Bureau Fax Message: 311/02 Page No.: D-1/ HA/Jaher Sabha/Junagadh
Sender: CID, Bhavnagar
Recipient: IG, Gujarat & Intelligence Bureau, Gandhi Nagar
ওই দিনেই রাত ১০টা ১২তে ভাবনগর থেকে সি আই ডি’র এক ইন্সপেকটর গান্ধীনগরে আইজি,গুজরাত স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো’র কাছে বার্তা পাঠান যে জুনাগড়ে সাধু সমাজ এর প্রেসিডেন্ট গোপাল নন্দ এবং স্থানীয় ভিএইচপি নেতারা হিন্দুদের বদলা নেওয়ার ডাক দিচ্ছেন।সময় সন্ধে সাড়ে-সাতটা থেকে সাড়ে নটা’র মধ্যে।
২৭শে ফেব্রুয়ারি গণহত্যা শুরু হয়।
February 27, 2002
Time 17:45
State Intelligence Bureau Fax Message No 273 File XIX Annexure III
Sender: B M Mohit Anand Centre
সবরমতী এক্সপ্রেস আনন্দ রেলস্টেশনে পৌঁছায়।সেখানে করসেবকরা স্টেশনে উপস্থিত চার মুসলিম কে কোপায়।আনন্দের বাসিন্দা আবদুল রশিদ,বয়স ৬৫,তার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।বাকিদের আনন্দ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
February 27, 2002
Time: 11:59 pm
State Intelligence Bureau Fax Message: Com/HM/550/ Out No. 398
Sender: ACP, Gandhinagar Region
Recipient: IG, Gujarat & Intelligence Bureau, Gandhi Nagar
গোটা রাজ্য থেকে উন্মত্ত করসেবকদের আক্রমণের খবর আসতে থাকে,মোদাসা’র ভেদগামে ৫০ জন করসেবক স্পেশাল বাসে করে গ্রামবাসীদের উত্তেজিত করে স্থানীয় মুসলিমদের উপর আক্রমণ শুরু করে।স্থানীয় পুলিস থানাগুলো তে বারবার সাহায্যের আর্তি জানিয়েও কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি।
সিট এর রিপোর্টে ১৩৪ পাতায় পরিষ্কার বলা আছে যে শ্রী বিজয় বাড়েকা,. Under Secretary to Home Department জানিয়েছেন যে ভিএইচপি’র ডাকা ২৮ তারিখের গুজরাট বন্ধ আর ১ তারিখের ভারত বন্ধ শাসক বিজেপি সমর্থন করেছিল।
February 28, 2002
Time: 9am-10am
State Intelligence Bureau Message No: 73/02 Page 365 (Annexure III File XXI (D-166)
Sender: ACP (Intelligence) Surat
সদর চক,ভাপি টাউন এ ভিএইচপি’র দিনেশ বেহারি,বজরং দলের আচার্য ব্রম্ভট,বিজেপি’র জহর দেশাই আর আরএসএস এর বিনোদ চৌধুরি উপস্থিত জনতাকে গোধরা কান্ডের বদলা নেবার জন্য প্ররোচিত করছেন।
.
.
স্বরাষ্ট্র দপ্তরে ক্রমাগত সতর্কবার্তা পাঠানো সত্বেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।এদিকে গোধরা ট্র্যাজেডিতে নিহত করসেবকদের দেহ লোককে দেখিয়ে ভিএইচপি নেতারা যে ম্যাস হিস্টিরিয়া তৈরী করতে চেয়েছিলেন,তাতে পূর্ণ সফলতা পান।
সোলা হাসপাতালে নিহত করসেবকদের দেহগুলো আনা হয়েছিল।সেখানে ধীরে ধীরে ৬০০০ উন্মত্ত জনতার ভিড় তৈরী হয়।বিপদবার্তা যায় পুলিস সদরে।অথচ পুলিস কর্তা পান্ডে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক দ্যাখেন।করসেবকদের দেহ সৎকার হওয়ার পর উন্মত্ত সশস্ত্র জনতা নারোদা-পাতিয়া,নারোদা গ্রাম আর গুলবার্গ সোসাইটি’র দিকে এগিয়ে যায়।পুলিসের কাছে এর খবর ছিল।
পিসি আর এবং এস আই বি’র রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ ছিল যে গুলবার্গ সোসাইটি আর নারোদা আক্রান্ত হতে পারে।অথচ পুলিস কর্তা পান্ডে কার্ফিউ জারি করেন বেলা ১২.৫০ এ,ততক্ষণে ১০-১৫ হাজার সশস্ত্র মানুষের জমায়েত করে ফেলেছে করসেবকরা।কাজেই,কার্ফিউ কাগজেই থেকে গেছিল।বেলা ২টো থেকে ৬টার মধ্যে ১৫০ মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়।ঘরবাড়ি লুট হয়।পান্ডে সন্ধের আগে সেখানে যাওয়ার সময় পান নি।
ফিল্ড অফিসার রা মোট তিনটে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
Date: 28.02.02
Time: 12:15
Sender: Police Inspector CJ Bharwad To: State SIB Control Room
গুলবার্গ সোসাইটিতে মুসলিমরা বাস করে।
‘মব’ গুলবার্গ সোসাইটি ঘিরে জমা হচ্ছে।
কড়া নজর রাখা দরকার।.
Date: 28.02.02
Time: 14:50
Sender: Police Inspector CJ Bharwad To: State SIB Control Room
৩০০০ এর বেশি ‘মব’ জড় হয়ে গেছে।
টেক ইমিডিয়েট অ্যাকশন।.
Date: 28.02.02
Time: 17:00
Sender: Police Inspector CJ Bharwad To: State SIB Control Room
সমস্ত দিক থেকে ‘মব’ সোসাইটিকে আক্রমণ করে এহসান জাফরি,নারী ও শিশুদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে।ঘরবাড়ি সব লুট করা হয়েছে।
এহসান জাফরি প্রাক্তন সাংসদ।তার বাড়ি থেকে সাহায্য চেয়ে অনেকবার ফোন করা হয় পুলিস থানায়।কেউ জবাব দেয় নি।
আমি মাত্র কয়েকটা মেসেজ তুলে ধরলাম।এটা স্পষ্ট যে গুজরাত গণহত্যায় প্রশাসনের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল।আক্রমণকারীরা ভুল করে কিছু হিন্দু বাড়ি আক্রমণ করে।প্রশাসন থেকে এরপর হিন্দু বাড়িগুলোতে গেরুয়া পতাকা লাগানো হয়,যাতে নরপিশাচরা শিকার চিনতে ভুল না করে।
এত গেল,নিছক তথ্যপ্রমাণ।একটু দেখা যাক,হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা কি করেছিল।
বাচ্চা,কিশোরী,মহিলা কেউ ধর্ষণ থেকে বাঁচেনি।এদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার আগে গ্যাং রেপ করা হয়েছে।স্তন,যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছিল।প্রেগনান্ট নারীর পেট চিরে ভ্রুণ বের করে তরোয়ালে বিঁধে নেচেছে ধর্মান্ধরা।বাচ্চাদের গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্যান্ত পোড়ানো হয়েছে।তিস্তা শেতলাবাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩০০ এর বেশী মেয়েকে ধর্ষণ করে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।মহিলাদের ধর্ষণ করার পর তাদের স্ত্রী অঙ্গে গেরুয়া পতাকা পুঁতে দেওয়া হয়েছে।রেণু খান্না’র লেখায় এর বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
সরকারী পরিসংখ্যানে মুসলিম নিহত হয়েছে ৮০০ এর কাছাকাছি।সিদ্ধার্থ বরদারাজন,কল্পনা কান্নাবিরান,তিস্তা শেতলাবাদ,দ্য কন্সার্নড সিটিজেন্স ট্রাইবুনাল ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীদের হিসেবে নিহতের সংখ্যা ২০০০ এর বেশী।৩০০ এর বেশী এখনও নিখোঁজ।
জামালনগরের মত কিছু জায়গাতে পালটা আক্রমণ ঘটেছিল।সরকারী হিসেবে হিন্দু মৃতের সংখ্যা ২৫৪।এর মধ্যে একটা অংশ মারা গেছে পুলিসের গুলিতে।কিছু মুসলিম পল্লী আক্রমণ করতে গিয়ে বাকিরা পালটা আক্রমণকারী মুসলিমদের হাতে।
১৯৪৬কলকাতা,১৯৪৭দিল্লী,২০০২গুজরাট...সব জায়গাতে কিছু কমন ফ্যাক্টর আছে।সব ক্ষেত্রেই প্রশাসন হত্যাকারীদের সমর্থন করে গেছে।সুরাবর্দী,বল্লভ ভাই প্যাটেল,নরেন্দ্র মোদী,এদের প্রত্যেকেরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এতগুলো মানুষ কে বলি হতে হয়েছে।
আর একটা তথ্যও কমন,যারা মেরেছে আর যারা মরেছে,তারা প্রত্যেকেই সাধারণ মানুষ,কারুর পিতা,কারুর ভাই,কারুর সন্তান।
গুজরাত নিয়ে বেশী কথা বলেছি।কারণ,এটা সাম্প্রতিক বিষয়।আমি গণহত্যা পরবর্তী গুজরাট নিজের চোখে দেখেছি।আমার এক সহপাঠিনী ছিল।গুজরাতি।নাম আসিয়া নাসরিন।গণহত্যার কিছুদিন আগে সে বাড়ি যায়।তার বারি চারোদিয়া চক।আর ফেরেনি। আমরা সহপাঠীরা তার খোঁজ করতে গুজরাটে যাই।সেখানে খবর পেলাম,আসিয়া’কে হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী নরপিশাচরা গ্যাং রেপ করে মুখে অ্যাসিড ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে।
আসিয়া আমার কেউ নয়।১৯৪৬ এর কলকাতাতে যারা খুন হয়েছিল,তারাও আমার কেউ নয়।এবং আমি মনে করিনা,এ নরমেধ যজ্ঞের প্রতিবাদ করার জন্য নিজের কাউকে হারাবার দরকার আছে।
আজ যখন নরেন্দ্র মোদী’কে জননেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়,আমার আসিয়া’র মুখ মনে পড়ে।সতেরো বছরের একটা ফুটফুটে মেয়ে,সায়েনটিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখতো।
তারপর বুনো একটা রাগ শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়ে।
আসিয়া,তোমার দিব্যি,এ দেশে সাম্প্রদায়িকতার শয়তান গুলোকে শেষ না করা অব্দি নিজেকে রেহাই দেবোনা।
এগারো বছর ধরে সেই শপথ রক্ষা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ লড়াই-এ আপনাদের আহ্ববান রইলো।
________________________________________
Name: দ
IP Address : 24.97.186.26 (*) Date:13 Jul 2013 -- 11:23 PM
আপনার নিকটি সার্থক।
করতে তো চাই কতকিছুই। কিন্তু শেষমেষ কিছুই করা হয় না। আপনি/আপনারা করছেন..... আপনাদের সাফল্য কামনা করি।
________________________________________
Name: siki
IP Address : 132.177.2.80 (*) Date:13 Jul 2013 -- 11:35 PM
আরও বেশি লিখুন।
আপনার লেখাটা ছড়িয়ে দিতে চাই, যতটা পারি।
________________________________________
Name: pi
IP Address : 118.12.169.134 (*) Date:13 Jul 2013 -- 11:36 PM
সিকি , ফেবু গ্রুপেও আছে। শেয়ার করতে পারো।
________________________________________
Name: h
IP Address : 127.194.234.39 (*) Date:14 Jul 2013 -- 06:40 PM
এই ধরণের লেখা ভালো, ক্ষত দগদগে হয়ে থাকবে হয়তো স্বাভাবিক, তবে এই ধরণের ন্যুনতম শর্ত হল সোর্সিং। যেটা আমরা ১৯৪৬/১৯৪৭ এর বেলায় পাচ্ছি না। এটা কি ব্যক্তিগত রিসার্চ এর অভাব না মেটেরিয়াল এর অভাব ? এই প্রশ্ন লেখক কে?
এবং এটা যদি সিরিজ হয়, এতে নোয়াখালি, ভাগলপুর, দিল্লী ৮৪, মীরাট, মুম্বাই, আসাম এর উপরে কাজ/নোট্স আশা করব।
________________________________________
Name: h
IP Address : 127.194.234.39 (*) Date:14 Jul 2013 -- 06:41 PM
দ্বিতীয় প্রশ্নবোধক টা শুধু ই দাঁড়ি হবে।
________________________________________
Name: কালপুরুষ
IP Address : 111.218.3.45 (*) Date:15 Jul 2013 -- 12:41 AM
১৯৪৬-৪৭ এর যা ডেটা পেয়েছি,তা পর্যাপ্ত ছিল না।বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমাকে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে যথাসম্ভব যুক্তিগ্রাহ্য অনুমান মিশিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে।সরকারি তথ্যাগার ব্যবহার করতে পারিনি আর আমার দিক থেকেও কিছু ভুল হয়েছে।এরপর থেকে সতর্ক থাকবো।
________________________________________
Name: h
IP Address : 213.99.212.53 (*) Date:15 Jul 2013 -- 11:07 AM
ইয়েস, আমার ক্যাজুয়াল অবসারভেশন কে আদৌ পাত্তা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। যে কাজে নেমেছেন, সে মানে খুব কঠিন লড়াই।
________________________________________
Name: h
IP Address : 213.99.212.53 (*) Date:15 Jul 2013 -- 11:08 AM
সুরঞ্জন দাশ এর বই ৪৬-৪৭ এর জন্য রেফার করতে পারেন।
________________________________________
Name: b
IP Address : 135.20.82.164 (*) Date:15 Jul 2013 -- 11:17 AM
উৎস মানুষের পাবলিশ করা একটা বই ছিলো 'ইতিহাসের দিকে ফিরেঃ ছেচল্লিশের দাঙ্গা'। মোটামুটি পপুলার ইতিহাস বইয়ের মত।
________________________________________
Name: h
IP Address : 213.132.214.155 (*) Date:15 Jul 2013 -- 11:34 AM
হ্যাঁ রাইট। এই বইটা আমি ও কিনেছি, গতবার বইমেলায় মাত্র। রিজনেবলি ভালো বই।
________________________________________
Name: কালপুরুষ
IP Address : 59.136.100.8 (*) Date:15 Jul 2013 -- 12:23 PM
সুরঞ্জন দাশ এর বই'টির কথা জানি।তবে উৎস মানুষের বইটির কথা জানা ছিল না।সংগ্রহ করব।অনেক ধন্যবাদ।আর আমার নিজের মনে হয়েছে প্রত্যেকটি বড় মাপের দাঙ্গা-গণহত্যা আদতে সুকৌশলী রাজনৈতিক ভাবনা প্রসূত।এর নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে।আমার সীমিত সাধ্যে সেই প্যাটার্নের নকশা'টা মানুষের সামনে ফুটিয়ে তুলতে চাই।আপনাদের সহযোগিতা চাইছি।ভারতে ঘটে যাওয়া দাঙ্গা-গণহত্যা নিয়ে যদি কোনো বই,ডকুমেন্ট বা ইন্টারনেট লিঙ্ক জানা থাকে,আমাকে জানান।বই এর নাম লিখলে প্রকাশনী সংস্থার নামটা দেবেন।প্রত্যাশা রইলো।
________________________________________
Name: h
IP Address : 213.132.214.155 (*) Date:15 Jul 2013 -- 01:03 PM
যে কটা টপ অফ দ্য হেড মনে পড়লো ঃ
১- কম্ব্যাট কমিউনুলাজিম - এর আর্কাইভ।
২ - শাহিদ আমিন এর ভাগলপুর দাংগার উপরে প্রবন্ধ।
৩ - লিবারহান্স কমিশন রিপোর্ট ও সাবমিশন
৪ - শ্রীকৃষ্ণ কমিশন রিপোর্ট এবং সাবমিসন
৫। সুজাতা প্যাটেল এর সম্পাদিত বই বোম্বে সংক্রান্ত
________________________________________
এই সুতোর পাতাগুলি [1] এই পাতায় আছে1--13
আপনার নাম:
বাংলা লিখুন(গুগল লেআউট)
বাংলা লিখুন(গুরুচন্ডালি লেআউট)
বাংলা বা ইংরিজি লিখুন(নিজস্ব সফটওয়্যার)
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি 152,008 বার পঠিত
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০