অবশেষে বহুল আলোচিত সমালোচিত সেই ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে বলেই অনেকটা নিশ্চিত আভাস পাওয়া গেল। কারাগারে দেখা করতে গিয়েছেন সাকা ও মুজাহিদের আত্মীয়রা। এর পরেই ফাঁসির পর্ব আসে। যথারীতি কারাগারের সামনে এম্বুলেন্স।
বহুল সমালোচিত এই ফাঁসির ঘটনাগুলো জুড়ে প্রাণভিক্ষা নিয়ে অনেক গুলো গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
যার স্পষ্ট কোন জবাব হয়তো কোনদিন কেউ জানাতে পারবেনা।
প্রশ্নগুলো হল-
০- মেজিস্ট্রেট বেরিয়ে আসলেন বিকেল ৩ টায় অথচ কীকরে দুপুর ১ টা থেকেই মিডিয়া গুলোতে প্রাণভিক্ষার প্রপাগান্ডা শুরু হল?
১- মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দিয়ে কেন দাবীকৃত 'প্রাণভিক্ষার আবেদন' পাঠানো হল?
২- প্রাণভিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনজীবীদের সাথে পরামর্শের জন্য এতবার আবেদনের পরও, তাদের সাথে আইনজীবীদের কেন দেখা করতে দেয়া হলনা?
৩- ২ জন মেজিষ্ট্রেট কেন মিডিয়ায় কিছু না বলে 'অনেকটাই চোখ ফাঁকি দিয়ে' চলে গেলেন? (চ্যানেল আই প্রকাশিত রিপোর্ট)
৪- কখন তথাকথিত প্রাণভিক্ষার আবেদন লিখা হল, কখন তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে গেল, সেখান থেকে আবার আইন মন্ত্রনালয়েও চলে গেল?
৫- নাকি সবই পরিকল্পিত কৌশল?
৬- প্রাণভিক্ষার আবেদন সংক্রান্ত ঘটনা গুলো যদি সত্যিই হবে তাহলে রাষ্ট্রপতির তরফে কোন স্বীদ্ধান্ত ছাড়াই কীকরে দন্ডপ্রাপ্তদের আত্মীয়দের সাথে স্বাক্ষাত পর্ব সমাপ্ত হচ্ছে?
৭- কেন সালাহউদ্দীন কাদেরের ছেলেকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে দিয়েও শেষ পর্যন্ত তার আবেদন রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করলেন না?
৮- কেন আগের দন্ডগুলোর মত এবার আর শাস্তি কার্যকরে সরকারের মাঝে তাড়াহুড়ো মনভাব দেখা যায়নি?
৯- বিস্তারিত রায় পৌছার পরেও কেন এতসব নাটকের সময় ক্ষেপন করা হল?
১০- তবে কি মানবতাবিরোধী অপরাধের দন্ডগুলোকেও প্রচলিত নোংরা রাজনীতির পণ্য করা হচ্ছে?!
১১- গণজাগরণ মঞ্চ কেন আর আগের মত ফাঁসির দ্রুততা নিয়ে কার্যকর চাপ প্রয়োগ করছেনা?
এইসব প্রশ্ন গুলো ঘুরে ফিরেই মানুষকে অবাক করছে। যদিও এর জবাবগুলো পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬