http://goo.gl/4pBtGy
আমাদের দেশের বহুল প্রচলিত একটি কথা শিরোনামে দেয়া হয়েছে। যা আজকের টান টান উত্তেজনা ছড়ানো ব্যাক্তিদের জন্য প্রযোজ্য হচ্ছে।
অথচ খোদ যুদ্ধাপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের পরিবার ও আইনজীবীরা জানেনা, জানে মিডিয়া! http://goo.gl/mzqDbB
পরিবারের বরাতে "প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার সংবাদ অবিশ্বাস্য" শিরোনামে একই সংবাদ বিবিসি বাংলাতেও।
http://goo.gl/mzqDbB
বেশ কিছুদিন যাবত যুদ্ধাপরাধের মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত মুজাহিদ ও সালাহউদ্দীন দফায় দফায় তাদের আইনজীবীদের সাথে স্বাক্ষাত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। জেল কর্তৃপক্ষ বারবার তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।
উপরন্তু দন্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকরেও সরকারের মাঝে আগের সেই তড়িঘড়ি দেখা যাচ্ছে না!
অস্বাভাবিক একটা পরস্থিতি যেন বিরাজ করছে এই রায়কে ঘীরে! ফলে অজানা কারনে দিনের পর দিন বেঁচে থাকছেন যুদ্ধাপরাধে বহুল "প্রমাণিত ঘাতকরা"!
সাকাপুত্রও ফিরে গেলেন ব্যার্থ হয়ে-
http://goo.gl/9vStMF
খবরে বলা হচ্ছে-
"মানবতাবিরোধী অপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী নিজের অপরাধের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না সে বিষয়ে পরামর্শের জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ার পর দুই দফা চেষ্টা করেও তার আইনজীবীরা সাকার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
প্রথম দফায় দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান সাকার আইনজীবীরা। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় সাকার দুই ছেলে ও দুই আইনজীবী আবার যান কেন্দ্রীয় কারাগারে।..."
ফলে এখন এইসব রেকর্ডগুলোই ব্যাপক শেয়ার করে সাজাপ্রাপ্তদের সমর্থকরা প্রশ্ন তুলছেন, 'এই নাটক সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই কী তাহলে সরকার একতরফা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিয়েছে?'
এর আগে অবশ্য আরেক দন্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামকে নিয়ে এমন একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা গেছে আমাদের মিডিয়া গুলোতে!ম http://goo.gl/Bhvq4R
তুমল প্রচারনা হয়েছিলো তিনি 'প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন'! সেসময়ও তুমুল আলোড়ন মিডিয়ায়! পরে দেখা গেল সবই আমাদের অতি আকাঙ্ক্ষার ঢাকঢোলে পরিনত হল! যথারীতি 'যার বিয়ে তার তরফে কোন চাঞ্চল্য নেই'। http://goo.gl/4pBtGy
পরের দিন মিডিয়ায় খবর বেরুলো স্বাভাবিক ভাবে কামারুজ্জামান ফাঁসির দড়ির দিকে এগিয়ে যান। তার মাঝে কোন চাঞ্চল্য প্রকাশ পায়নি! এমনসব অপমানকর খবর গুলো!
কারা সূত্রের বরাতে মানবজমীনে প্রকাশিত রিপোর্টের কিছু অংশ-
"কারা সূত্র জানায়, রাতে জেল সুপার কেন্দ্রীয় কারাগার মসজিদের ইমাম মনির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে আট নম্বর কনডেম সেলে যান। জেল সুপার কামারুজ্জামানকে জানিয়ে দেন যে, এটাই আপনার শেষ রাত। রাতেই আপনার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এখন আপনাকে তওবা পড়তে হবে। এ সময় কামারুজ্জামান গোসল ও ওজু করেন। পরে ইমাম সাহেব তাকে তওবা পড়ান। এর আগে মুরগীর মাংস ও ইলিশ মাছ দিয়ে রাতের খাবার দেয়া হয় তাকে। কামারুজ্জামান অল্প কিছু খাবার মুখে দিয়েই খাবার থেকে উঠে যান। খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যসব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর কারা চিকিৎসকরা তার শরীরিক পরীক্ষার কাজও সম্পন্ন করেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে দশ সদস্যের জল্লাদ প্যানেল থেকে রাজুর নেতৃত্বে চার সদস্যের জল্লাদকে ডেকে নেন জেল সুপার ফরমান আলী। রাত ১০টা ২০ মিনিটে জল্লাদরা কামারুজ্জামানের কনডেম সেলের ৮ নম্বর কক্ষে গিয়ে কামারুজ্জামানকে ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যান। কনডেম সেলের ভেতরেই তাকে জমটুপি (মুখম-ল আবৃত) পড়ানো হয়। তার আগে কামারুজ্জামানের দুই হাত পেছনমোড়া করে বাঁধা হয়। ফাঁসির মঞ্চে থাকা একাধিক সূত্র জানায়, কামারুজ্জামানকে ফাঁসির মঞ্চের দিকে নিয়ে যাবার সময় তিনি কোনও বাঁধার সৃষ্টি করেননি। তিনি ছিলেন কিছুটা সাবলীল। তবে হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি দোয়া-দরুদ পড়ছিলেন।" http://goo.gl/NktYOt
এবার ঠিক একই রকম 'আরেকটি বিয়ের আয়োজন যেন' শোরগোল তুলেছে আমাদের অঞ্চলে!
অথচ যার বিয়ে তার কোন কোন খবর নাই! আর মিডিয়ার চোখের ঘুমও হারিয়ে গেছে!
এর এক দিন আগে এই একাত্তরের মত মিডিয়াগুলোই আত্মঘাতী অতিউৎসাহ দেখিয়েছে-
খোদ পরিবার জানেনা! তাদের আইনজীবীদের কছে কোন খবর নাই! অথচ মিডিয়া ও গণজাগরণ মঞ্চের মিষ্টি বিলানো শুরু হয়ে গেছে! সকল 'অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা' করেছেন যুদ্ধাপরাধীরা?
যদিও অন্তত এসব প্রচারনায় "স্বজ্ঞানে, কারো প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হইয়া" শব্দগুলোকে ছাড় দেয়া হয়েছে। https://goo.gl/O1kcdF ছাগুত্ব যে কত ভাবে আমাদের ঘীরে আছে খোদাই জানে!!
এদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনা চর্চাকারী হিসেবে পরিচিত প্রভাবশালী মিডিয়া বলছে অন্য কথা!
http://goo.gl/rWB3ax
এনাফ ইজ এনাফ!
এবার এমন একটি আকাংখিত খবরের নিশ্চয়তা অর্জনের জন্য হলেও দন্ডপ্রাপ্তদের আইনজীবীকে দ্রুত কারাগারে প্রবেশের অনুমতি দেয়া উচিৎ। যেন এই 'বীর বাঙ্গালী' বুকে সাহস নিয়ে সত্য ইতিহাস হিসেবেই 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের' মিডিয়া গুলোর বর্তমান সংবাদ গ্রহণ ও প্রচার করতে স্বক্ষম হয়!
যেন সত্যিকার অর্থেই; অন্তত ভবিষ্যত প্রজন্ম বলতে পারে,
"প্রতিপক্ষ বিচার নিয়ে যতই প্রশ্ন তুলুক তাদের নেতারা নিজ মুখে নিজেদের 'অপরাধ স্বীকার' করে 'ক্ষমা ভিক্ষা' করে গেছে!"
যুদ্ধাপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের মানসিক শক্তির ওপর অন্তত এইক্ষেত্রে আমাদের সাহস ও দৃঢ়তা থাকা উচিৎ! আসামীদের পক্ষে তো বহু সুযোগ দেয়া হল, এবার আমাদের বাঙ্গালীর মুক্তিকামী আবেগকে প্রামাণ্য দলীল রুপে প্রতীষ্ঠার জন্য এই সুযোগ বাঙ্গালীদের পক্ষ হয়েই দেয়া হোক।
জয় বাঙ্গালী, জয় মুক্তিযুদ্ধ
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২