খুব সহজ। যারা ইসলামের সত্যকে মিথ্যা দ্বারা কলুষিত করতে চাচ্ছে তারা দুইটা সম্প্রদায়। এক- ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠী। দুই- মোসাদের প্রজেক্ট আইসিস ও তার সমমনারা। দেখুন
অথচ আমরা যদি ইসলামী জ্ঞানে জ্ঞানী হতে পারতাম তাহলে এই দুই শ্রেণী মোটেও ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে স্বক্ষম হতনা।
ইসলামী জ্ঞানটা আজকের বিশ্বশান্তির জন্য নাম্বার ওয়ান আবশ্যক বিষয়। কারন বিশ্বের তাবৎ অস্থিরতার পেছনে ইসলাম নামধারী জঙ্গির বিস্তার ও তা নির্মূলের অন্ধ তৎপরতা দায়ী।
যেখানে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় কার্যকরী হিসেবে ইসলাম শিক্ষাকে মুসলিম বিশ্বের জন্য আবশ্যক হিসেবে ঐক্যমত্য প্রতীষ্ঠিত হবার কথা; সেখানে বিভিন্ন ভাবে ইসলাম ধর্ম শিক্ষার মান কমিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে এর গুরুত্ব কমিয়ে দেয়া হচ্ছে! আমাদের মিডিয়া, সিনেমা, নাটকেও ইসলামী পোশাক, দাড়ি, টুপিধারী ভিলেন চর্চার বাহুল্য ইসলাম সম্পর্কে ধারনাকে নেতিবাচক করার জন্য সামাজিক ভাবেই বড় ভূমিকা রেখে আসছে। চরম আশ্চর্যজনক যে, এই চর্চাটা আমাদের মিডিয়ায় স্বাভাবিকত্বও অর্জন করেছে! যার পরিনতি, ইসলাম ও ইসলামী জ্ঞানের প্রতি অবহেলা।
আমাদের পূর্বপুরুষেরা যেভাবে পরিবার কেন্দ্রীক আবশ্যক চর্চা হিসেবে ইসলামী জ্ঞানের চর্চা করেছেন, সেটাকে আমাদের সচেতন নাগরিক ব্যাক্তত্বরা সচেতন ভাবেই অবজ্ঞা করে চলেছেন।
ফলাফল ইসলামী জ্ঞানে অজ্ঞ একটি মুসলিম সম্প্রদায়।
আর এমন অজ্ঞ সম্প্রদায়কে দুই চারটা ভুয়া দলিল গিলিয়ে জঙ্গি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করানোটা ইহুদিদের প্রজেক্টে অনেক সহজ। বিশেষত জঙ্গি হয়ে বের হওয়া দলটিকে চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে 'ধর্মজ্ঞান করা' নিশ্চুপ ধর্মভীরু সমাজের দায়টাই বেশি। এমন একটি অজ্ঞ সমাজে সবার ধারনা থাকে- 'তিনি নিজে তথাকথিত জিহাদে বের হতে পারেননি, কিন্তু কেউ কেউ তো বের হচ্ছে! তাহলে এদের বিরুদ্ধে কথা বলে 'ইমান' হারাবেন কেন!" দুঃখজনক এই অজ্ঞতা!
যখন ইসলামী জ্ঞানে অজ্ঞ মানুষদের সমাজ জিহাদের অপব্যাখ্যা বিশ্বাস করতে শুরু করে তখন এমন একটা জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্রই প্রস্তুত হয়।
-এখানে জঙ্গিরা অজ্ঞতার সুযোগ গ্রহন করে পুরোপুরি।
ফলে আশ্রয়, প্রশ্রয়, আত্মগোপনের স্থান সবই সাজানো-গোছানো ভাবে তাদের হাতের মুঠোয় থাকে!
অথচ! সবাই জঙ্গিবাদ ও তার কুফল নিয়েই সমালোচনা মুখর! যেন নির্মুলের রাস্তা খুঁজে না পেয়ে গণহারে বনি আদমের ওপর হামলা করে কোটি কোটি মানুষের বাস্তু ধ্বংস করে দেয়াটাই সমাধান! যাচ্ছেতাই ভাবে মুসলিম নামধারী কিংবা ইসলামী পোশাকের মানুষ গুলোকে গণহারে হয়রানী করে জঙ্গি বিস্তারে বেশি করে ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। পাশ্চাত্য এবং মুসলিম বিশ্ব সর্বত্রই এই একই চিত্র! জঙ্গিবাদ নির্মূলের পরিবর্তে উল্টা পথে চলে জঙ্গিবাদ বিস্তারে সব কাজ করে যাচ্ছে সরকার গুলো!!
ফলাফল স্বরুপ গণমানুষ জঙ্গি বিরোধী শক্তিকে, সাধারন ভাবেই ইসলামী সভ্যতা বিরোধী শক্তি হিসেবেই দেখতে পাচ্ছে!
কিন্তু কেউই জঙ্গিবাদ সৃষ্টি ও তার বিস্তারের মূল কারনটা ফাইন্ড আউট করে তার সমাধান সার্বজনীন ইসলাম শিক্ষার প্রসারের দাবি নিয়ে এগিয়ে এসে কথা বলছেনা। এগিয়ে এসে উচ্চারণ করছেনা- অজ্ঞ জনে জ্ঞান দাও! ইসলামের মহামহিম শিক্ষা, ইসলামে জিহাদের অর্থ ও সংজ্ঞা কোরআন-হাদিসের আলোকে চারিদিকে ছড়িয়ে দাও! অন্ধকার কোণ গুলো আলোকে আলোকিত করে দাও!
যদিও সবাই ইতিহাসের নির্জলা বাস্তবতায় একবাক্যে মেনে নেয় ইসলামের প্রসার হয়েছে দয়া, মানবতা, ভাতৃত্ব, জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারের মাধ্যমে! মানুষ সচেতন ভাবে ইসলাম দেখে দলে দলে মুসলিম হয়ে প্রমাণ রেখে গেছে এর শিক্ষা সকল ধরনের অমানবিকতার মূলোৎপাটনের শিক্ষা! ফলে মুসলিম সাম্রাজ্য পতনের পর ভারতীয় উপমহাদেশসহ গোটা বিশ্বে শান্তির দীশাপ্রাপ্ত মানুষগুলো ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন পরম আন্তরিকতায়! দেখুন
-তাহলে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে সার্বজনীন ইসলামী শিক্ষার কার্যকারিতার প্রশ্নে, শিক্ষাবীদদের নিদারুন দৈন্য, অমার্জনীয় অপরাধ বলে গন্য হবেনা কেন??
ইতিমধ্যেই জঙ্গি ইস্যুতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া নিরপরাধ মুসলিম জনপদের পক্ষ থেকে সচেতন বিবেকের কাছে এই প্রশ্ন রেখে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪