আবারও চলে এলাম ছবি ব্লগ নিয়ে, আগেও বলেছি এখনও বলছি আমার তোলা ছবি আমার নিজেরই পছন্দ হয় না। আপনাদের কেমন লাগবে কে জানে?
সাহস নিয়ে গতকাল কিছু ছবি তুলেছি আপনাদের জন্য।
নতুন তোলা ছবিগুলো সহ আমার দাদাজানের কিছু স্মৃতি চিহ্ণর ছবিও পোস্ট দিলাম।
আমার দাদাজানকে আমি কোনদিন দেখিনি। আমার আব্বার বয়স যখন দেড় বছর তখন আমার দাদাজান কলকাতায় ইন্তেকাল করেন। সেই হিসাবে আমার আব্বাও আমার দাদাজানকে দেখেননি।
যুদ্ধের সময় অনেক স্মৃতিই হারিয়ে গেছে পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরতায়, শত্রুসেনারা চলে যাবার পরে কিছু জিনিস আমার দাদীজান বিধ্বস্ত দালান ঘেটে উদ্বার করেছিলেন।সেখান থেকে কিছু স্মৃতি চিহ্নর ছবি দিয়েছি। একটু বলি , আপমার দাদাজান তিনি বেশির ভাগ সময় ব্যবসায়িক সূত্রে কলকাতায় বাস করতেন। মাঝে মাঝে যশোরে আসতেন উনাদের জ্ঞতিদারি তদারকিতে।.........
আজ থাক অনেক বকবক করছি ,আসুন তবে মূল পোস্টে যাই।
ব্যস্ততা
পৃথিবীতে মানুষই কি কেবল ব্যস্ত থাকে? মনে হয় না। সকল প্রাণিই যে যার মত ব্যস্ত।এই ছবিটির শিরোনাম তাই "ব্যস্ততা" দেওয়া হলো।
জীবন যুদ্ধ
আজ থেকে আমাদের শহরে সর্বাত্মক লকডাউন। এই খবর এই ধরনের দিন এনে দিন খাওয়া শ্রম জীবি মানুষের জন্য ভয়ানক দুঃসংবাদ। সাহায্য করবার তেমন কেউ নেই। আর কে ই বা কাকে সাহায্য করবে? সরকারের কাছেও কেউ কিছু আর আশা করে না। অথচ নিত্য চাহিদার জন্য চাই টাকা। কে দেবে ভরসা?
মন খুশি
এটা কোন নদী নয়। শহরের মধ্যে ছোট্ট পুকুর। স্থান বেজপাড়া,নলডাঙ্গা পুকুর। সেখানে মনের খুশিতে ডিঙি নৌকা ভাসিয়েছে এক যুবক।
"প্রাচীন হস্তাক্ষর"
আমার দাদাজানের নিজের ডায়েরীতে তাঁর নিজের হাতের লেখা।
"দৃষ্টি সহায়ক কাচ"
দাদাজানের চশমা।
সিলমোহর
দাদাজানের চারভায়ের সীলমোহর।
প্রাচীন কলম
হিসাবনিকাশ
হিসাব মেলাতে ব্যস্ত মানুষ।
দাদাজানের স্মৃতি
আমার দাদাজানের স্মৃতি। এইটার নাম কি বলুন তো? এটি সম্পূর্ণ পিতলের তৈরি। ছবিতে যত বড় দেখাচ্ছে এটি তত বড় নয় । চারশো গ্রাম ওজন মাত্র।
ক্লু দিচ্ছি, ধুতির সাথে ব্যবহার হতো।
প্রচীন নথি।
"ভালোবাসা"
ছোট্ট বান্ধবী মধুরিমার স্মৃতি। যে মাত্র নয় বছর বয়সে অজানা রোগে মারা গিয়েছিল।
খেলতে খেলতে একদিন আমাকে উপহার স্বরূপ দিয়েছিল এই রত্নগুলো। কতদিন হয়ে গেল, কত কিছু হারিয়ে গেল। শুধু এই স্মৃতিগুলো রয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৭