ভূদেব বাবু চেয়েছিলেন আজ বাড়ি থেকে সকাল সকাল বের হবেন।কিন্তু মানুষের সব চাওয়া সব সময় পূরণ হয় না, অদৃশ্য কারো ইশারায় চলে এই পৃথিবী।তিনিই ভালো জানেন কিসে ভালো কিসে মন্দ।সেই তার ইশারায় হয়তো সকাল থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে।
হচ্ছে তো হচ্ছেই। থামছে না কিছুতেই। এদিকে টিউশনিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। বিকেলের টিউশনিগুলো এখন তিনি সকালেই সেরে নেন।
সব শিক্ষকরাই অবশ্য তাই করছেন। সকাল সকাল স্কুলে যাওয়া নিয়ে ব্যস্ততা নেই,অফিস খোলে ১০টার পরে।তারপর শুরু হয় স্কুলের যাবতীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম। তার আগে অনায়াসে দুটো টিউশনি সেরে নেওয়া যায়।
এই মুহুর্তে সরকারী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুলে ছাত্র ছাত্রী আসা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ।বাবা মা অথবা অন্য অভিভাবকগণ হোম ওয়ার্কের খাতা সপ্তাহান্তে এসে বিনিময় করে নিয়ে যান।সাথে কিছু প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও শীট দিয়ে দেওয়া হয়। ছাত্র ছাত্রীদের পড়া বুঝিয়ে দেওয়া হয় ফেসবুকের গ্রুপের মাধ্যমে। এতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করাতে নতুন করে জুম নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
তাতে আরো বেশি ছাত্র /ছাত্রী সংযুক্ত হতে পারবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সহ।
ভূদেব বাবুর বরাবরই প্রযুক্তি ভীতি আছে। আগে স্কুলে পাঠদানে তিনি ভীষণ রকম সাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। কিন্তু করোনার পরে স্কুলের প্রতি,শিক্ষা জগতের প্রতি তার প্রচন্ড ঘৃণা ধরে গেছে।নতুন নানা নিয়মকানুনের সাথে তাল মেলাতে তিনি বেশ হিমসীম খাচ্ছেন বলা যায়।
বিশেষ করে তিনি অনলাইনে ক্লাসে নিতে গিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েন।প্রথমত ছাত্র/ছাত্রী বাদে আরো অনেকে তাকে লক্ষ করছে এটা তাকে মানসিকভাবে পীড়া দেয়।সবসময় মনে হয় এই বুঝি কি না কি ভূল হয়ে গেলো। মানুষের বাড়তি কথা শুনতে তার এখন আর ভালো লাগেনা।নিজের পোষাক নিয়েও সচেতন থাকতে হয়। তার তো মাত্র দু’সেট পোষাক।
আরো অনেক দুঃখ কষ্ট অভিমান ঘিরে আসে ইদানিং।
সবচেয়ে দুঃখ লাগে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথা এদেশের কেউ তেমন একটা ভাবে না।অথচ এই দুঃস্থ লোকগুলো নাকি মানুষ গড়ার কারিগর।মানুষ গড়ার কারিগর শুনলে তার এখন হাসি পায়।বাঙালির শুধু গালভরা বুলি।এদেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে শিক্ষকমাত্র দুঃখ দুর্দশায় জীবন অতিবাহিত করবে।তাদের কোন চাহিদা থাকতে নেই। তাদের যে সংসার আছে পরিবার পরিজন আছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন পাগলাঘোড়ার সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হয় সামান্য বেতনে।সে কথা সবাই ইচ্চাকৃতভাবে এড়িয়ে যায়।
করোনার বন্ধের আড়াই মাস পরে স্কুল খোলা হলো নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে। বেশ খানিকটা চুরি চুরি করে, বাধ্য হয়ে। বিশেষ করে আড়াই মাস ধরে শিক্ষকবৃন্দের বেতন বন্ধ। কমবেশি সবাই ধারদেনা করে ফেলেছেন।স্কুলের আনুষঙ্গিক খরচ চলেই যাচ্ছে নিয়মিত। স্কুল কতৃপক্ষ বিকল্পভাবনা ভাবতে চাইছেন।তখন সত্যি সত্যি ভূদেববাবুর ঘুম হারাম হয়ে ওঠার দশা হয়েছিলো। স্কুল না থাকলে তো তার অস্তিত্বই থাকবে না। টিউশনি জোগাড় করা কষ্ট হয়ে যাবে।
যা হোক লকডাউন শেষে স্কুল খোলার পর শুরু হলো ক্লাস নেয়ার জটিলতা,নতুন নিয়মের সাথে অনেক অভিভাবক দ্বি-মত পোষণ করতে লাগলেন। আস্থাহীনতায় ভুগতে লাগলেন। কেউ কেউ তার ফেসবুক বা স্যোশাল মিডিয়ার আই ডি শেয়ার করতে দ্বিধাগ্রস্থ।বাচ্চাদের পড়া চালিয়ে যেতেও ইচ্ছুক নন কোন এক অজানা কারণে অনেকে।তারপর এক এক করে বাচ্চারা পড়া নিয়ে পড়া শুরু করতে লাগলো তখন ভীষণ রকম মোবাইল গেম টিভি আসক্ত বাচ্চাদের পড়ালেখায় ফেরাতে ধীরে ধীরে স্কুল মূখী হতে লাগলো অনেকেই।তারপরেও কোন কোন অভিভাবকদের চরম অসহযোগীতা ও কটু বাক্যবাণ তো আছেই।
সত্যি বলতে কি ছাত্র ছাত্রীদের নির্দিষ্ট সময়ে সবাইকে একসাথে পাওয়া যায় না বেশির ভাগ সময়ে ।কারো বাবা থাকে অফিসে,কারো আবার মা থাকে বাইরে তো তাদের সাথে যোগাযোগ করতে করতে রাত দশটাও বেজে যায় কোন কোন দিন।
কারো ফোন থাকে বিজি। আবার কারো স্কুলের দেওয়া সময় ম্যাচিং এ সমস্যা।বলা যায় সমস্যা একটা না হাজারটা।আবার কেউ নির্দিষ্ট সময় নেটে ব্যস্ত থাকেন বিভিন্ন কাজে।
অভিভাবকদের এমনিতেই তোয়াজ করে চলতে হয় প্রাইভেট স্কুল বলে।এখনতো আরো বেশি তোয়াজ করা লাগে।।যেন শিক্ষকবৃন্দ দায়বদ্ধ, এপ্রিল মে দুই মাসের বেতন মওকুফ করা হলো স্কুল থেকে। সেই সাথে শিক্ষকবৃন্দও সেই দুই মাস বেতন পেলেন না।কেউ একটু খোঁজ নেবার প্রয়োজনও বোধ করলো না যে সম্মানিত শিক্ষকদের এই দুই মাস কিভাবে চললো।বরং বেশির ভাগ অভিভাবক পান থেকে চুন খসলে নানা অকথা কুকথা শোনাতে দ্বিধা করলো না যথারীতি।সোজাসুজি বলে বসে স্কুলে পড়ানো তো না,টাকা আদায়ের ফন্দি।
একটু ভাবেনা বেসরকারি স্কুলের মাসিক রানিং খরচ কত।বাসা ভাড়া, কারেন্ট বিল,স্টাফ খরচ। নেট খরচ।জেনারেটর খরচ।পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা খরচ…….।
হায়রে দেশের মানুষ। হায়রে দেশের সরকার।
ভূদেব বাবু বিষণ্ণ মনে বৃষ্টি দেখছেন।আর নানাকথা ভাবছেন।শিক্ষকতা পেশা নেওয়াটাই ছিলো চরম ভুল।বিশেষ করে বেসরকারি স্কুলের। কত টাকাই বা বেতন দেয়। প্রধান শিক্ষক পান চার হাজার পাঁচশো।অন্যান্য সহকারীরা দুই হাজার আড়াই হাজার।
বেসরকারী স্কুলের শিক্ষকদের জন্য কোন পরিকল্পনা নেই। তারা মনে হয় অচ্ছুৎ শ্রেণির। তাদের ভাবনা কেউ ভাবে না।
অথচ তারা নিঃস্বার্থভাবে স্কুল টিকিয়ে রাখার স্বার্থে হোক বা নিজের চাকরি বাঁচাতে হোক। নিরলস ভাবে পাঠ দান অব্যাহত রেখেছেন। বিন্দুমাত্র ফাঁকি তারা পারত পক্ষে দেন না।
আশেপাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেজাল্টের চেয়ে তাদের স্কুলের রেজাল্ট কত ভালো। অথচ সেভাবে তাদের মূল্যায়ন কই?
বিভিন্ন প্রপোগন্ডা মোকাবেলা করে স্টুডেন্ট জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় তাদের। সরকারও সবসময় বিমাতা সূলভ আচরণ করে।এই যেমন গত দুতিনবছর ধরে নতুন নিয়ম চালু করলেন ডিসি সাহেব যে কিন্ডারগার্টেনের পড়ুয়া ছাত্র /ছাত্রীদের সরকারি স্কুলে নেওয়া হবে না।একটা স্বাধীন দেশে একোন জংলী নিয়ম?
কিন্ডারগার্টেন যদি ক্ষতিকর হয় তো পুরোপুরি বন্ধ করে দিক।
তাদের এলাকার মোমিননগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তো হাসতে হাসতে বলেন আরে, আমরা অত খাটনি করে পড়ানোর মধ্যে নেই।
স্কুলে পড়া হলো কি না হলো তাতে তেমন কিছু যায় আসে না। বাচ্চারা কোন রকমে পাস করলেই হলো।
তবে বৃত্তি গুলো আপনার নিয়ে গেলে উপরে তো কিছু কথা শুনতে হয়।
দ্রুত মাথা ঝাড়া দিয়ে ভূদেববাবু নতুন ভাবনায় মন দিলেন। সব তো হলো এখন বৃষ্টিতে কী করে বাইরে যাবেন।বাইরে বলতে টিউশনিতে যাবেন।
আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করে ভূদেব বাবু একটা ছাতা নিয়ে বের হয়ে পড়লেন।যদিও ছাতাটা ভাঙা। ভাঙা ছাতা নিয়ে কোথাও যেতে বেশ বিব্রত লাগে। কিন্তু এখন এছাড়া উপায়ও নেই।
রোকনের মায়ের কথাবার্তা ভালো না।পাঁচ দশ মিনিট কোন কারণে দেরি হলে ঝমাঝম দুচার কথা শুনিয়ে দিতে দ্বিধা করবে না।রোকন খুব ভালো ছাত্র। অল্পতেই যে কোন পাঠ খুব সহজে বুঝে ফেলে।এবকম ছাত্র পড়িয়ে আরাম আছে তাই তিনি নানা কথা হজম করেও টিউশনিটা ধরে রেখেছেন।
নিচে নেমে তিনি হাঁটা শুরু করলেন।
বৃষ্টি ঝরছে তো ঝরছে অঝর ধারায়। না বের হওয়াই ভালো ছিলো। চামেলি আসবার সময় বাজারের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়েছে।
চামেলির সব সময় জেদ।বললেন যে ছাত্র পড়াতে যাচ্ছেন। তা হবে না।ব্যাগ তাকে নিতেই হলো।মাসের শেষ টাকা পয়সা নেই হাতে।
তার যে আয় ইনকাম সীমিত। সেটা সে কিছুতেই বুঝতে চায় না।
আনমনেই পথ চলছিলেন ভূদেব বাবু। রাস্তায় গাড়ি তেমন একটা নেই বললেই চলে। হঠাৎ একটা দ্রুত বেগে মটর সাইকেল তাকে প্রায় ধাক্কা মেরে চলে গেল।তিনি ছিটকে পড়ে গেলেন।
ঝুপ করে একটা শব্দ হলো।ভূদেব বাবুর অবশ্য তেমন একটা লাগেনি। তবে পুরো কাপড়চোপড় নোংরা জলে মাখামাখি।তিনি উঠে দাড়িয়ে দেখলেন।সামনে একটা প্যাকেট পড়ে আছে।
এই বৃষ্টিতে কে একজন দৌড়ে এসে তাকে তুলল।পড়ে থাকা ব্যাগটি হাতে তুলে দিয়ে বলল।দেখে শুনে পথ চলুন কাকু। এখনি তো বিপদ বাধাচ্ছিলেন।
ভূদেব বাবু কি যেন বলতে গেলেন।তার আগেই লোকটি যেমন ঝড়ের গতিতে এসেছিল তেমনি ঝড়ের গতিতে চলে গেল।
প্যাকেটটি বেশ ভারি মনে হলো। অনিচ্ছা স্বত্বেও তিনি প্যাকেটটি তার হাতের প্যাকেটে মধ্যে ঢুকিয়ে নিলেন।সারাজীবন সৎ ভূদেব বাবুর মনের মধ্যে বেশ খানিক লোভ কাজ করলো।
অনেক সমস্যার সমাধান হয়তো এই প্যাকেটে আছে।সমস্ত শরীর ভিজে এক শেষ। তিনি ঠিক করলেন তিনি আজ আর টিউশনিতে যাবেন না।
তিনি ধীরে ধীরে বাড়ির পথ ধরলেন।…..
চামেলী দরজা খুলেই ঝাঁঝিয়ে উঠলো,
-ফিরে এলে যে বড়?একি সারা শরীর দেখি নোংরা জলে মাখামাখি।কোথায় আবার হোঁচট খেয়ে পড়লে।তুমি না বড্ড যন্ত্রণা করো।
বয়স বাড়ার আগেই বুড়ো হয়ে যাচ্ছো।মহা যন্ত্রনা তোমাকে নিয়ে।
ভূদেব বাবু কিছুু বললেন না,তার মাথার ভিতরটা ফাঁকা ফাঁকা, তিনি একটা ঘোরের মধ্যে আছেন।তিনি ঘোলাটে চোখে একবার চামেলীর দিকে তাকালেন।পাশের ঘরে ছেলে মেয়েরা কি নিয়ে যেন হৈ চৈ বাঁধিয়েছে।অন্য সময় হলে তিনি একটু বকে উঠতেন এখন খেয়াল করলেন না।শরীরের বাম পাশটা বেশ ব্যাথা করছে।
চামেলীর তীক্ষ্ণ চোখ প্যাকেটের দিকে চলে গেলো।
-প্যাকেটে কি?বাজারে গিয়েছিলে নাকি? এতো তাড়াতাড়ি? কই দেখি?
টান দিতেই ভূদেব বাবু প্যাকেটটা আলগোছে ছেড়ে দিলেন।তারপর ঢুকলেন বাথরুমে।
আগে বুঝতে পারেননি বাথরুমে কাপড় বদলাতে গিয়ে বুঝতে পারলেন তার বাম কাঁধে প্রচন্ড ব্যাথা ।এর জের ধরে পুরো বাম পাশটা ব্যাথায় টনটন করছে।
অনেকটা সময় তিনি বাথরুমে কাটালেও আজ চামেলীর কোন হাঁক ডাক নেই।কি নিয়ে ব্যস্ত কে জানে? কল ছেড়ে কলের নিচে মাথা পেতে রইলেন।
বেশ অনেকটা সময় পরে ভূদেব বাবু বাইরে বের হয়ে দেখেন। সারা বাড়িময় যেন পূজোর আনন্দ।
চামেলীর গদগদ হয়ে দৌড়ে এসে বলল,
-রিয়ার বাবা এতো গুলো টাকা তুমি কোথায় পেলে? কে দিলো বলতো?
-টাকা?
-হ্যাঁ টাকাইতো আমার কাছে কেন লুকাচ্ছো?-এই তো! তুমিই তো প্যাকেটটা হাতে করে নিয়ে এলে।
ভূদেব বাবুর এতোক্ষণে ঘোর কাটলো মনে হয়। তিনি হঠাৎ মাতা নাড়িয়ে উঠলেন তার সন্দেহ তাহলে ঠিক কিন্তু তিনি একি করতে যাচ্ছিলেন।
তিনি কিছুক্ষণ কি যেন ভাবলেন। তারপর বেশ কড়া গলায় বললেন,
-এ টাকা আমাদেন না।
-তাহলে কাদের?
-জানিনা।
– জানিনা মানে কি।
-জানিনা মানে জানিনা।তারপর তিনি সমস্ত ঘটনাটা খুলে বললেন।
সব শুনে চামেলী বলল,
-তাহলে তো টাকাটা আমাদেরই।
-ভূদেববাবু মুখ শক্ত করে বললেন,
-আমি টাকাটা ফিরিয়ে দেবো।
-কাকে ফিরাবে?টাকার মালিককে তো তুমি চেনো?
-আমি খুঁজে বের করবো।
-তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? তোমার কি মনে হচ্ছেনা ভগবান এ টাকা নিজে আমাদের হাতে পৌছে দিয়েছেন।
-আমার মোটেও তা মনে হচ্ছেনা।তুমি জেনে রেখো সততা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
-তোমার ওই সব বইয়ের ভাষা একদম আওড়াবে না। রিয়ার বাবা তুমি একটু ভেবে দেখো।এই টাকাটা আমাদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে।
এমন সচ্ছলতা আমার চাই না।
চামেলীর মুখ ভার হয়ে গেলো। এই গোয়ার গোবিন্দ লোকটি স্ব-ইচ্ছায় হাতে লক্ষী কে পায়ে ঠেলে দিতে চাইছেন।
চামেলী তবু শেষ চেষ্টা করলো।
– তুমি একটু বুঝতে চেষ্টা করো।
ভূদেববাবু মুখ শক্ত করে বলল,
-যার সম্পদ তার কাছে ফেরত যাবে।এর বেশি আমি কিছু বুঝতে চাইনা।
ভূদেববাবু আবার বেরিয়ে পড়লেন।বৃষ্টিটা আরো বেড়েছে।তার হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবুও তিনি হেঁটে চলেছেন এক বুক অভিমান নিয়ে।ভগবান তার পরীক্ষা নিচ্ছেন তিনি এই পরীক্ষায় কিছুতেই ফেল করবেন না। কিছুতেই না……
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬