আমি একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি। ভাবি প্রতিভার কারণে এই দেশে এখনো টিকে আছি। তবে প্রতিভার কারণে মাঝে মধ্যে দিকশূন্য হয়ে যাই। কোন দিকে যাবো বুঝতে পারি না। উত্তর-দক্ষিণ আউলাইয়া ফেলী। সামনে পিছে ঠিক রাখতে পারি না। চিন্তা করি এত প্রতিভা রাখবো কোথায়!! ঘরে রাখা যায় না, চুরি হওয়ার ঝামেলা থাকে। কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাই যে রেখে দিব। অবশ্য রাখবইবা কেন!! হ্যাকিং হয়ে যেতে পারে আমার প্রতিভা। এই না রাখাও আমার প্রতিভার স্বাক্ষর। মানে আমি আগেই বুঝে গেছি আমার প্রতিভা হ্যাকিং হতে পারে হি...হি বুঝুন আমি কত বড় চালাক প্রতিভাবান...।।
এইসহ সাড়ে তিন বার ইটের সহিত উষ্ঠা খাইয়া চিপা একটা গর্তের ভিতর পড়ে গেলাম। এখানে খালি গর্ত আর গর্ত। একটা ঠুস করে শব্দ হলো। তবে শব্দটা ঠুস করার আগে হলো নাকি ঠুস করার পরে হলো বুঝা গেল না। দূর থেকে হিঃ হিঃ হুঃ হুঃ আওয়াজ শুনলেও তাকিয়ে দেখী আশেপাশে কেউ নাই। মানির মান পড়ে গেল না, টিকে রইলো। কোথাও পড়েগেলে একটু আধটু আওয়াজ হয় এটাই স্বভাবিক। তবে হাসিটা মেয়ের নাকি ছেলের তা ক্লিয়ার বুঝতে পারলাম না। মেয়ের হলে আমার যে কি হতো তাই ভাবতেই পারছি না। মেয়ের সামনে পড়ে গেলে আমি মারাত্মক লজ্জিত হই।লজ্জার কারণে হলকা শরমও পেয়ে যাই।তারাতাড়ী উঠে খাড়ালেও কোন ভাবে দাঁড়াতে পারলাম না। বাম পায়ের জুতা খানী দেখতে না পেয়ে ভীষন কষ্ট অনুভূতি হতে লাগলো। জুতাটা যে কি পরিমাণে নতুন ছিল তা না দেখলে আপনারা বিশ্বাসই করবেন না। মাত্র সাড়ে দই বছর আগে কিনেছি। জুতার তলা মাত্র দুদুই বার ছুটে গিয়েছিল। এই তলা টিকেয়ে রেখেছি পেরেক মেরে। কী পরিমান পেরেক মেরেচি তা একমাত্র জুতাই জানে। জুতার যদি মুখ থাকতো আমাকে কি গালাগালি করতো তা কানে হাতদিলেও শুনা যেত। পেরেক গুলি যদি খুলে বিক্রি করতাম তাহলে কয়েক কেজি হতো। এই কারণে এই জুতার ভার আমি বইতে পারতাম না। প্রায়ই কিছু না কিছুর সাথে উষ্ঠা খাইতাম। আমার দু'টি বোতাম কেছুতেই হারিকেন জ্বালিয়েও খুজে পেলাম না। পেলে লাগিয়ে নিতে পারতাম। আমি জামার বোতামও লাগাতে পারি, যেরকম জুতার পেরেক লাগাতে পারি। তাড়া-তাড়ি ওই জায়গা থেকে প্রস্থান করে পরানের টিয়াপাখি সাদা কইতর মিস বনলতা সেনের বাড়ির সামনে যেতে না যেতেই তাদের পাগলা বিদেশী কুত্তা কর্তৃক দাবড়ানির সম্মুখীন হলাম। কুত্তাটা হেব্বী ইস্মার্ট, নেশা করে।ইস্মার্ট লোকেরা একটু আধটু নেশা করবেই, এটা স্বাস্বভাবিক। এটা দোষের কিছু না। সে কিছুই খায়না টানে। তবে এই টানাটানির পরও সে জাতে মাতাল তালে কুত্তা। আমাকে দেখলে কুত্তাটা খালি ঘেউ ঘেউ করে। আমার ওপর তার এইরাম আক্রোশের কারণ আমি আজ ওবধি বুঝলাম না। তবে এইটুকু বুঝলাম আজ সে টানাটানি একটু বেশীই করেছে। বিদেশী কুত্তা হইলেও, ঘেউ ঘেউ বাংলায় করে। শুনে মনে খুবেই শান্তি পেলাম..