একটু গর্ব করেই বলি,
আমি বাংলাদেশী।
কারণ এ দেশ জন্ম দিয়েছেন কাজী
নজরুল, জসীমউদ্দীন, শামসুর রহমান, ডক্টর
মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, হুমায়ুন আহমেদের মত
প্রতিভাধর ব্যাক্তিদের। বঙ্গবন্ধু, ফজলুল
হক, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানীর মত
রাজনৈতিক নেতাদের। রফিক, সালাম,
বরকতের মত দেশপ্রেমিকদের।
আমাদের দেশে রয়েছে বিশ্বের
সবচেয়ে বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট
"সুন্দরবন"। বিশ্বের মুল্যবান
প্রাণী বেঙ্গল টাইগার। এই দেশে
রয়েছে অসংখ্য নদী নালা। ফলে
আমাদের এই দেশের মাটি অত্যান্ত
উর্বর। এই বাংলাদেশের রুপ বৈচিত্রে
মুগ্ধ হয়েই রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন,
-ও আমার দেশের মাটি,
তোমার পরে ঠেকায় মাথা।
তাইতো আমি গর্ব করি, আমার
দেশটাকে নিয়ে। একাত্তরে অনেক
রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি এই
মানচিত্র। পেয়েছি এই লাল সবুজের
পতাকা। এই দেশ আর কিছু পারুক বা না
পারুক একদল পাগল ছেলেমেয়ে তৈরি
করে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিয়েছে।
যারা দেশকে পাগলের মত
ভালোবাসে, দেশের জন্য সব করতে
পারে। যারা এদেশে থাকে তারা
দেশের প্রতি ভালোবাসাটা বুঝতে
পারে না। কিন্তু যারা প্রবাসী
তারা বোঝে, দেশের প্রতি মায়াটা
কতটুকু। আজ তুমি বাংলাদেশের রুপসুধা
প্রাণ ভরে পান করছো বলে এর
ডিমান্ডটা বুঝতে পারছোনা। কিন্তু
তুমি যদি পশ্চিমা দেশগুলোতে চলে
যাও, দেখবে সামান্য ব্যাঙের ডাক
শোনার জন্য তোমার মনটা হাহাকার
করে উঠবে। মনে হবে আহারে, একবার
যদি জোনাকি পোকা দেখতে
পারতাম। কতদিন বৃষ্টিতে ভেজা হয়না।
আমার একজন রিলেটিভ আছে যিনি
আমেরিকান প্রবাসী। দেশের নাম
বাংলাদেশ বলার পরেও না চেনার
জন্য তিনি এক আমেরিকানকে ঘুসি
দিয়ে নাক ফাটিয়ে দিয়েছিলেন।
এই দেশকে নিয়ে তাইতো একটু বেশীই
গর্ব করি। কিন্তু এই গর্বটা থাকে না, যখন
দেখি হাজারো মানুষের মধ্যেও
টিএসসিতে নারী লাঞ্চিত হচ্ছে,।
যখন দেখি দিন দুপুরে বিশ্বজিতের মত
ছাত্ররা খুন হচ্ছে।
যখন দেখি সাংবাদিক সাগর রুনিকে
হত্যার কোনো বিচার এদেশে হচ্ছে
না।
আজ জাতীর এ অধঃপতন দেখে আমরা
বড়ই হতাশাগ্রস্থ। এই কি সোনার
বাংলাদেশ?