মার্কিন মুলুকের ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান‘স ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে এখন শোভা পাচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম সেই রহস্যময় সুন্দর হীরক খ-টি; যার নাম ‘দ্যা উইটেলসব্যাক-গ্রাফ ডায়মন্ড’। জানা গেছে, মহামূল্যবান এই হীরক খন্ডটি বিক্রির উদ্দেশ্যেই এখানে রাখা হয়েছে। খবর বিবিসি অনলাইনের।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই হীরা শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিলো ১৯৫৮ সালে, ব্রাসেলসের ওয়ার্ল্ড এক্সিবিশনে। তারপরেই রহস্যজনকভাবেই উধাও হয়ে যায় এই হীরাটি। এরপর ২০০৮ সালের এক নিলামে লরেন্স গ্রাফ এটিকে কিনে নেবার পর আবারো আলোচনায় আসে হীরাটি। জানা গেছে, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভেতরেই এই মহামূল্যবান হীরকখন্ডটির প্রদর্শনী চলছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হীরাটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিলো ১৬৬৪ সালে, ভারতে। স্পেনের রাজা চতুর্থ ফিলিপ তার মেয়ে ইনফানাটা মার্গারেটা টেরেসার সঙ্গে অস্ট্রিয়ার সম্রাট লিওপোল্ড এর বাগদানের সময় এটি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। ১৭৭২ সালে হাউজ অব ব্রাভিয়া উইটেলবার্গ পরিবারের মধ্যে দিয়েই এই হীরার নামকরণের ইতিহাস জন্ম নেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পরই এই হীরাটি বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো। তারপর এই হীরাটিকে দীর্ঘকাল আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি।
হীরাটি সম্পর্কে বলা হয় যে, এটি যেমন সুন্দর তেমনি আকষর্ণীয়। অল্প আলোতে দেখলে ধূসর ও নীল রঙের দেখায়, আর অতি-বেগুনী রশ্মিতে দেখলে এটিকে অত্যন্ত আকষর্ণীয় গাঢ় কমলা রঙের দেখা যায়।
উল্লেখ্য, নিলামে এর প্রাথমিক দাম ১৫ মিলিয়ন ধরা হলেও গ্রাফ কিনেছিলেন ২৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি দামে। প্রথমে ৩৫ দশমিক ৫ ক্যারেট থাকলেও পরে কাটার পরে এর নেট ওজন দাঁড়ায় ৩১ ক্যারেটে।
জানা গেছে, ৪৫ দশমিক ৫২ ক্যারেটের পৃথিবীর সর্ববৃহৎ হীরা ‘হোপ’ এর সঙ্গে তুলনা করেই এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই হীরাটি এখন লন্ডনের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম বা অন্য কোথাও বিক্রি হয়ে যেতে পারে। আর এবার বিক্রি হলে পরে এই মূল্যবান রহস্যময় হীরকখ-টি আবারো সেই একশো বছর লোকচক্ষুর অন্তরালে উধাও হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
লিংক: Click This Link