বর্তমান বিশ্বে গ্যাস, তেল বা কয়লা থেকে শক্তি নিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম করা হয় কিন্তু তা মজুদের পরিমাণ খুবই সীমিত। তাই বর্তমানে সূর্যের আলো বা প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এরকম একটা প্রয়াস থেকেই কমপ্রেসড এয়ার ব্যবহার করে মোটর ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা চালানো হয়েছিল যাতে তারা অনেকটাই সফল।
গোটা বিশ্বে বিভিন্ন কোম্পানি এরকম একটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এমডিআই সফল হলেও খরচ ও অন্যান্য কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু করতে পারেনি। ২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থবর্ষের ছাত্র কায়মুল ইসলাম, আহমেদ কিবরিয়া ও তারিক হাসান খান বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পরীামূলকভাবে বায়ুচালিত ইঞ্জিনটি তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়। সময়স্বল্পতা এবং পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারা পুরোপুরিভাবে শেষ করতে পারেনি। যেটি এ বছর সম্পূর্ণভাবে শেষ করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অনেকেই। এ যন্ত্রে একটি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছে যার কমপ্রেসন রেটিও ৭.২:১ ফাইহুইলের টর্ক ৬০-৭০ ঘস- এটি টু স্ট্রোকের ইঞ্জিন এবং আইডেল স্পিড ১৩০০ আরপিএম। এখানে বিশেষভাবে তৈরি ভাল্ব, ক্যাম ব্যবহƒত হয়েছে। তবে পুরোপুরি এয়ার টাইট করা এখনও সম্ভবপর হয়নি এবং বিশুদ্ধ বাতাস ব্যবহারে কর্মদতা আরও বাড়ানো সম্ভব। এ ইঞ্জিন সম্পর্কে মেকানিক্যাল বিভাগের চতুর্থবর্ষের ছাত্র মোঃ জোবায়ের হোসাইন বলেন, সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হওয়ায় এটা অনেকটাই পরিবেশবান্ধব। পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির সরবরাহ পেলে এ কাজটি সফলভাবে সমাপ্ত করা সম্ভব হবে যদিও এর গতি হবে অপোকৃত কম। ইঞ্জিনটির মানোন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে গেলে মেটারিয়াল সায়েন্সের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র মোত্তাসিন পাহলভীর পরামর্শ হচ্ছে, এেেত্র বায়ুকে তরলীভূত করলে স্থানাভাব অনেকটাই মেটানো সম্ভব কিন্তু এত নিু তাপমাত্রায় পৌঁছানো এদেশের প্রযুক্তির প্রেেিত অনেকটা অসম্ভব।
এয়ার ইঞ্জিনের সুবিধা
* এই ইঞ্জিনে কোনও জ্বালানি খনিজ ব্যবহার না হওয়ায় ইঞ্জিনটি অনেকটাই পরিবেশবান্ধব।
* তিন লিটার তেল ক্রয় করতে যেখানে ২০০ টাকার প্রয়োজন সেখানে সমপরিমাণ বায়ু কমপ্রেসড করতে ৩০ টাকা প্রয়োজন।
* ঘরে বসে কমপ্রেসারের মাধ্যমে এবং রিফুয়েলিং স্টেশনের মাধ্যমেও বাতাস সরবরাহ করা সম্ভব।
* এ ইঞ্জিনে কোন স্পার্ক পাগ, শীতলীকরণ প্রক্রিয়া, স্টার্টি মোটর, মাফলার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
* এতে যান্ত্রিক দুর্ঘটনায় বিস্ফোরণের সম্ভাবনা নেই।
* কোনও তিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের দরকার নেই।
অসুবিধা
* কমপ্রেসড এয়ার সংকুলানের জন্য বেশি স্থান প্রয়োজন।
* খুব বেশি দূরত্বে যাওয়ার জন্য অপোকৃত বেশি রিফুয়েলিং প্রয়োজন, তবে গউও দাবি করেছে এটি দিয়ে ১৪০ কি.মি. পর্যন্ত চালান সম্ভব এবং যার সর্বোচ্চ বেগ হবে ১১০ কি. মি./ঘণ্টা।
* ঘরে বসে রিফুয়েলিংয়ে সময় লাগে অনেক বেশি।
* এ ইঞ্জিন সমপরিমাণ জ্বালানিতে শক্তি উৎপন্ন হয় অনেকটা কম।
লিঙ্ক: Click This Link