দেশে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল একটি গবেষণা প্রকল্পে যার একটি লক্ষ ছিল কিভাবে দৃষ্টিভঙ্গি (আচরণগত) পরিবর্তনের মাধ্যমে মৃত্যুহার কমানো যেতে পারে।পরবর্তীতে এর ওপর পড়ালেখা করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম বিষয়টির জটিলতা ।এক্ষেত্রে বড় ভুমিকা রাখতে পারে প্রকৃত অর্থে যারা বা যা মানুষের মনের মাঝে স্থান করে নিতে পেরেছে।তাই পরিবর্তনের বার্তা বা অনুপ্রেরণা যদি আসে কোন প্রিয় ও আস্থাশীল মানুষের কাছ থেকে তাহলে আহবান বেগ পায়।
যখন নিজের প্রেক্ষাপট চিন্তা করলাম তখন বুঝেছি মা-বাবার প্রভাব আমার ওপর প্রকট, যেটি কিনা আমাদের অনেকের জন্যই প্রজোয্য।মোটামুটি ভাল মানুষ হওয়ার চেষ্টা থাকলেও প্রকৃতিগত কারনে অনেক সময় অন্যায় করে ফেলতে চাই - আর তাতে উপলব্ধী করতে পেরেছি মায়ের নিষেধ কিভাবে অন্যায় থেকে বিরত রেখেছে আর প্রেরণা , কঠিন কাজে এগিয়ে যাওয়ার পথ সহজ করেছে।আমরা জানতেও পারিনা,মা কিভাবে আমাদের মাঝে সবচাইতে প্রিয় বন্ধুর মতো বিরাজ করে।
মায়ের সাথে কখনো যে দ্বিমত হয়না,এমনটি নয়,অনেক হয়েছে,তবে প্রতিক্রিয়া ক্ষনস্থায়ী।পরক্ষণেই অনুভব করি জীবনে পথ নির্দেশনায় মায়ের প্রভাব।ধর্মীয় গোড়ামী ঠেলে সরিয়ে প্রকৃত ধর্ম চর্চা ,রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের দর্শনের সাথে বিশেষ ভাবে পরিচয়,অলসতাকে না ঠাঁই না দেয়া-এগুলো মা আমার অস্তিত্বে সঞ্চারিত করেছেন।সর্বপোরি,মায়ের সরলতাকে আর স্বতস্ফূর্ততাকে আমি মনে হয় বুঝতে পারি।
মা দিবসকে সামনে রেখে এই ব্লগটি লিখে আমার মাকে স্মরণ করলাম।