♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
(ছবি নেট হতে নিয়ে এডিট করা)
শিরোনামটা শতভাগ সঠিক হয়নি। কেনোনা, জামাতকে কখনো ক্ষমতায় দেখা হয়নি। কিন্তু লীগের ক্ষমতার দাপটে মনে হচ্ছে আগামীতে জামাতের চাইতে অনেক ভয়ংকররূপে ফিরে আসতে পারে লীগের সুবিধাবাদীরা। প্রশ্ন হতে পারে জামাতের সাথে লীগ কেনো মেশাচ্ছি?
৭১-এ যদিও মূল খেলোয়াড় মুসলিম লীগ, তবুও এর দোসর হিসেবে সেই প্রেক্ষাপটের জের নিয়ে বেঁচে আছে জামাত। যদিও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ চেষ্টা করেছিলো ঐতিহ্য ধরে রাখতে, কিন্তু জামাতের মাঠ দখল, বা জনগণের ঘৃণার মাঝে টিকতে পারেনি।
সেই সময়ের মুসলিম লীগ বা দোসর জামাতের মূল বক্তব্য হচ্ছে দেশকে ভারতীয় তথা মালাউন হতে মুক্ত রেখে উন্নয়ন করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিলো। যেমনি লীগের আদর্শ ছিলো জঙ্গী বা রাজাকার বা তাদের দোসর তথা দেশদ্রোহী হতে মুক্ত রেখে দেশকে উন্নয়ন করা।
মুসলিম লীগের ইতিহাস বলে গভর্ণর মুনায়েম খানের আমলে দেশের বিমানবন্দর, রেলস্টেসন, সংসদভবনসহ অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়। তেমনি লীগের ইতিহাসও বলবে দেশের স্যাটেলাইট, সেতু, মেট্রোসহ অভূতপূর্ব উন্নয়ন লীগ আমলে সাধিত হয়।
মুসলিম লীগ ও দোসরেরা এখনো যেমনি ৭১ এর যুদ্ধাপরাধের দায় অস্বীকার করে, লীগও হয়তো কখনো ২৪ এর ম্যাসাকারের দায় স্বীকার করবে না।
মুসলিম লীগের ছিলো কাঠমোল্লা, লীগের ধর্মনিরপেক্ষতা।
তবে একটা বিষয়ে ২ লীগই এক। দু'টোরই দাঁড়ি-টুপি ভীতি! এ থেকে তাদের আতুঁরঘর কিছুটা চেনা যায়।
মুসলিম লীগের দালালরা এদেশের সম্পদ লুটে নিয়েছে, লীগের দালালেরা কোটি-কোটি টাকা বিদেশ পাচার করেছে।
৭১-এ যেমনি মুসলিম লীগ জাতির জনক জিন্নাকে এই জাতি ছাড়েনি, ২৪-শে তেমনি বঙ্গবন্ধুর সাথে করা আচরণ জাতি দেখেছে।
এতো সবের পরও যেমনি বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সুবিধাবাদীরা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ্-কে পুঁজি করে বাঁচতে চায়, তেমনি সোনাগাজির মতো অনেক নির্লজ্জরা মাওলানা ভাসানীর তলে দেখছি আশ্রয় খুঁজতে।
জামাত-শিবিরের আছে রগ কাটা, লীগের আছে গুম।
৭১ এ দোসর জামাত যা করেছে তা যেমনি তৎকালীণ সরকারের তথা রাষ্ট্রের নির্দেশ, ২৪ এ যা ঘটেছে তার নায়কই লীগ।
৭১ এ যেমনি নিপিড়নে পরে জাতি সরকারের বিরোধীতা করে, ২৪ এ তেমনি জাতি বাধ্য হয়।
৭১ এ যেমনি সরকারি নির্দেশে জনগণের বাহিণী জনগণের বুকে গুলি ছুঁড়ে, ২৪ এর সরকারের নির্দেশেও তাই।
৭১ এ পাক সরকার এ দেশ ছেড়েছে, ২৪ এ সরকার প্রধান এ দেশ হতে পালিয়েছে।
এমন অজস্র উদাহরণ দাঁড় করা সম্ভব। পার্থক্যের মাঝে আছে এবার নয় মাস লাগেনি। এবার নতুন ভূ-খন্ড হয়নি। এবার ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময় হয়নি। তারপরও যা হয়েছে সেটা কোনোদিক হতে কম নয়। যদিও এর সঙ্গে মুসলিম লীগের তুলনা করাটাই সহজ ছিলো, কিন্তু মুসলিম লীগের ডামি হয়ে জামাত মাঠে আছে।
তাই দেখার বিষয় জাতি এবার কি করে। মুসলিম লীগের মতো লীগকেও ছুঁড়ে ফেলে, নাকি জামাতের মতো ধুকে-ধুকে বাঁচতে দেয়। নাকি লীগের কোনো দোসর দলকে জামাতের স্থান দেয়। নাকি ধান্দাবাজের ধোঁকায় পরে আবারও মূলধারায় লীগকেই ক্ষমতায় আনে। সবই সময় বলে দিবে। এখন শুধু অপেক্ষায় থাকা, আর
নির্লজ্জ দালাল মুসলিম লীগ আজও যেমনি সুযোগে রাজাকারদের হিরো বানানোর আর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিলেন বানানোর খেলা দেখাতে চায়, তেমনি নির্লজ্জ দালাল সোনাগাজিগংদের মুগ্ধদের কোমলমতি বলে অপমান করা আর ফ্যাসিস্টদের দেশপ্রেমী বানানোর খেলা দেখা।
আক্ষেপ ৭১ এর দোসরদের মতো ২৪ এর দোসরেরাও এই জমিনে টিকে থাকবে আমাদের জাতিগত আহাম্মকির কারণে