মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশে শতকরা ৯৭ ভাগই মুসলমান এবং দেশের রাষ্ট্রীয় দ্বীন ইসলাম। যা সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। ধর্মপালন এবং প্রচারের ক্ষমতা সংবিধানে উল্লেখ আছে। তৎপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সংবিধানে ৪১ (ক) ধারায় বলা আছে- ‘প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে।’
উল্লেখ্য, দ্বীন ইসলাম অর্থাৎ ইসলামী শরীয়ত উনার আলোকে ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, তোলানো সবই নিষিদ্ধ তথা হারাম এবং ছবি তোলার ভয়াবহতা সম্পর্কে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন, ‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির সবচাইতে বেশী শাস্তি হবে যে ছবি তোলে, আঁকে, সংরক্ষণ করে’। (বুখারী শরীফ)
স্মর্তব্য, নির্বাচন কমিশন আইডি কার্ডের জন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ছবি তোলার ব্যাপারে নানাবিধ বক্তব্য দিয়েছে; যা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত হানে। এটা স্পষ্টত সংবিধান বিরোধী।
“ছবি তোলার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বললে জেল দেয়া হবে, জরিমানা করা হবে। ছবি না তুললে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেয়া হবে না এবং মসজিদে ছবির প্রচারণা করা হবে।” নাঊযুবিল্লাহ!
নির্বাচন কমিশনে উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী তথা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নিষেধের পরিপন্থী এবং তা দ্বারা এদেশের গোটা মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুণœ হয়েছে।
বলাবাহুল্য, কোনো ব্যক্তি, দল বা সরকারের কোনো বিভাগ যদি দ্বীন ইসলাম অর্থাৎ ইসলামী শরীয়ত উনার বর্ণিত হারাম ঘোষিত ছবি তুলতে মুসলমানদের বাধ্য করে, তা হবে স্বাধীন ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্ম পালনের অন্তরায় এবং এদেশের প্রতিটি মুসলমান হারাবে তাদের মৌলিক অধিকার, হারাবে ধর্মীয় অধিকার; যা মোটেও কাম্য নয়।