খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাকে তোমরা তোমাদের ছেলে-মেয়ে, বাবা-মা, এমনকি সমস্ত মানুষ থেকে বেশি মুহব্বত করতে পারবে।’
অন্য বর্ণনায় এসেছে- খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজের জানের চেয়ে বেশি মুহব্বত করতে হবে। মূলতঃ খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতই ঈমান এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা সুস্পষ্ট কুফরী। যার ভিতরে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত নেই সে ব্যক্তি কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।
খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করার অর্থই হল খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করা। আর খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করার অর্থই হলো খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা, বিরোধিতা করা। সেটা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসংখ্য অগণিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলেছেন- ছবি তোলা, আঁকা, রাখা সম্পূর্ণরূপে হারাম। এখন যে ব্যক্তি বলবে ছবি তোলা জায়িয, সে ঈমানদার থাকতে পারবে না। খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করার কারণে কাট্টা কাফির হয়ে যাবে।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনারের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে। ইসি স্বয়ং খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ঘরে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে বলার হুকুম জারি করেছে। সে ভোটার তালিকার জন্য মসজিদে ছবির পক্ষে প্রচারণা চালাতে নির্দেশণা জারি করেছে। নাউযুবিল্লাহ!
অতএব, যারা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করতে চায়, ঈমানদার থাকতে চায়, তাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- নির্বাচন কমিশনারের উক্ত কুফরীমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো। সুতরাং আসুন, আমরা সকল মুসলমান মিলে নির্বাচন কমিশনের কুফরীমূলক সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কমিশনার সাহেবেরও উচিত কুফরীমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে খালিছ তওবা করা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০০