খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আপনার মহান রব তায়ালা উনার সন্তুষ্টি ও রিযামন্দি হাছিলের জন্য (ঈদের) নামায পড়–ন ও কুরবানী করুন।’
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে-
অফিস, আদালতের জন্য কমপক্ষে দশ দিন সরকারি ছুটি অবশ্যই দেয়া;
আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসা, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য কমপক্ষে বিশ দিন ছুটি অবশ্যই দেয়া
এবং মুসলমানগণ যেন শরীয়তসম্মত তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক ঈদ ও কুরবানী করতে পারে সেজন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
পাশাপাশি কুরবানীর জন্য মুসলমানগণকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করাও সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য।
কেননা ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ পৃথিবীর প্রায় সোয়া তিনশ’ কোটি মুসলমানগণের অন্যতম একটি ঈদ বা খুশির দিন।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিটি মুসলিম ও অমুসলিম সরকারকেই আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে প্রত্যেক দেশেই কমপক্ষে দশ দিন সরকারি ছুটি দিতে হবে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসা, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য কমপক্ষে বিশ দিন ছুটি অবশ্যই দিতে হবে এবং ঈদুল আযহার মর্যাদা-মর্তবা ফুটিয়ে তোলা। কেননা ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ পৃথিবীর প্রায় সোয়া তিনশ’ কোটি মুসলমানগণের অন্যতম একটি ঈদ বা খুশির দিন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হিন্দু ও মজুসীদের পহেলা বৈশাখ, ইহুদী-খ্রিস্টানদের পহেলা মে, বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূর্ণিমা, খ্রিস্টানদের ২৫শে ডিসেম্বর ও হিন্দুদের জন্মাষ্টমী ও দুর্গাপূজাসহ অনেক দিন এদেশে ছুটি দেয়া হয়, যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের প্রয়োজনও নেই। সরকার যদি এরূপ অপ্রয়োজনীয় দিনে ছুটি দিতে পারে তবে মুসলমানগণের এতবড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে কমপক্ষে দশ দিন অফিস আদালত ও বিশ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ছুটি দিতে পারবে না কেন? অবশ্যই দিতে হবে।
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঈদুল আদ্বহা মুসলমানগণের অন্যতম একটি ঈদ। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “প্রত্যেক ক্বওম বা সম্প্রদায়ের খুশির দিন রয়েছে; আর মুসলমানগণের ঈদ বা খুশির দিন হচ্ছে- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহা।”
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ আছে, “হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ এনে দেখেন মদীনাবাসী বৎসরে দুই দিন খুশি প্রকাশ করে থাকে। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন- এ দুই দিন কিসের জন্য খুশি করা হয়? জবাবে তারা বললো, আমরা জাহিলিয়াতের যুগ থেকেই এ দুই দিন খুশি প্রকাশ করে থাকি। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের (মুসলমানগণের) জন্য এর পরিবর্তে এর চেয়েও উত্তম ও ফযীলতপূর্ণ দুটি দিন দিয়েছেন। একটি হলো ঈদুল আদ্বহা, আরেকটি হলো- ঈদুল ফিতর।”
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঈদুল আযহার রাতটি যেরূপ মর্যাদাসম্পন্ন তদ্রুপ দিনটিও অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “পাঁচ রাতে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুল হয়- এক. রজব মাসের পহেলা রাত, দুই. বরাতের রাত, তিন. ক্বদরের রাত, চার. ঈদুল ফিতর ও পাঁচ. ঈদুল আযহার রাত।”
মুজাদ্দিদে আযম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ কিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমানগণ যাতে যথাযথভাবে ঈদ পালন করতে পারে, সেজন্য খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বৎসরে পাঁচ দিন রোযা রাখা হারাম করে দিয়েছেন। দুই ঈদের দুই দিন আর কুরবানীর ঈদের পর তিন দিন। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ হয়েছে, তোমরা এ দিনগুলোতে রোযা রেখো না; কেননা এদিনগুলো তোমাদেরকে খানা-পিনা ও ঈদ বা খুশি প্রকাশ করার জন্য দেয়া হয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তবে মুসলমানগণ যেন স্মরণ রাখে “ঈদ” অর্থ খুশি প্রকাশ করার নামে হৈ-হুল্লোড়, অশ্লীল পোশাক, অশ্লীল আনন্দ যেমন গান-বাজনা, সিনেমা-নাটক, টিভি চ্যানেল, বেপর্দা-বেহায়াপনা ইত্যাদি করার নাম নয়, বরং ঈদ হচ্ছে সম্পূর্ণই ধর্মীয় তথা পবিত্র উৎসব। সুতরাং ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার কাজ পরিহার করা সমস্ত মুসলমানগণের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। পাশাপাশি সরকারকেও তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মুসলমানগণের জন্য শরীয়তসম্মত তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক ঈদ ও কুরবানী পালন করার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং কুরবানীর জন্য মুসলমানগণকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা। কেননা সরকার যদি মাত্র দুই ভাগ হিন্দুদের দুর্গাপূজায় হিন্দুদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারে তবে সাতানব্বই ভাগ মুসলমানগণকে দুই ঈদ মুবারক-এ কেনো আর্থিক সহযোগিতা করবে না? অবশ্যই করতে হবে। সাতানব্বই ভাগ মুসলমানগণকে দুই ঈদ মুবারক-এ কোনো আর্থিক সহযোগিতা না করে মাত্র দুই ভাগ হিন্দুকে আর্থিক সহযোগিতা করা মুসলমানগণের প্রতি চরম বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- পবিত্র ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ মুবারক উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- অফিস, আদালতের জন্য কমপক্ষে দশ দিন সরকারি ছুটি অবশ্যই দেয়া; আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদরাসা, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য কমপক্ষে বিশ দিন ছুটি অবশ্যই দেয়া এবং মুসলমানগণ যেন ইসলামী শরীয়তসম্মত তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক ঈদ ও কুরবানী করতে পারে সেজন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পাশাপাশি কুরবানীর জন্য মুসলমানগণকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করাও সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য। কেননা ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ পৃথিবীর প্রায় সোয়া তিনশ’ কোটি মুসলমানগণের অন্যতম একটি ঈদ বা খুশির দিন।”
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৫০