জানা গেছে, ভারতীয় ট্রাক ও লরি বাংলাদেশের সড়কে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে চলাচল করবে। এ সময় ওই সড়কে বাংলাদেশের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকতে পারে।
বিস্তারিত সংবাদটি এখানে দেখুন।
ট্রানজিটের বিপক্ষে আমি কখনই ছিলাম না। নিজেকে আবদ্ধ করে রাখাটা আমার নীতিতে নাই।কিন্তু এটা কোন ধরনের ট্রানজিট? আমার দেশে আমার গাড়ি চলতে পারবে না চলবে ইন্ডিয়ার গাড়ি, কেন? কোন অধিকারে? দেশটা কি ইন্ডিয়াকে লেখে দেওয়া হয়েছে?দাসত্বের চুক্তিটা করার পর থেকেই মন ভাল নাই।ইন্ডিয়া লোন দিয়েছে তাদের স্বার্থে। কারন লোনের টাকা দিয়ে রাস্থাঘাট অবকাঠামো মেরামত করতে হবে যে রাস্থা ব্রিজ ব্যবহার করবে ইন্ডিয়ার ৩০-৩৫ টনের বিশাল গাড়িগুলো। তবুও কিছু বলতে মন চায় নি।কিন্তু আজ যখন আমার নিজের পেঠে আঘাত আসল তখনত চুপ থাকা যায় না। রাত ১২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এই ৩০ কিলো রাস্থা বন্ধ থাকার ফলে সিলেটের সাথে সারাদেশে এবং চট্রগ্রামের সাথে সারাদেশের ৪ ভাগের একভাগের যোগাযোগ দারুন ভাবে ব্যাহত হবে।বৃহত্তর ময়মনসিংহ, নরসিংদী, গাজিপুর থেকে চলা গাড়িগুলোকে ভৈরব এসে এবং সিলেট থেকে ছাড়া গাড়িগুলোকে মাধবপুর এসে ও চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো সুলতানপুরের আগে সারারাত দাড়িয়ে থাকতে হবে কখন দাদাবাবুদের গাড়িগুলোর যাওয়া শেষ হবে। এবং এরপর শুরু হবে প্রচন্ড জ্যাম।এতে করে প্রতিবছর যে হাজার হাজার গাড়ির লক্ষ্য লক্ষ্য ঘন্টা সময় নষ্ট হবে তার ক্ষতিপুরন দিবে কে? একটি মালবাহি ট্রাক লোড অবস্থায় ৬-৭ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকলে তার যে ক্ষতি হয় তার ক্ষতিপূরন দিবে কে? ইন্ডিয়া দিবে? আমরা যারা ব্যবসা করি কোনোদিন ক্ষতিপূরন টা নিজেদের কাধে নেয় না। সাধারনত একটা ট্রাক একদিন দাড়িয়ে থাকলে ২০০০ টাকা ক্ষতিপূরন নেয়। এই যে এক্সটা কস্ট তা ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের কাছ থেকেই আদায় করবে। তাহলে ভারতের লাভের জন্য আমার দেশের জনগন ক্ষতিপূরন দিবে কেন? কিসের জন্য এই ট্রানজিট? দেশকে ইজারা দেওয়ার ট্রানজিট? আমার কথা হল ট্রানজিট দাও ভাল কথা তবে আমাদের গাড়ি বন্ধ থাকবে কেন? আমাদের গাড়ি চলবে তাদের গাড়িও চলবে দরকার পরলে তাদের গাড়ি বন্ধ থাকবে আমাদেরটা নয়।কারও কাছে দেশবিক্রি করতে বা ইজারা দিতে বাল সরকারকে জনগন ক্ষমতায় বসায় নি।বাল সরকারকে তা বুঝতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৪৯