somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুগল্প - যৌনাবেগ - সুরভী ম্যাডাম

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(ক)

-দেখ , ছেলেটা মেয়ে !
-মানে ?
-আরে দরজায় দেখ ।
শিশিরের কথায় আমি দরজার দিকে তাকালাম । ক্লাস রুমের বাইরে আমাদের স্কুলের ড্রেস পড়ে একটি ছেলে দাড়িয়ে । লিকলিকে শুকনা এই ছেলেকে আগে দেখি নি । ছেলেটির গায়ের রঙ কাঁচা হলদে ফর্সা । মেয়েদের মতো । মাথার চুল পাতলা । কাঁধে লাল ব্যাগ । ব্যাগটা অনেক ভারী । ব্যাগের ভারে সে কুঁজো হয়ে আছে ।
-মে আই কাম ইন স্যার ? ছেলেটি মিহি কণ্ঠে বলল ।
ইকবাল স্যার আটেনড্যান্স খাতা চেক করছিলেন । ছেলেটির কথায় তিনি ঘাড় উঁচু করলেন । ফিতে বাঁধা চশমা নাকের ডগা থেকে ঠেলে চোখে ভালমতো সেট করে ভুরু কুঁচকে বললেন – কি চাই ?
ছেলেটি বলল – স্যার , আমার নাম শুভাশিস সাহা । হেডস্যার বললেন আমার নাম বললে ...
কথা শেষ করবার আগেই ইকবাল স্যার হইচই ঢঙে বললেন – হে হে শুভাশিস । তুমিই তাহলে সেই শুভাশিস । এসো এসো বাবা , কাম ইন ।

ছেলেটি ক্লাসে প্রবেশ করে স্যারের টেবিলের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো । আমাকে খোঁচা দিয়ে শিশির বলল – শুনছোস গলার স্বর । পুরাই মাইয়া মানুষ । এমনকি হাটা পর্যন্ত । মেপে মেপে স্টেপ ফেলে । আল্লাহ্‌ মালুম প্যান্ট খুললে না জানি কি দেখা যায় ।
শিশির ফিচিক করে হাসি দিল । ছেলেটির গলার স্বর চিকন । চোখ বন্ধ করে শুনলে বোঝার উপায় নেই ছেলে না মেয়ে কে কথা বলছে ।

নতুন ছেলেটির সাথে ইকবাল স্যার কি নিয়ে যেন কথা বলছেন । স্যার মাঝে মাঝেই অট্টহাসি দিচ্ছেন । ছেলেটি গম্ভীর । কিছুক্ষন পর স্যার চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন । টেবিলে উপর ডাস্টার পিটিয়ে শব্দ তৈরি করে বললেন --
- ছাত্ররা , এটেনশন । এটেনশন । আজ তোমাদের ক্লাসে একজন নতুন বন্ধু যুক্ত হতে যাচ্ছে । তিনি শুভাশিসের কাঁধে হাত রাখলেন
এর নাম শুভাশিস সাহা । সে দিনাজপুর জিলা স্কুল থেকে ট্র্যান্সফার হয়ে আমাদের স্কুলে এসেছে । আজ থেকে সে তোমাদের সাথে ক্লাস করবে । শুভাশিসকে আমাদের সবার পক্ষ হতে ওয়েলকাম । ওয়েলকাম টু ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ইন ক্লাস সিক্স ।
তারপর স্যার ছেলেটির দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন -- তুমি তোমার বন্ধুদের সাথে পরিচিত হও । আর কোথাও কোন ধরনের কোন সমস্যা হলে সরাসরি আমাকে জানাবে । আমি টিচার্স রুমের ডান পাশের কোনায় বসি । ঠিক আছে ? ক্লাস ক্যাপ্টেন ইমতিয়াজ , শুভাশিসকে একটা সিটে বসতে সাহায্য করো ।

শিশির ফিসফিস করে আমার কানে বলল – ইকবাল স্যার এর চ্যালামিটা দেখতাছস ? পোলারে কি খাতিরটাই না দেখাইতেছে ! পোলায় কি ডিসি এসপির পুত নাকি রে ?
-নতুন ছেলে তো , তাই হয়তো । আমি জবাব দিলাম । যদিও স্যার এর আধিখ্যেতা চোখে পড়বার মতো । নতুন ছাত্র তো মাঝে মাঝেই আসে । তাই বলে স্যার এতোটা ওয়েলকাম ঢং কারও সাথে দেখান না ।

ক্লাস ক্যাপ্টেন ইমতিয়াজ শুভাশিসকে নিয়ে আমাদের বেঞ্চের কাছে আসলো ।
-হীরা , তোদের বেঞ্চে দুইজন আছিস । শুভাশিস তবে এইখানেই বসুক ।
আমি সরে নতুন ছেলের জন্য জায়গা করে দিলাম । ছেলেটি বসলো । ছেলেটির গা থেকে মিষ্টি একটা গন্ধ আসচ্ছে ।নিশ্চয়ই কোন বিদেশী পারফিউম গায়ে লাগিয়েছে ।

ইকবাল স্যার বাংলা ব্যাকরণ পড়ানো শুরু করেছেন । সেই বিরক্তিকর ব্যাকরণ ! আমি বই বের করে ছেলেটির কাছাকাছি মেলে ধরলাম । আমাকে অবাক করে দিয়ে সে তার ব্যাগ থেকে চকচকে নতুন একটি বই বের করলো । আমি জিজ্ঞাস করলাম – দিনাজপুরের সাথে আমাদের সিলেবাসের কি মিল আছে ? একই বই দুই স্কুলে !
ছেলেটি মাথা নাড়ল ।
-না । এক নয় । বেশ কিছু পার্থক্য আছে । বিশেষ করে বাংলা আর ইংলিশ গ্রামার বুক আলাদা । আমরা বাংলায় হোসেন স্যার এর বই ফলো করি ।
-তাহলে তুমি আমাদের বই কই পেলে ?
-আমি তোমাদের সিলেবাস আগেই পেয়েছিলাম ।
আমি কিছুটা কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞাস করলাম – আচ্ছা , তোমার বাবা কি ডিসি এসপি পোস্টের কেউ ?
ছেলেটি কপাল কুঁচকে আমার দিকে তাকালো ।
-না তো । আমার বাবা ব্যাংকে জব করে । সোনালী ব্যাংকে । কেন ?
-না এমনিতেই । আমি ছেলেটির দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম
– আমার নাম হীরা আর ও হচ্ছে শিশির ।
ছেলেটি আমাদের দুইজনের সাথে হাত মিলালো । মুখ গম্ভীর । এই ছেলে কি হাসতে জানে না ?



ঘণ্টা বাজলো । এখন সেকেন্ড পিরিয়ড । আমি আর শিশির এই পিরিয়ডের জন্যই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি । এখন ক্লাস নিতে আসবেন সুরভী মেডাম । মেডাম আমাদের সমাজ বিজ্ঞান ক্লাস নেন । আমরা সমাজ বিজ্ঞান জানবার জন্য আগ্রহী নই । আমরা সুরভী মেডামকে জানবার জন্য আগ্রহী । সুরভী মেডামের মতো এতোটা সুন্দর আমি আর কাউকে দেখিনি ।

আমার কাছে উনার সব কিছু ভালো লাগে । কি অসাধারণ মুখ । কি চমৎকার হাসি । তারচেয়েও অপূর্ব উনার ফিগার । বলিউড হলিউডের নায়িকারা উনার কাছে ধুর ছাই । সুরভী মেডামের কাছে তাবৎ ইউনিভার্স যেন দুধভাত । উনি যখন কথা বলেন কি সুমধুর স্বর বের হয়ে আসে । যেন তিনি আওরঙ্গজেবের যুদ্ধ ইতিহাস পড়াচ্ছেন না , ক্লাস রুমে চমৎকার সুরে গান গাইছেন ।

মেডামের সাথে আমার সবচেয়ে পছন্দের মুহূর্ত উনি পড়া ধরলে বলতে না পারা । পড়া না পারলে তিনি কপাল কুঁচকে স্কেল নিয়ে বেঞ্চের দিকে এগিয়ে আসেন । তারপর দু হাতের তলায় টাশ টাশ শব্দে দুটো করে চারটি বারি বসান । উনার ধারনা তিনি খুব কষে বারি দিয়েছেন । আসলে তা নয় । এই বারি হাজারটা খেলেও কোন অনুভূতি হবে না । এই সময় মেডামের খুব কাছাকাছি থাকা যায় । তার গা থেকে বের হওয়া আশ্চর্য রকমের একটি সৌরভ নাকে ভর করে । আমায় নিয়ে যায় অচিনপুরে । আহা

তবে শিশিরের নাকে নাকি তেমন কোন গন্ধ লাগে না । তার সবচেয়ে পছন্দ মেডামের তলপেট । তিনি সর্বদা শুতির শাড়ি পড়ে ক্লাসে আসেন । আঁচল রাখেন বাম কাঁধে । ফলে বাম পাশ থেকে ভালো মতো লক্ষ্য করলে নাকি উনার দুধে আলতা তলপেট দেখা যায় । শিশিরের মতে এই পেট নাকি একবার যে দেখবে তার জনম সার্থক । মনে হবে এক টুকরো মাখন কেউ চোখে লেপটে দিয়েছে ।

আমি চোখে মাখন লেপটাতে চাই । এরজন্য আমাদের ক্লাসে কথা বলতে হবে । ক্লাসে কথা বললে তিনি খুব রাগ করেন । শাস্তি স্বরূপ ছাত্রদের ক্লাসের সামনে এনে নীল ডাউন করিয়ে রাখেন । বাম পাশে নীল ডাউন হয়ে থাকলে আড়চোখে মেডামের তলপেট দেখা যায় । শিশির এইভাবেই দেখেছে । আমি দেখিনি । শিশির আজ আমায় দেখাবে বলেছে । তাই প্ল্যান আজ আমরা কথা বলে নীল ডাউনের শাস্তি খাবো ।


মেডাম ক্লাসে আসলেন । আজ তিনি খয়েরীর উপর কালো গোল গোল বৃত্ত আঁকা একটি শাড়ি পড়েছেন । চুল খোঁপা করা । বরাবরের মতোই মুখে কোন প্রসাধনী নেই । গলায় চিকন একটা স্বর্ণের চেন চিকচিক করছে । আমার কাছে মনে হল অচিনপুরের সিনেমার কোন নায়িকা এক পুরনো ক্লাসরুমে ঘুরে ঘুরে প্রস্তর যুগের মানুষের ইতিহাস পড়াচ্ছেন ।
-হীরা , আবালের মতো তাকাইয়া থাকিস না । কথা ক
-কি কথা বলবো ।
-যা মনে আসে তাই ক । কথা বলে ধরা খাইতে হবে , নাহলে মেডাম নীল ডাউনের জন্য ডাকবেন না ।

আমি অনেক ভেবেও কথা বলার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছি না । গতকাল টিএন্ডটিতে আমরা চ্যাম্পিয়নস লীগের কথা শেষ করেছিলাম । আজ সকালে এসেম্বলি ক্লাসে মানিককে বিকালে ধোলাই করবার প্ল্যান কমপ্লিট হয়েছে । তাহলে আর কি কথা বাকি থাকবে ? কিন্তু আমার তো কথা বলতে হবে । আমাকে নীল ডাউন হয়ে মেডামের বাম পাশে যেতে হবে । উনার মাখনসম তলপেট দেখতে হবে । কিন্তু আমি কি কথা বলে ধরা খাবো ?

-দোস্ত আমি তো কোন কথা খুঁজে পাচ্ছি না । তুই কিছু শুরু কর ।

অ্যাই ছেলে তুমি দাড়াও । ক্লাসে কথা বলছ কেন ? আমি কতবার বলেছি আমার ক্লাসে আমি লুকিয়ে কথা বলা পছন্দ করি না । কি কথা বলছিলে উঠে দাড়িয়ে সবার সাথে শেয়ার করো আর বলতে না চাইলে হাই বেঞ্চে কান ধরে দাড়িয়ে থাকো ।

আমি বেকুবের মতো বেঞ্চের উপর দাঁড়ালাম । মেজাজ খারাপ হচ্ছে । মেডাম কেন তার কাছে ডাকল না । কেন হাইবেঞ্চে দাঁড়ানোর শাস্তি দিলেন ? কেন ভাগ্য আমায় এক টুকরো মাখন চোখে লেপটে দিল না ? কেন ? কেন ?


(খ)


টিফিন পিরিয়ড চলছে । আমি আর শিশির মাঠের দক্ষিণ দিকে বট গাছে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে । শিশির উদাস হয়ে বলল – ব্যাপার না দোস্ত , কবি বলেছেন – একবার না পারিলে দেখো আরেকবার ।
-আরেকবার না , বলছেন শতবার
-ও , তাইলে তো আরও ভালো । শতবার দেখবি । তুই যদি শতবার ট্রাই করতে পারস তাইলে অবশ্যই তুই মেডামের মাখন পেট আটানব্বই বার দেখতে পারবি । আজ আনফরচুনেট ভাবে হাই বেঞ্চে তুলে শাস্তি দিয়েছেন । এর পরেরবার আর এমন হবে না । ঠিক ই বাম পাশে নীল ডাঊণ করে রাখবেন । তুই হিম্মত বাড়া দোস্ত । হিম্মত বাড়া

আমি হিম্মত বাড়াবার চেষ্টা করছি এমন সময় দেখলাম নতুন ছেলেটি টিচার্স রুম থেকে বের হয়ে আসচ্ছে । এই ছেলে টিফিন আওয়ারে টিচার্স রুমে করে কি !! তবে কি সে কিছু বুঝে ফেলেছে ? সে তো আজ আমাদের পাশেই তো বসে ছিল । নিশ্চয়ই সে মেডামের বিষয়টা বুঝে নিয়েছে । তারপর ইকবাল স্যার এর কাছে এখন নালিশ জানিয়ে এল ! টিসি । এইবার আমাদের টিসি । বাবা আমাকে কেটে ফেলবেন ।

আমি আতঙ্ক নিয়ে শিশিরের দিকে তাকালাম । শিশিরও ঐ দিকেই তাকিয়ে আছে । আমি বললাম -
-শিশির , আমি যা ভাবছি , তুইও কি তাই ভাবছিস ?
শিশির ছেলের দিক থেকে চোখ না সরিয়ে দুইবার মাথা ঝাঁকালো ।
-এখন ?
-কিন্তু হীরা , আমরা তো মেডামের নাম একবারও উল্লেখ্য করেনি । শুভাশিস বুঝবে কিভাবে ? এইটা সম্ভব নয় ।

আমি শিশিরের কথায় আশা রাখতে পারছি না । ইকবাল স্যার বলেছেন কোন সমস্যা হলেই নতুন ছেলেটি যেন টিচার্স রুমে উনার সাথে দেখা করেন । ছেলে নিশ্চয়ই টিচার্স রুমের ডান কোনায় ইকবাল স্যারের কাছে নালিশ জানিয়ে এসেছে ।

শিশির গলা চুলকাতে চুলকাতে আবারো বলল -- আচ্ছা এমনও হতে পারে ক্লাসের অন্য কোন ছেলে আজ তার সাথে মজা নিয়েছে । তখন শওকত তাকে নিয়ে ক্লাসে খুব হাসাহাসি করছিল । বলছিল – এই মাইয়ারে আইজ খামু । হয়তো শওকত তাকে কিছু বলেছে । তাই সে তার নামে স্যারের কাছে বিচার দিতে গেছিলো ।
আমি শিশিরের কথার জবাব না দিয়ে হঠাৎ ছেলেটিকে ডাক দিয়ে বসলাম
– শুভাশিস , এই শুভাশিস ।
শুভাশিস তাকাল । আমাদের দেখে এগিয়ে আসতে থাকলো । ছেলেটি এইভাবে কড়া চোখ নিয়ে এগিয়ে আসচ্ছে কেন ? আমার ঘাম হচ্ছে । খুব ।


ছেলেটি কাছাকাছি আসতেই শিশির বলল – ভাই , তুই টিচার্স রুমে কেন গিয়েছিলি ? কিছু হইছে ? হীরার গলার স্বর রীতিমত কাঁপছে । শুভাশিসকে সে তুমি থেকে ডিরেক্ট তুই বলা শুরু করেছে সেটা বোধহয় নিজেও খেয়াল করেনি ।
ছেলেটি অবাক হয়ে বলল – কি হবে ?
-না , মানে , তুই হঠাৎ ইকবাল স্যার এর কাছে গেলি । কোন সমস্যা ছাড়া তো আর যাস নাই ! ভাই , এতো রাগ করলে কি চলে । আমরা না হয় একটু ...
শিশিরকে কথার মাঝপথেই সে থামিয়ে দিয়ে বলল -- আরে আমি ইকবাল স্যারের কাছে কেন যাবো ? আমি গিয়েছিলাম মা 'র কাছে
-মানে কি ?
-মানে হল তোদের সমাজ বিজ্ঞান টিচার সুরভী সাহা আমার মা হোন । আমি গিয়েছিলাম তার কাছ থেকে টিফিন বক্স নিয়ে আসতে । ছেলেটি তার হাতের হলুদ টিফিন বক্স দেখালো ।

আমি এতো বড় ধাক্কা আগে কক্ষনো খাইনি । দেখলাম বিস্ময়ে শিশিরের মুখ হা হয়ে গেছে ।
-সুরভী মেডাম তোমার মা !
-হুম । মা আগে দিনাজপুর জিলা স্কুলে ছিলেন । সেখান থেকে মাসখানেক আগে ট্র্যান্সফার হয়ে এখানে আসেন । বাবা ঢাকায় চাকুরীতে । দিনাজপুরে আমি একা ছিলাম । তাই আমাকেও ট্র্যান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে এই স্কুলে আসতে হয়েছে । এখন থেকে মা আর আমি একসাথে থাকতে পারবো ।

কথাগুলো বলে ছেলেটি হাসল । এই প্রথম তাকে হাসতে দেখলাম । কি সুন্দর করেই না হাসচ্ছে ।
সে তার টিফিন বক্স খুলে আমাদের দিকে এগিয়ে দিল
- এই নাও , গাজরের হালুয়া । মা আজ সকালে বানিয়েছে । অনেকটুকু আছে । শেয়ার করে খাওয়া যাবে ।

শিশির বোকা বোকা মুখে হালুয়া তুলে মুখে ভরলো । আমি হালুয়া হাতে নিলাম । কিন্তু মুখে দেয়ার রুচি পাচ্ছি না । আমার কেবল ই মনে হচ্ছে এই কিছুক্ষন আগে আমি এই ছেলের ঠিক পাশে বসে তার মা’র নামে নোংরা চিন্তা করেছি ।

ছেলেটির গা থেকে ঘ্রাণ আসচ্ছে । খেয়াল হল এই ঘ্রাণ সুরভী মেডামের গা থেকেও আসে । নীল ডাউন হয়ে আজ আমি যে বেনামী শাস্তি প্রত্যাশা করছিলাম তার চেয়ে বহুগুণ বেশি শাস্তি আমি এখন এই সৌরভে পাচ্ছি । মিষ্টি এই ঘ্রাণ আমার নাকে আসচ্ছে আর আমার মগজ জানান দিচ্ছে – হীরা তুই নোংরা । তুই একটা নোংরা মগজের মানুষ হীরা ।

মগজের শাস্তি হয়তো দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন শাস্তি । আমি এই শাস্তি সহ্য করতে পারছি না । আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে নতুন ছেলেটির পা জড়িয়ে ধরতে । আমি কিভাবে শুভাশিসের পা জড়িয়ে ধরবো ? আমার একটি উপায় বের করতেই হবে , শুভাশিসের পা জড়িয়ে ধরবার উপায় ।


------------------------------------------------------------------

অনুগল্প - যৌনাবেগ - গৃহশিক্ষক এবং
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৫
৩৭টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×