এক ইহুদী তওরাত পড়ছিল। সে তওরাতের এক পৃষ্ঠায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক দেখে হিংসার বশবর্তী হয়ে নামটি ঘষে উঠিয়ে ফেললো।
দ্বিতীয় দিন তওরাত খুললে সেই একই পৃষ্ঠায় সেই নাম মুবারক চার জায়গায় লিখা দেখলো। এতে সে রাগাম্বিত হয়ে পুনরায় নাম মুবারকগুলো ঘষে মুছে ফেললো।
তৃতীয় দিন সে দেখলো সেই নাম মুবারকটি সেই পৃষ্ঠার আট জায়গায় লিখিত আছে। সে পুনরায় এ নাম মুবারকটি সব জায়গা থেকে ঘষে উঠিয়ে ফেললো।
চতুর্থ দিন সে সেই নাম মুবারকটি একই পৃষ্ঠার বার জায়গায় লিখিত দেখলো। এবার ওর মানসিক অবস্থা পরিবর্তন হয়ে গেল এবং সেই নামের প্রতি ওর অন্তরে মুহব্বত সৃষ্টি হয়ে গেল।
সেই পবিত্র নামধারী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাক্ষাত করার মানসে সিরিয়া থেকে মদীনা মনোয়ারার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো। কিন্তু ওর দুর্ভাগ্য, এ দিকে সে রওয়ানা হলো, অন্য দিকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বেসাল শরীফ লাভ করলেন। মদীনা শরীফ-এ পৌঁছার পর প্রথমে ওর সাথে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে সাক্ষাত হয়। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মুখে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেসাল শরীফের কথা শুনে সে ভীষনভাবে অস্থির হয়ে পড়ে। সে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বললো আমাকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যবহৃত কোন একটি কাপড় দেখান। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ওকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যবহৃত একটি কাপড় দিলে, সে একান্তু মুহব্বত সহকারে সেটা শুকলো, অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা মুবারকের সামনে গিয়ে কলেমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেল এবং হাত উঠিয়ে এ মুনাজ করলো- হে আল্লাহ! তুমি যদি আমার ইসলাম গ্রহন করে থাক, তাহলে আমাকে তোমার মাহবুবের কাছে নিয়ে যাও। এতটুকু বলার সাথে সাথে সে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে ইন্তেকাল করলো। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে গোসল দেন এবং জান্নাতুল বাকীতে তাকে দাফন করেন। (নুজজাতুল মাজালিস-২ জি: ১১৪ পৃ
এঘটনা থেকে আমাদের জন্য শিক্ষনীয়: কোন হিংসুটে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানমানকে ধমিয়ে রাখতে পারেনি এবং পারবেও না। উনার শানমান চির উজ্জ্বল, চির ভাস্কর।