somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নটর ডেম কলেজের ভর্তি পরীক্ষা

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




শুরুতেই বলে রাখি লেখাটার উদ্দেশ্য হল- যারা নটর ডেম কলেজে(বিজ্ঞান বিভাগে) ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাবে তাদের সামান্য সাহায্য করা। এই সাধারণ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যেভাবে ব্যবসা শুরু হয়েছে সেটা বন্ধে ছোট একটা পদক্ষেপ বলতে পারেন। এই লেখা পড়ে একজন নটর ডেম কলেজে ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্র বিনা মূল্যে সম্পূর্ণ ভর্তি প্রক্রিয়া জেনে যেতে পারবেন। এই লেখাটায় থাকবে নটর ডেম কলেজের ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে যাবতীয় প্রশ্ন এবং উত্তর।

ঢাকার বাইরে থেকে এসে এই কলেজে পড়তে গেলে থাকা-খাওয়া নিয়ে কি সমস্যা হবে?

এই প্রশ্নটা খুব কমন প্রশ্ন। থাকার সমস্যার কথা চিন্তা করে ঢাকার বাইরের অনেকেই এই কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম তুলে না। কলেজের নিজস্ব ছাত্রাবাসে থাকা না গেলেও কলেজের পাশেই আরামবাগে অনেক ছাত্র হোস্টেল আছে। যেখানে নটর ডেম কলেজের অধিকাংশ ছাত্র থাকে। সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা খুবই ভাল। এসব হোস্টেল কলেজের একেবারে সাথেই বলা চলে। হোস্টেল থেকে কলেজে যেতে ২ মিনিট সময় লাগে। তাই এই ব্যাপারে চিন্তার কোন কারণ নেই।

ভর্তি পরীক্ষা কারা দিতে পারবে?

ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার আগে নির্ধারিত একটি দিনে ফর্ম তুলতে হবে এবং তারপর সেই ফর্ম জমা দেয়ার পর জানা যাবে ভর্তি পরীক্ষা কবে হবে এবং কখন হবে। ফর্ম তোলার পর কলেজ থেকে একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেখানে যারা পরীক্ষা দিতে পারবে তাদের রোল নাম্বার দেয়া থাকবে।

২০১৪ সালে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পেরেছিল যারা, তারা সকল বিষয়ে এ+ পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে ব্যাপারটায় একটু পরিবর্তন আসে। যাদের এসএসসির রেজাল্ট এ+ ছিল তাদেরকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়েছিল এবং তারা চান্সও পেয়েছিল। বিজ্ঞানের কোন বিষয়ে এবং ইংরেজিতে এ+ মিস গেলে তাদের পরীক্ষা দিতে দেয়া হয় নি। বাংলা, সমাজ, ধর্ম- এই বিষয়গুলোতে যাদের এ+ আসেনি তারা পরীক্ষা দিতে পেরেছিল গতবছর। বাংলা,সমাজ,ধর্ম- এই বিষয়গুলোতে যদি কারও এ+ না আসে তাহলে তারাও অবশ্যই ফর্ম তুলবে।

গতবছর অনেকে সব বিষয়ে এ+ পায় নি বলে ফর্ম তুলেনি। কিন্তু তারা পরীক্ষা দিলে হয়ত অনেকেই চান্স পেয়ে যেতে পারত। গতবছর অনেকেই এজন্য আফসোস করেছিল। তুমি তো আগেই জেনে গেলে। আশা করি, তোমার আফসোস করতে হবে না।

ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম কবে দেয়া হবে? পরীক্ষা কবে হবে?

নটর ডেম কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম কবে ছাড়া হবে- সেটা এখনও কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়নি। প্রথমে ফর্ম ছাড়ার সময় জানানো হবে। তারপর ফর্ম তুলে জমা দেয়ার পর জানতে পারবে পরীক্ষার তারিখ এবং সময়। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন- ২৬ মে থেকে কলেজ ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। অর্থাৎ ২৬ মে-এর মধ্যে জেনে যাবে কলেজ থেকে কবে ফর্ম দেয়া হবে।

ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম কি বাবা-মা তুলতে পারবেন?

না। নিজে লাইনে দাঁড়িয়ে তোমাকেই ফর্ম তুলতে হবে। কারণ ফর্ম হাতে পাবার পর সেদিনই ফর্ম পূরণ করে তোমার নিজের স্বাক্ষরসহ ফর্ম জমা দিতে হবে এবং এসময় একজন অভিভাবকের স্বাক্ষর লাগে। তাই তোমার নিজের উপস্থিতি এবং বাবা অথবা মা একজনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। তবে ফর্ম পূরণের সময় বাবা-মা অথবা বড় কারও সাহায্য নিতে পারো। বন্ধুদের সাথে ফর্ম তুলে একসাথে জমা দিতে পারো। এর ফলে পরীক্ষা হলে আশেপাশে পরিচিত মুখ দেখতে পাবে। তবে পরীক্ষা হলে দেখাদেখি বা কথা বলতে পারবে না।

২য় দিন ফর্ম তুললে কোন সমস্যা হবে কি?

ফর্ম তোলার জন্য ২ দিন সময় দেয়া হয়। প্রথম দিনে অনেক ভিড় হয় এবং ২য় দিনে তেমন ভিড় হয় না। অনেকেই প্রথম দিন খুব ভোরে লাইন ধরেন। যারা ঢাকার বাইরে থেকে আসবেন তাদের জন্য ২য় দিনে ফর্ম তোলা সুবিধাজনক হবে। এতে ঢাকায় এসে থাকার জন্য আলাদা খরচ করতে হবে না। ২য় দিনে ফর্ম তুললে চান্স পাওয়া যাবে না - এই ধারনা একেবারেই ভুল। আবার সবার আগে ফর্ম তুললে চান্স নিশ্চিত এই ধারণা করে আগের দিন রাতে গেটের সামনে ঘুমানোও বোকামি হবে। তাই যারা ঢাকায় থাকো তারা প্রথম দিন খুব সকালেই চলে যাবে। আর যারা ঢাকার বাইরে থেকে আসবেন তাদের জন্য ২য় দিনে ফর্ম তোলাটাই ভাল হবে।


ফর্ম তোলার প্রথম দিন কলেজের সামনে থেকে তোলা ছবি

পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কেমন হয়?

এই ভর্তি পরীক্ষাটার দুইটা অংশ- ১। লিখিত এবং ২। মৌখিক

লিখিত পরীক্ষার সময়কাল ৩০ মিনিট। এই ৩০ মিনিট সময়ে প্রশ্নপত্রের সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তবে দেখাদেখির চেষ্টা না করাই ভাল। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবার পরপরই মৌখিক পরীক্ষা হবে। সেখানে খুব সাধারণ কিছু প্রশ্ন করা হয়। একটা প্রশ্ন সবাইকেই করা হবে - “তুমি এই কলেজে কেন পড়তে চাও?” উত্তরে সত্য কথাটাই বলবে। উত্তরে বলতে পারো - তোমার নিজের ইচ্ছা আছে এবং সেই সাথে বাবা-মার ইচ্ছা আছে। এই কলেজটিতে কোন প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই এবং শিক্ষার মান অনেক ভাল বলে ইচ্ছাটা আরও বেশি। পরিবারে এই কলেজের কোন ছাত্র থাকলে তার নাম উল্লেখ করে দিতে পারো।

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন কোথা থেকে আসে?


২০১২,২০১৩,২০১৪ সালে ইংরেজি গ্রামার ১০টা, ফিজিক্সে ৫ টা এমসিকিউ, কেমিস্ট্রিতে ৫ টা এমসিকিউ এসেছিল। তবে ফিজিক্স-কেমিস্ট্রিতে কোন কঠিন অংক ছিলনা। গণিত বিভাগ থেকে ৪ টা অংক দেয়া হয়। ২০১৫ সালে ইংরেজি গ্রামার ১০টা, ফিজিক্সে ৪টা এমসিকিউ, কেমিস্ট্রি থেকে ৪টা এমসিকিউ এবং বায়োলজি থেকে ২ টি এমসিকিউ এসেছিল। আর গণিত বিভাগ থেকে ৪টি অংক এসেছিল। তবে গণিতে সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয় নি। প্রতি বছরের প্রশ্ন বই থেকেই আসে। গণিতের উপর জোর দিতে পারো। পরীক্ষার আগে এসএসসি পরীক্ষার আগে গণিতের উপর যেমন প্রস্তুতি নিয়েছিলে, এবারও তেমন করে প্রস্তুতি নিবে।

লিখিত পরীক্ষা কয়েক শিফটে হয়। যেমনঃ ধর, ১০টা থেকে ১১ টা এক শিফট আবার ১১ টা থেকে ১২ টায় আরেক শিফটের পরীক্ষা হবে। এভাবে বেশ কয়েকটা শিফটে পরীক্ষা নেয়া হয় এবং প্রতি শিফটে প্রশ্ন আলাদা থাকে। ২০১৫ সালে কোন কোন শিফটের প্রশ্নে ২টি সাধারণ জ্ঞান ছিল, আবার কোন কোন শিফটে সাধারণ জ্ঞান আসেনি। তবে ৪টি অংক পারার প্রতি জোর দিলেই ভাল ফলাফল আশা করতে পারো।
সাধারণত ক্যালকুলেটর নিতে দেয়া হয় না। কিন্তু গতবছর পরীক্ষার সময় ক্যালকুলেটর নিতে দেয়া হয়েছিল। তাই এবার ক্যালকুলেটর নিয়ে যেতে পারো।

মৌখিক পরীক্ষায় প্রশ্ন কেমন হয়?

উপরে একবার বলে দিয়েছি একটা প্রশ্ন কমন থাকে- “কেন এই কলেজে পড়তে চাও?” আর এই প্রশ্নের উত্তরটাও বলে দিয়েছি। এর বাইরে অনেক রকম প্রশ্নই করা হয়। অনেককে তেমন কোন প্রশ্ন করা হয় না আবার অনেকের খুবই কঠিন কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাই মৌখিক পরীক্ষার ব্যাপারে বলব- পজিটিভ থাকার চেষ্টা করো।
কেমন ড্রেসআপে যেতে হবে? ফর্মাল ড্রেস কি আবশ্যিক?

ফর্মাল ড্রেসে যেতে চাইলে যেতে পারো। সেটা খুবই ভাল; কিন্তু আবশ্যিক নয়। সাধারণ গেটাপেও যেতে পারো। খুব সাধারণ বলতে শার্ট আর এক রঙের চার পকেটের প্যান্ট পড়তে পারো। তবে জিন্স না পড়াটাই ভাল। এমনও অনেকে আছে যারা পাঞ্জাবি পড়ে পরীক্ষা দিয়েও চান্স পেয়েছে। সহজ কথায়, ভদ্র এবং মার্জিতভাবে যেতে হবে। চুল,নখ ছোট রাখাতে ভুল না।
পড়ার মত জুতা না থাকলে স্যান্ডেল পড়েও যেতে পারো। স্পঞ্জের স্যান্ডেল পড়েও চান্স পেয়েছে এমন উদাহরণও অনেক আছে। সত্যি কথা হল, স্মার্টনেস কাপড়ে থাকলেই হবে না ভেতরেও থাকতে হবে। শার্টের বুকের বোতাম লাগান না লাগানো নিয়ে অনেকের অনেক রকম প্রশ্ন থাকে। ভদ্রতা হল বুকের বোতাম লাগিয়ে যাওয়া। এ ব্যাপারে পরামর্শ থাকবে- ব্যতিক্রম হবার চেষ্টা করো না, এটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। অনেকে নিজেকে বেশি সহজ সরল সাজানোর জন্য কলারের বোতাম লাগিয়ে যায়। এটার তেমন প্রয়োজন নেই। কলারের বোতাম খুলে যাবে।

পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে?

ইতিমধ্যে তোমরা জেনে গিয়েছ আগের বছরগুলোতে কোন কোন বিষয় থেকে প্রশ্ন এসেছিল। সেই সাথে সেটাও জেনে গিয়েছ এসএসসি পরীক্ষার সময় তোমার যে পাঠ্যবই ছিল, সেখান থেকেই সকল প্রশ্ন এসেছে বিগত বছরগুলোতে। তাই বই-এর বাইরে কঠিন বিষয় আয়ত্ত করার কোন প্রয়োজন নেই। নটর ডেম কলেজের গেটের সামনে যেসব ভর্তি গাইড দেয়া হয় সেগুলোরও কোন প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে ভাল প্রস্তুতি নিতে বই-এর অংকগুলো দেখে যেতে পারো। পরীক্ষায় সবগুলো অংক পারার চেষ্টা করবে। আর অন্যান্য বিষয়, যেমনঃ ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি, বায়োলজি- পড়তে পারো। তবে গণিত বিভাগের অংকগুলো পারার উপর জোর দিতে হবে। এক রাতের প্রিপারেশন নিতে চাইলে- শুধুমাত্র এসএসসি-র সাধারণ গণিত এবং উচ্চতর গণিত বই-এর অংকগুলোর সমাধান দেখে যেতে পারো। তবে কয়েকদিন প্রস্তুতি নেয়াটা ভালো।

পরীক্ষা খাতায় লেখার কিছু টিপস

১। পরীক্ষার প্রশ্নেই উত্তর লিখতে হবে; কোন প্রকার খাতা বা রাফশিট দেয়া হবে না। ৩০ মিনিট সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর করাটা কঠিন কাজ, তাই ঘড়ি নিয়ে যাবে। একটি পাতায় প্রশ্ন করা হয়। প্রথম পৃষ্ঠায় থাকবে সকল প্রশ্ন আর দ্বিতীয় পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকবে। প্রথম পৃষ্ঠায় প্রশ্নের পাশে ফাঁকাস্থানে উত্তর লিখতে হবে। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইংরেজি-এর এমসিকিউ অংশের উত্তর এক শব্দে দেয়া যায়। তাই এই বিষয়গুলোর উত্তর করতে কোন সমস্যা হবে না। গণিত অংশের উত্তর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারো।

২। গণিত অংশে বিগত বছরগুলোতে মোট ৪টি অংক দেয়া হয়েছে। প্রতি অংকের মাঝে দুই আঙ্গুলের মত ফাঁকা জায়গা পাবে। এতো ছোট জায়গায় কিভাবে উত্তর করতে হয় সেটা জানা খুব জরুরী। উপরে একবার উল্লেখ করেছি, দ্বিতীয় পৃষ্ঠা খালি থাকে। এই খালি পৃষ্ঠাকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ তোমাকে কোন রাফ কাগজ দেয়া হবে না। কৌশলটা হল- পেন্সিল আর স্কেল দিয়ে শুরুতেই সমান চারভাগ করে নিবে এই সাদা পৃষ্ঠা। এরপর এখানে ৪টি অংশে পেন্সিল দিয়ে চারটি অংক করবে। পেন্সিল দিয়ে অংকগুলো রাফ করবে, তারপর প্রথম পৃষ্ঠায় চলে যাবে। অংকটি খুব দ্রুত, ছোট করে এবং স্পষ্টভাবে সমাধান করে দিবে।

৩। পরীক্ষার শুরুতে অংক প্রশ্নগুলো দেখবে। যদি পারো অংকগুলো করে ফেলবে; না পারলে অন্য প্রশ্নগুলো উত্তর করবে। উত্তর করতে করতে অংকের সমাধান মাথায় কাজ করলে তো কেল্লাফতে। একটি অংক না পারলে সেটার পেছনে একদম সময় নষ্ট করবে না। পরের উত্তরগুলো করতে থাকবে। শেষে দেখবে তোমার সকল উত্তর করা শেষ তবে হাতে ৯-১০ মিনিট সময় আছে। তখন চিন্তা করে বাকি অংকের সমাধান করতে পারবে।

৪। উত্তরে যথাসম্ভব চেষ্টা করবে সঠিক উত্তর লিখার। অবান্তর কোন কিছু লিখে আসবে না।

৫। নটর ডেমে পড়ে এমন কোন বড় ভাইয়া থাকলে তার সাথেও কথা বলতে পারো। আর যে কোন প্রশ্নের জন্য কমেন্ট সেকশন তো খোলা আছেই।

যারা কলেজে পরীক্ষা দিবে তাদের জন্য রইল শুভকামনা।

শেষের কথা

এই কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া কিভাবে চলে সেটা শুধুমাত্র কলেজ কর্তৃপক্ষ জানেন। আমরা ছাত্র হিসেবে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। নটর ডেম কলেজের ছাত্র হয়ে এই কলেজের ভর্তি নিয়ে ব্যবসা হতে দেখব আর চুপ করে মেনে নেব, এটা আসলেও অনেক কষ্টের কাজ। এখানে এমন সব কথা বলা হয়েছে- যেসব কথা কোচিং সেন্টারের হয়ে বললে কিছু টাকাপয়সা জোগাড় করা অসম্ভব কিছু ছিল না। অবশ্য অনেকে সে উপায়ে অবলম্বন করে অর্থ উপার্জন করছেনও। আশা করি, যখন সবাই বলবেন নটর ডেম কলেজে ভর্তি হতে কোচিং করতে হয় না তখন দেশে অন্তত একটা ক্ষেত্রে কোচিং নির্ভরতা কমবে। অনেকেই আছেন সত্যটা জানেন তবে নটর ডেম কলেজের ছাত্র নন বলে এই সত্যগুলো বলতে পিছপা হন। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে নটরডেমিয়ানদের। দেশকে নিয়ে পজিটিভ চিন্তা করি, সেই সাথে আসুন কিছু পজিটিভ কাজও করি। এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে অনেক মানুষের পজিটিভ কাজের জন্য পরিবর্তন আসতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

এক্স নটরডেম ছাত্রের মুখ থেকে শোনা
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

ট্রাম্প হচ্ছে একজন আপাদমস্তক বিজনেসম্যান। কমলা হ্যা্রিস যেহেতু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাই ইন্ডিয়ান ভোটার টানার জন্য সে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে জাস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

চট্রগ্রামে যৌথবাহিনীর ওপর ইসকনের এসিড হামলা সাত পুলিশ আহত।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

এসিড নিক্ষেপে আহত পুলিশ সদস্য



চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর ইসকন সমর্থকদের হামলা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানব সভ্যতা চিরতরে ধ্বংস হবে কি করে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬



সে এক বড় অদ্ভুত বিষয়।
চিন্তা করে দেখুন এত দিনের চেনা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশাল বিশাল ইমারত ভেঙ্গে যাবে, গুড়িয়ে যাবে। মানুষ গুহা থেকে বেরিয়ে আজকের আধুনিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসকন

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭


INTERNATIONAL SOCIETY FOR KRISHNA CONSCIOUSNESS যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ISKCON এর বাংলা অর্থ হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। যে সংঘের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল মানুষকে কৃষ্ণভাবনাময় করে তোলার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্পকে নিয়ে ব্লগারদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



**** এডমিন টিমের ব্লগারেরা আমাকে বরাবরের মতোই টার্গেট করে চলেছে, এভাবেই সামু চলবে। ****

ট্রাম্পের বিজয়ে ইউরোপের লোকজন আমেরিকানদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী শংকিত; ট্রাম্প কিভাবে আচরণ করবে ইউরোপিয়ানরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×