পোস্টটা আমি সম্পূর্ণ মুসলিম দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই লিখেছি।
জামাত শিবির-অপশক্তির বিলোপের জন্য জেগেছে বাংলার মানুষ। শাহবাগে, বাংলাদেশের কোণায় কোণায়, লন্ডন-নিউইয়র্ক সহ সারা বিশ্বে।
আর পরাজিত শক্তি, অপশক্তি ও শয়তানি ওয়াসওয়াসার শক্তির যা করা সম্ভব, তার সবই করছে জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার শক্তিতে বলীয়ান প্রচারণা শাখা। সাধারণ মানুষ, এমনকি খুব অগ্রসর মানুষও হয়ে পড়ছেন বিভ্রান্ত।
সবচে ভয়ানক যে অভিযোগ উঠেছে, তা হল, শাহবাগের বিপ্লবীরা শাহবাগে সাইয়্যিদুনা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়াসাল্লামার অবমাননা করছে।
আগে পরের অনেক বিষয়ের সাথে জড়িত থাকায় এবং নিজের চোখে শাহবাগ বিপ্লবের ডাক সর্বপ্রথম আসার মাত্র তিন মিনিটের মাথায় যুক্ত হয়ে এখনো প্রতিদিন পনের ঘন্টা যুক্ত থাকায় আমি বলতে পারি, কথাটা সম্পূর্ণ বানোয়াটই শুধু নয়, এ হল স্বয়ং রাসূল দ.'র নামকে জড়িয়ে গর্হিত অমার্জনীয় পাপ।
কুৎসাগুলো
প্রথমেই মিথ্যা কথাগুলো দেখা যাক, এই বিপ্লবের প্রতি মুহূর্তের সাথে জড়িত থাকায় বলতে পারি, বিপ্লব কখনোই সাজানো ছিল না। শুরু হয়েছে সম্পূর্ণ বাংলাদেশকে ভালবাসা কিছু ব্লগার ও ফেসবুকারের হাতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। এর নিয়ন্ত্রণ কখনোই আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত বা কমুনিস্ট পার্টি অথবা 'নাস্তিকেরা' নিতে পারেনি। পারার কোন সম্ভাবনাও নেই। কঠোর হাতে শুরুর মুহূর্ত থেকেই দমন করা হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক প্রভাবকে। আজকেও। এমনকি কোনদিন কোন রাজনৈতিক নেতাকে একটা অক্ষরও বলতে দেয়া হয়নি।
মানুষ কি নিজের দেশকে ভালবেসে রাস্তায় নামতে পারে না? বাংলাদেশের মানুষ কি চেনে না, কারা রাজাকার? বাংলাদেশের মানুষ কি এতই অক্ষম? রাজনীতির মারপ্যাচ ছাড়া কি তারা সিপাহী বিদ্রোহ, বাহান্ন, উনসত্তর, একাত্তরে পথে নেমে সবশেষে স্বাধীনতা অর্জন করেনি?
এই গণজোয়ার কখনোই, কোনদিনই সরকার পতনের জন্য নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য নয়, বিএনপি দমনের জন্য নয়, ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধেও নয়- মাত্র একটা বিষয় থেকে এর শুরু। সাড়ে তিনশ খুন প্রমাণের পর কোন গণহত্যাকারী কেন সর্ব্বোচ্চ শাস্তি পাবে না? প্রত্যক্ষ সাক্ষী আছেন। মানুষের একটাই কথা, তাহলে কত খুন করলে একজনকে ফাঁসি দেয়া হবে?
একাত্তর তাদের দলিল দস্তাবেজেই প্রমাণিত, মওদুদী থেকে নব্য শিবির
পরাজিত জামাত শিবির চক্র একাত্তর সালে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে গণহত্যা শুরু করেছিল বাংলাদেশে। গোলাম আজম ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটা অলিগলি চিনিয়ে দিয়েছে তার সঙ্গঠন জামায়াতে ইসলামী, তাদের তৎকালীন ছাত্রশিবির- ছাত্রসংঘ এমনকি ছাত্রীসংস্থা দিয়েও। একথা স্বয়ং পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজী ও টিক্কা খান তাদের আত্মজীবনীতে লিখেছে, সেটা পাকিস্তান থেকেই তাদের হাত দিয়ে প্রকাশিত। নিয়াজী ও টিক্কা খান সরাসরি বলেছে, পূর্ব পাকিস্তানে তারা এক পাও এগুতে পারত না, যদি 'রেজাকার' বাহিনী গঠন না হতো গোলাম আজমের দ্বারা এবং তাদের এলিট ফোর্স 'আল বদর' বাহিনী গঠন না হতো নিজামী-মুজাহিদের নেতৃত্বে। এমনকি তারা এই রেজাকার ভাইদের পরাজয়ের পর তাদের পাকিস্তানে আশ্রয় দেয়া ও বাংলাদেশে ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত ছিল ও দোয়া করেছিল।
জামাতের মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রাম তখনো ছিল। তাদেরই পত্রিকা সংগ্রামে দুইশতরও বেশি প্রমাণ প্রকাশিত হয়, শুধু সংগ্রামই যথেষ্ট তাদের সব মুখোশ খুলে দেয়ার জন্য। বিষয়গুলো অস্বীকার করে তারা প্রকারান্তরে ইসলাম ধর্মকেই অস্বীকার করে। কারণ ইসলামে প্রতারণা, মিথ্যাচার, সত্য গোপনের কোন অধিকার নেই।
এছাড়াও এটি গোলাম আজম ও চিহ্নিত যুদ্ধ-অপরাধী, জাতিগত হত্যাকারীদের কোন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল না। ছিল দলীয় গঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। তারা তাদের দলীয় নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত, তাদের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর দ্বারা পরিচালিত। তারা জেনে শুনে বুঝেই বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায়, প্রতিটা থানায় এমনকি বেশিরভাগ ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত দালাল নিয়োগ করে, বেতন ও সরকারি রেশন পর্যন্ত দেয় নিজেদের কর্মীদের।
স্বয়ং জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী এই গণহত্যার প্রকাশ্য নির্দেশদাতা। জামাতের প্রতিষ্ঠাতা, গঠনতন্ত্র, দলীয় নীতিমালা ও শিক্ষা পদ্ধতিতেই এই বীজ রয়েছে। এই কারণেই শুধু জাতিগত গণহত্যাকারীদের ও গণধর্ষণকারীদের বিচার করলে হবে না, বরং এই নীতির রাজনীতিগত বিলোপ এখন একমাত্র মুক্তির উপায়। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ শিবিরের নাম করে বাংলাদেশের অস্তিত্বও অস্বীকার করছে। তারা একাত্তরকে বলেছিল গৃহযুদ্ধ, আজও গৃহযুদ্ধের ডাক দেয়। এবং বলে, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
পাপ এখানেই নয়, নয়টা দীর্ঘ মাস বাংলাদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তিন মিলিয়ন হত্যা করে এবং দুই লক্ষ নারীকে পাঞ্জাবী সৈন্যদের হাতে তুলে দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। ক্ষান্ত হয়নি বাংলাদেশ স্বাধীন হবে তা নিশ্চিত জেনেও। এমনকি স্বাধীনতার পর পুরো একটা দশক সময়কাল পর্যন্ত গোলাম আজম সারা পৃথিবীতে প্রচার করেছে, 'বাংলাদেশ নামঞ্জুর'।
যে লোকটা বাংলাদেশ নামঞ্জুর আন্দোলন করতে পারে আশি সালের পর পর্যন্ত (জামাতি ডকুমেন্টেই বিদ্যমান), তারপর বাংলাদেশে প্রবেশ করে পাকিস্তানি নাগরিক হিসাবে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে, সে নিজেকে শুধু বাংলাদেশের নাগরিক দাবি করেনি, বরং জামাতের আমির হয়ে ছিল দীর্ঘ দশক। এতেও জামাতের মূল নীতিমালা স্পষ্ট।
অথচ তারা এই প্রতিটা বিষয় হয় সরাসরি অস্বীকার করে, অথবা পাশ কাটিয়ে যায় বা অন্যের দোষ নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত হয়- সবচে বড় বিষয় হল, কুৎসা আরোপের মাধ্যমে প্রচারের মুখ ঘুরিয়ে দিতে চায়।
শুধু এই বিষয়টাই নিজের চোখে আবারো দেখতে পেলাম শাহবাগ চত্ত্বরে। কোথায় নগ্ন নাচ, কোথায় নারীত্বের অবমাননা, কোথায় নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা আর কোথায় তথাকথিত আওয়ামীদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া/ নির্যাতন করা অথবা 'নাস্তিক' দের হাতে নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়া?
সারারাত আমরাও কাটিয়েছি সেখানে। প্রতিদিন হয়েছি যুক্ত।
অবমাননার খেরোখাতা
শাহবাগে অবমাননা হচ্ছে, এই বিচিত্র কথাটা তারা বের করেছে শাহবাগে আন্দোলনে যুক্ত হওয়া কিছু ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগারের কারণে। রাসূল দ.'র অবমাননা কিন্তু কিছু মানুষ সব সময়ই করে আসছে। এর প্রতিটাই অতি পুরনো বিষয়। এবং এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি নিজে ভুক্তভোগী হওয়াতে পুরো বিষয়টা সম্পর্কে নূনতম ধারণা আছেই। কিন্তু শাহবাগ বিপ্লবের সাথে জড়িয়ে কিছু লিখেছে, এমনটা আমরা দেখি না। কোনও এক ব্লগে কোনও এক ব্লগার কিছু লিখলেই সেটা শাহবাগের নেতৃত্ব হয়ে গেল না। শাহবাগ নেতৃত্ব কর্তৃক রাসূল দ. অবমাননা হয়ে গেল না। আর শাহবাগের নেতৃত্ব কোন ব্যক্তির হাতে নেই। যিনি শপথ পাঠ করিয়েছেন তিনিই বড়জোর নেতা হতে পারেন, সেই শ্রদ্ধেয় ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার মোটেও নাস্তিক নন, বরং ধর্মের দিক দিয়ে উদার দৃষ্টিভঙ্গির। ব্যক্তিগত কিছু ধারণাও তাঁর থাকে- কিন্তু নাস্তিক তো নন, বরং একজন মুসলিম। আর প্রত্যেক মুসলমানের উদার দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া ফরজ।
এখন, রাসূল দ. কে নিয়ে পূর্বে বছরের পর বছর কিছু মানুষ প্রচারণা করেই গেছে। তারা কি শাহবাগে যেতে পারে না ওই শত শত সুন্নতী পোশাক পরা মানুষ তথা দাঁড়ি টুপি ওয়ালা এবং বোরখা পরা মহিলাদের মতই? পারে না কি লালন সাধুদের মত যেতে? পারে না একজন হিন্দু বা একজন বৌদ্ধের মত, একজন খ্রিস্টানের মত, একজন বাংলাদেশী চাকমা বা মারমার মত সেখানে যেতে? বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সেই অধিকার আছে।
তাদের যদি ইন্টারভিউ নেয়া হয় (আমার সাথে আজকেও কথা বলতে চেয়েছিলেন এক সাংবাদিক, প্রতিবাদকর্মীদের সাথে দুটা কথা বলা। আমি সেখানে টিভিতে কথা বলাটাকে নিতান্তই বাজে অকাজ মনে করি বলেই সরাসরি মানা করে দিয়েছি।) আর সেই ইন্টারভিউ প্রচার হয় টিভিতে, তাহলেই কি রাসূল দ.'র অবমাননা হয়ে গেল?
একজন নাস্তিকের ইন্টারভিউ প্রচারে যদি অবমাননা হয়, তাহলে শত শত সুন্নত পোশাকের পুরুষ ও নারীর ইন্টারভিউতে তো এও বলা যায় যে এটা একটা ইসলামী জোয়ার (!) তাই না? মুসলিমের জন্য এটা ইসলামী কাজও, কারণ দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। কিন্তু এই দেশের প্রত্যেক নাগরিক, মুসলিম হোক বা যাই হোক, দেশের জন্য যেতে পারে।
এই সামান্য বিষয় নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো একমাত্র জামাতিদের পক্ষেই হয়ত সম্ভব। একাত্তরে দেখেছি, আজো দেখছি।
'মুসলিমদের' মধ্যে রাসূল দ.'র যা অসম্মান হয় তার সবচে বেশি করে জামাত
প্রচলিত মুসলিমদের মধ্যে শিয়া ও জামাত, মাত্র এই দুটা পক্ষ রাসূল দ.'র হাদিস অস্বীকার করে। শিয়াদের নিজস্ব হাদিস আছে। তাদেরটা অস্বীকার নয়। কিন্তু মওদুদীর অসংখ্য চলমান রেফারেন্সেই হাদিসকে ধর্তব্য করা হয়নি। সে বুখারী শরীফকেও নাকচ করে দিয়েছে। এরচে বড় সুন্নাহর অবমাননা আর হতে পারে না।
মুসলিমদের মধ্যে একমাত্র জামাতই রাসূল দ.'র দোষ-ত্রুটি ও ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রবণতা ছিল, এই কথাটা প্রচার করে। একজন মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য ওয়াহইউন ইউহা- রাসূল দ. যা বলেন তা সরাসরি আল্লাহর ওয়াহয়ি হয়ে থাকে, তা মানা। এই দিক দিয়ে সবচে বড় অবমাননা একমাত্র এই গ্রুপটাই করে থাকে। সরাসরি আর কোন গ্র্রুপ নয়। ওয়াহাবীও সরাসরি এভাবে বলে না।
এছাড়াও তাঁর সম্পর্কিত প্রতিটা বিষয়কে অস্বীকার করা জামাতের মজ্জাগত। যারা নিজের নবীর জন্মের সময়কালকে স্বীকার করে না, তাঁর বংশ পরিচয়কে স্বীকার করে না, তাঁর পূর্বপুরুষদের মু'মিন হওয়া স্বীকার করে না (প্রতিটা নামাজে দরুদে ইব্রাহিমে তাঁর পূর্বপুরুষদের উপর দোয়া করা হয়। আর ক্বাফিরের জন্য দরুদ ধরনের দুআ করা হারাম।), তাঁর ঘোষিত সাইয়্যিদুল আলামীন, অর্থাৎ সকল নেতার উপরে নেতা ইমাম হুসাইনকে স্বীকার করে না বরং বলে যে, ইমাম হুসাইনের হত্যাকারী ইয়াজিদ যদি বাংলাদেশে আসত তাহলে আমরা তার হাতে শাসনভার তুলে দিয়ে বাইআত হতাম, যারা যুদ্ধের সময় নিজ দেশের-নিজ জাতির মেয়েদের বিনা বিচারে ভোগ্য হিসাবে সাব্যস্ত করে, যে কোন বিরুদ্ধাচারীর জন্য হত্যা সাব্যস্ত করে, নবীর কোন স্মৃতিচিহ্ন রাখাকে কুফরি মনে করে, নবীকে এমনকি ডাক দেয়াটাকেও শিরক মনে করে, এমনকি তাঁর নাম বলার পর দরুদ পড়াটাকে কুসংস্কার মনে করে, তাঁর সমাধি ধ্বংস করা উচিত বলে মনে করে, তাদের চেয়ে বড় নবী অবমাননাকারী আর কে হতে পারে?
এখানেই থেমে গেলে হতো।
যে নিজামী আমাদের বাংলাদেশের অসংখ্য নারীর জীবন ধ্বংসের কারণ, যার আস্তানা থেকে ষোলই ডিসেম্বর চটের বস্তা ভরে শুধু বাঙালির উপড়ানো চোখ সরিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা, যে বেছে বেছে বাংলাদেশের মেধাবী, সবচে বেশি শিক্ষিত ও সবচে বেশি সম্মানিত মানুষগুলোকে পরাজয় নিশ্চিত জেনেও হত্যা করেছে-
সেই নিজামীকে তারা প্রকাশ্যে বলে, এই ব্যক্তি নাকি রাসূল দ.'র মতো! অথচ আল্লাহ বলছেন, তাঁর দ. মত সচ্চরিত্র কেউ নেই, উসওয়াতুন হাসানাহ।
এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে।
রাসূল দ.? নাকি দলীয় নেতা?
এখন,
এই বিচারের দিনে মানুষ শুধু দুষছে নিজামী, মুজাহিদ, কামারু, গোলামাজম, কাদের মোল্লার মত পশুদের। অন্য কারো নয়। অন্য কাউকেই নয়। না জিয়া-মুজিব-এরশাদ-হাসিনা-খালেদা, না কোন ধর্মকে। এই পশুদের সাথে তারা রাসূলের তুলনা আগেই করেছিল। এখন তাদের কথা, রাসূলের অবমাননা, তা প্রকৃপক্ষে কি তাদের নেতার 'অবমাননা' নয়? আর তারা যে রাসূল থেকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করে নেতাদের, তা স্পষ্ট। নেতৃবৃন্দের নাম নেয় না পারতপক্ষে, মুখে নিলে সামনে পিছনে অনেক কথা জুড়ে দিয়ে তারপর পদবীও যুক্ত করবেই করবে। অথচ রাসূল দ.'র নাম সরাসরি মুখে নেয়ার গর্হিত কাজ করে তারা নেতাদের অবস্থান দিয়েছে রাসূলের উপর। আর রাসূল তাদের কাছে সামান্য নেতা বৈ কিছু নয়, এ কথা শুধু মওদুদী নয়, গোলাম আজমের বইতেও প্রকাশিত।
তাদের নবীর অপমান বলতে ঠিক কার অপমান বোঝানো হচ্ছে সেটা আমাদের জন্য বোঝা তাই দুষ্কর হয়ে পড়ে।
আমি আপনি এখন দোলচালে থাকি, এটাই শয়তান চায়। একাত্তরে তাই চেয়েছিল... আমি এই প্রবন্ধের কোন উপসংহার দিব না। কোনই শেষকথা লিখব না। আশা করব, আপনি, যিঁনি পড়ছেন, তিনি শেষটুকু পূর্ণ করে দেবেন...