উপকরণ
১০০-১৫০ মিলি পানি (অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরিবর্তনীয়)।
একটা মাঝারি সাইজের লেবু পুরোটা নিঙড়ে ছেকে নিন গ্লাসে। (বি.দ্র. অধিক কচলালে তিতা হবার আশঙ্কা রয়েছে )
দু আঙুলের সাদামাটা এক চিমটি খনিজ লবণ (বিট, না থাকলে সাদা লবণই সই)
দু আঙুলের সিম্পল এক চিমটি চিনি (গুড় হলে তো কথাই নাই)
প্রিপেয়ার্ড কফির গুঁড়া সেই দু আঙুলের এক চিমটি
দু তিন ফোঁটা পুদিনা বাটা।
চিনির রোয়ার সাইজ করে কাটা ছ থেকে আট টুকরা লেবুর খোসা।
করণ
আর কী? মালপানি একত্র করে খাস দিলে একটু ঘুটা। তারপর ফ্রেশ ছোট্ট গ্লাসে ঢেলে নিয়ে দুইটা আইস কিউব। উপরে এক জোড়া পুদিনা পাতা।
মহাকরণ
এবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সিপ, চোখ স্ক্রিনের দিকে। উড়ছে সময়, পুড়ছে নেশা।
অকারণ
ঠিক ধরেছেন ভাই,
রেসিপিটা যথারীতি একখানা মৌলিক লিসানি প্রোডাকশন। এই গ্লাস হাতে থাকলে লোকে বুঝতেও পারবে না যে, আপনি নির্দোষ ড্রিঙ্ক খাচ্ছেন। এমনকি এক বিন্দু চেখে দেখলেও ধন্ধে পড়তে পারে।
ব্যাকরণ
পরেরটাও ঠিক ধরেছেন, রুচি রাখতে গেলে এমনধারা কড়া ড্রিঙ্ক একশো-দেড়শো মিলির বেশি খাওয়া যায় না। এবং এটা খেতে হবে যখনি মাইল্ড নেশাজনিত হাঁপানির টান উঠবে তখনি, বিশেষত চোস্ত খানাপিনার পর।
এখানে ক্ষতিকর মাত্র দুটা জিনিস আছে, নাম আসলে হাসির হেঁচকি উঠতে পারে। জি। প্রথমত চিনি, হোক তা দু আঙুলের এক চিমটি। আর দ্বিতীয়ত কফি। কিন্তু এটুকুর প্রয়োজন আছে, এ ক্যাফেইন হল মাইল্ড কুল্যান্ট, অন্য সব অভ্যাস থেকে স্বস্তি দিবে, মনটাকে ফুরফুরে করবে। চিনিটা ড্রিঙ্ককে খাবার যোগ্য রাখবে।
লগ্নিকরণ
চাইলে পুদিনা, চিনি ছাড়াও ট্রাই করতে পারেন। চাইলে কফির বদলে চা-ও দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে প্রচলিত চায়ের কাপের মত ঘন লিকার চলবে না। এবং পাতাটা ছেকে নিতে হবে।
অকারণ
(ঘটনা আর কিসসু না। মাথা গরম হয়ে গেলে সিগারেটের বদলে এমন একটা গ্লাস আমার সামনে থাকে আরকী! এখনো আছে ডেস্কে, এই স্ক্রিনের পাশেই! )